1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন

আমাদের জীবন ও নামাজ

নুরুন্নাহার জিনিয়া
  • আপডেট : সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪

(নুরুন্নাহার জিনিয়া): নামাজ ইসলামের ২য় ভিত্তি বা স্তম্ভ। শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে। আরবিতে বলা সালাত صلوة সাধারণত আমরা নামাজ একটি ইবাদত হিসেবেই গণ্য করি। যার মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহ পাকের সান্নিধ্য অর্জন করতে পারি। নামাজের ফজিলত সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়। কিন্তু আজ আমি ব্যতিক্রমধর্মী একটি আলোচনা উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। বাস্তব জীবনে নামাজের উপকারিতা। প্রতিটি মানুষের নিজের সুস্থতার জন্য, বিভেদ হীন সুন্দর একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য, সুখ ও সমৃদ্ধি পূর্ণ ভাবে শান্তিতে বসবাসের জন্য নামাজের বিকল্প ২য় টি পাওয়া সম্ভব নয়।

আসুন ফজরের নামাজ থেকেই শুরু করি। খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা একটু কষ্ট মনে হতে পারে। কিন্তু এটা একটা মানুষের সুস্থ থাকার জন্য কতটা প্রয়োজন সেটা বিজ্ঞান সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে। বিখ্যাত মনীষী ব্রেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন বলতেন, ভোরের মুখে সোনা রং থাকে। সকালে ওঠার সুফলের কথা এই উপমা দিয়ে সহজেই বোঝা যায়। যারা রোজ সকালে ওঠেন, তারা নিশ্চয়ই জানেন এর উপকারিতা। যাদের ভোরে ওঠার অভ্যাস নেই, তারা জেনে নিতে পারেন সেই সুফল।
১. সকালে উঠলে কাজের জন্য সময় বেশি পাওয়া যায়। এ ছাড়া কাজের গতি বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যখন কোনো ব্যক্তি ভোরে ওঠেন, তখন অন্যদের তুলনায় তিনি বেশি সক্রিয় থাকেন এবং কাজে সময় নেন কম।
২. সকালে উঠলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যখন কেউ সকালে ওঠেন, তখন কাজের তাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যায়।
৩. সকালে ঘুম থেকে ওঠা মানে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া। এতে ঘুম ভালো হয়। প্রথম প্রথম একটু অসুবিধা হলেও অভ্যাস হয়ে গেলে দেহঘড়ি ঘুমের নতুন সময় ও সকালে ওঠার বিষয়টি মানিয়ে নেবে।
৪. সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ভোরে ঘুম ভাঙে, তারা বেশি সুখী হন। এই সুখ স্বল্পমেয়াদি নয়, বরং সারাটা জীবন ধরেই সুখ ছুঁয়ে যায়।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
আপনি সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠলে আপনার শরীর অতিরিক্ত ভিটামিন ডি তৈরি করে। ফলস্বরূপ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আপনি অনেক রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক গবেষণায় দেখেছেন, যারা সকালে ঘুম থেকে ওঠেন, তারা দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো ফল করে।
রুটিন মেনে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া ও সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করলে ঘুম ভালো হয়।ফুসফুসের কর্মক্ষমতা ভালো হয়।হার্টের সমস্যা দূরে থাকে।অবসাদ ও উত্তেজনার অবসান করে।শরীরের স্থূলতা দূর হয়।পরীক্ষার ফল ভালো হয়।সুখের জীবন লাভ করা যায়।
তাই মহান আল্লাহ ফজরের নামাজের মাধ্যমে সকালে ঘুম থেকে উঠা আবশ্যক করে দিয়েছেন।

