নাজমুল হোসেন,রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধিঃদুর্গার আগমনী উপলক্ষে রাজবাড়ি জেলা মৃৎশিল্পীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।শরতের আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর নদীর চরে দৃষ্টি নন্দন কাশ বন যেন জানান দিচ্ছে দেবীর দুর্গার আগমনী বার্তা। ২৫শে সেপ্টেম্বর রবিবার মহালয়ার মধ্যদিয়ে শুভ সূচনা হয় হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
হিন্দু শাস্ত্রীয়মতে, প্রতিবছরই মা দুর্গা কোন কোন বাহনে চড়ে মর্তে আগমন ঘটে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আগামী পহেলা অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যম দিয়ে শুরু আর সমাপ্তি ঘটবে ৫ই অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে।
এ দুর্গাপূজা উদযাপনকে কেন্দ্র করে প্রতিমা তৈরির মৃৎশিল্পীরা দেবী দুর্গার রুপ দিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা এমন কি গভীর রাত পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পুজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে মৃৎশিল্পিদের ততই ব্যস্ততা বেড়েই চলেছে। এমনটাই বর্ণনা করেছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা বাজার এলাকার মৃৎশিল্পী শ্রী আমল পাল। তিনি প্রায় ৪৫ বছর যাবৎ মৃৎশিল্পীর কাজ করেন এ বছর তিনি ১৫সেট প্রতিমা তৈরির চুক্তি করেছেন।প্রতি সেট প্রতিমার মূল্য ধার্য করা হয়েছে ২০থেকে২৫ হাজার টাকা করে।
মৃৎশিল্পীদের তুলির আঁচড়ে বাঁশের কাঠামো তৈরি দুর্গাদেবী রুপ লাবন্য ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। গোয়ালন্দ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী বিপ্লব ঘোষ জানান, এবারের উপজেলা দূর্গা পূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে। এবং তা সরকারি নির্দেশনা মেনে,এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেই সাথে সবাইকেই আগাম শারদীয় শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। উল্লেখ্য এ বছর উপজেলা ২১টি পুজা মন্ডপে চলছে পূজার প্রস্তুতি।