শারীরিক সুস্থ থাকার জন্য নামাজ :
নামাজ মানুষের মানসিক, স্নায়ুবিক, মনস্তাত্ত্বিক, অস্থিরতা, হতাশা-দুশ্চিন্তা, হার্ট অ্যাটাক, হাড়ের জোড়ার ব্যাথা, ইউরিক এসিড থেকে সৃষ্ট রোগ, পাকস্থলীর আলসার, প্যারালাইসিস, ডায়াবেটিস মেলিটাস, চোখ এবং গলা ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।এটা আমার কথা নয়। মেডিকেল সায়ন্স দ্বারা প্রমানিত।
নামাজে দাঁড়ানো:  মানুষ যখন নামাজে দাঁড়ায়, তখন চোখ সিজদার স্থানে স্থির থাকে। ফলে মানুষের একাগ্রতা ও মনোযোগ বাড়ে।
রুকু: নামাজি ব্যক্তি যখন রুকু করেন আবার রুকু থেকে ওঠে সোজা হয়ে দাঁড়ান তখন মানুষের কোমর ও হাঁটুর ভারসাম্য রক্ষা হয়। রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে কোমর ও হাঁটু ব্যথা কমে।
সিজদা: নামাজে যখন সেজদা করা হয় তখন নামাজি ব্যক্তির মস্তিস্কে দ্রুত রক্ত প্রবাহিত হয়। ফলে তার স্মৃতি শক্তি বহুগুণে বাড়ে। আবার সেজদা থেকে ওঠে যখন দুই সেজদার মাঝখানে বসে এতে তার পায়ের উরু ও হাঁটু সংকোচন এবং প্রসরণ ঘটে। এতে করে মানুষের হাঁটু ও কোমরের ব্যথা উপশম হয়।
ওঠা বসা: নামাজের সময় নামাজি ব্যক্তিকে দাঁড়ানো, রুকুতে যাওয়া, রুকু থেকে ওঠে সোজা হয়ে স্থির দাঁড়ানো, আবার সিজদায় যাওয়া, সিজদা থেকে ওঠে স্থিরভাবে বসা, আবার সিজদা দিয়ে দাঁড়ানো বা বসা। এ সবই মানুষের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। এতে মানুষের শারীরিক বহুবিদ উপকার সাধিত হয়।
সালাম ফেরানো:  নামাজ শেষে বসা অবস্থায় ডান ও বাম দিকে সালাম ফেরানো হয়। এতে শরীরের শুধু মাথা ও ঘাড় ডান দিকে ও বাম দিকে ফেরানো হয়। এটা ঘাড়ের উত্তম ব্যায়াম, যা নামাজের মাধ্যমে সাধিত হয়।
স্বাস্থ্য উপকারিতা: নামাজ মানুষের দেহের কাঠামোগত ভারসাম্যতা বজায় রাখে। ফলে স্থুলতা কমে। নামাজে নড়া-চড়া করায় অঙ্গগুলো স্থানভেদে সংবর্ধিত, সংকুচিত হয়ে বিশেষ কাজ করে থাকে। অঙ্গ ও জোড়াগুলোর বর্ধন ও উন্নতি এবং শক্তি বাড়ায়।
মানসিকতার পরিবর্তন: নামাজের মাধ্যমে মানুষের মন ও মানসিকতায় অসাধারণ পরিবর্তন আসে। গোনাহ, ভয়, নীচুতা, হতাশা, অস্থিরতা, পেরেশানি ইত্যাদি দূরভীত হয়। ফলে বিশুদ্ধ মন নিয়ে সব কাজে সম্পৃক্ত হওয়া যায়।
চেহারার লাবন্যতা বৃদ্ধি: নামাজের জন্য মানুষ যতবার অজু করে, ততবারই মানুষের মুখমণ্ডল ম্যাসেস হয়ে থাকে। যাতে মুখমণ্ডলে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ফলে মানুষের চেহারার লাবন্যতা বৃদ্ধি পায়, মুখের বলিরেখা ও মুখের দাগ কমে যায়।
দেহের কাঠামোগত উন্নতি: নামাজ মানুষের দেহের কাঠামোগত ভারসাম্যতা বজায় রাখে। ফলে স্থুলতা ও বিকলঙ্গতা হার কমে যায়। মানুষ যখন নামাজে নড়াচড়া করে তখন অঙ্গগুলো স্থানভেদে সংবর্ধিত, সংকুচিত হয়ে বিশেষ কাজ করে থাকে। অঙ্গ ও জোড়াগুলোর বর্ধন ও উন্নতি এবং শক্তি বৃদ্ধি পায়।
চিন্তা মুক্ত করেঃ
নামাজের জন্য প্রথম করণীয় হলো সকল প্রকার জাগতিক চিন্তা দূর করে পরিপূর্ণ আল্লাহর ধ্যানে দাঁড়ানো। সারা দিনের চিন্তার ইতি টেনে নামাজের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। যার ফলে মানুষিক চাপ কমে যায়। নানা জটিলতা থেকে হালকা হয়ে যায়।
জোহরের নামাজ
এবার জোহরের নামাজ এর উপকারিতা একটু আলোচনা করা যাক।
কাজের বিরতি :
একটানা কাজ শরীর ও মন দুইটার জন্যই উপকারী নয়। এই নামাজের জন্য মানুষ একটানা কাজের থেকে বিশ্রাম নিয়ে নামাজে রওনা হয়।
গোসল বা ওজু :
জোহরের নামাজ এর জন্য মানুষ ওজু বা গোসল করে। দুপুরের সময় যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও কাজের বিরতিতে শরীরচর্চা হয়ে যায়। যিনি দাড়িয়ে কাজ করেন, আবার যিনি বসে কাজ করেন উভয়ের জন্যই উঠ বস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জোহরের দশ রাকাত নামাজে যেটা ভালো ভাবে পালিত হয়। এর ফলে ক্ষুধা অনুভব হয়।
এভাবে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আলাদা আলাদা উপকারিতা রয়েছে।
নামাজের সামাজিক উপকারিতা
একটি বিভেদ হীন সুন্দর ও শৃঙ্খলাবদ্ধ সমাজ গঠনেনামাজের ভূমিকা সর্বপ্রথম।
মানবসমাজকে একটি সুশৃঙ্খল নিয়ম-নীতির আওতায় আনার জন্যই রাষ্ট্র প্রয়োজন। আর এ কথা সুস্পষ্ট যে রাষ্ট্রের পক্ষে শুধু বল প্রয়োগ করে মানুষকে নিয়ম-নীতির আওতায় আনা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন তাদের মানসিকভাবে প্রশিক্ষণ। আর এর সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হচ্ছে, মানুষের অন্তরে আল্লাহ তাআলার সামনে উপস্থিতি ও নিজের সমস্ত কাজের জবাবদিহির অনুভূতি সৃষ্টি করা।
কারণ এই অনুভূতিই মানুষকে রাতের আঁধারে এবং নির্জনতায়ও নজরদারিতে রাখে। এই অনুভূতি সর্বদা জাগ্রত রাখার জন্য নিয়মিত সালাত আদায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নামাজ অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে
ইসলামে রাজনীতি হোক, অর্থনীতি হোক অথবা ইহলৌকিক অন্য কোনো বিষয়ই হোক, সেটাকে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক এবং মানুষের আত্মিক দীক্ষা থেকে আলাদা করা যায় না। নামাজ মানুষের দিলে তার একেকটি কথা ও কাজ সেই সত্তার গোচরীভূত হওয়ার চিন্তা সৃষ্টি করে, যার কাছে শেষ পর্যন্ত ফিরে যেতে হবে।
এই চিন্তাই মানুষকে মানুষ বানায় এবং তার কর্মকাণ্ড নিয়ম-শৃঙ্খলার অধীন রাখে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দাচার থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বাধিক বড় বিষয়। আর যা কিছু তোমরা করো, তা আল্লাহ খুব ভালো জানেন।
: আনকাবুত, আয়াত : ৪৫)
এ আয়াতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, নামাজ যেহেতু আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং নামাজে নিয়মিত গুরুত্ব প্রদানকারী যেহেতু এই অনুভূতিতে মুহ্যমান থাকে যে আল্লাহ তাআলা প্রতিটি কাজের ব্যাপারে অবগত আছেন, এ জন্য নামাজ তাকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।
(তাফসিরে রুহুল মাআনি ১০/৩৬৭)
এ জন্য নামাজ দুর্নীতি, অন্যায়, জুলুম-নির্যাতনসহ সব অনৈতিক কাজ থেকে বিরত রাখে। এতে পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের স্বল্প ব্যবহার সত্ত্বেও সমাজব্যবস্থা
নিরাপত্তার চাদরে আবৃত থাকে।
অনেকে নামাজ পড়া সত্ত্বেও পাপকাজে লিপ্ত কেন
এখন যারা উপরোক্ত কথাগুলো নৈতিকভাবে মানার পক্ষে নয়, তারা উদাহরণ দিতে আরম্ভ করে—অমুক ব্যক্তি নামাজের পাবন্দি সত্ত্বেও অমুক অমুক অনৈতিক কাজে লিপ্ত।
এর উত্তরে প্রথম কথা হলো : এসব উদাহরণ দেওয়ার সময় সাধারণত মানুষের মধ্যে অতিরঞ্জনের প্রবণতা কাজ করে।
দ্বিতীয়ত, যাকে আমরা দেখছি, নামাজ পড়া সত্ত্বেও পাপকাজে লিপ্ত, তার নামাজে নিশ্চয়ই কোনো ত্রুটি রয়েছে, সে নিয়মিত সঠিক নিয়মে হক আদায় করে হয়তো নামাজ পড়ছে না। তা না হলে অবশ্যই সে শুধরে যেত। এক হাদিসে এসেছে, জনৈক সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করলেন, অমুক ব্যক্তি নামাজ পড়া সত্ত্বেও তার চুরির অভ্যাস আছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তার নামাজ তাকে শিগগিরই চুরি থেকে বিরত করবে।
(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৯৭৭৮)
তৃতীয়ত, নামাজি ও বেনামাজিদের মোকাবেলা একটি-দুটি উদাহরণের ভিত্তিতে নয়, বেশির ভাগের ভিত্তিতে করা বাঞ্ছনীয়। বাস্তব সত্য হচ্ছে, আজও যখন বেনামাজিদের মোকাবেলায় নামাজিদের অবস্থা জরিপ করা হয়, তখন নিঃসন্দেহে অন্যদের তুলনায় নামাজিদের মধ্যে ইনসাফ, আমানতদারি ও সত্যবাদিতা বেশি দৃষ্টিগোচর হয়। অথচ অবস্থা এখন এমন যে মানুষের দ্বিনি দীক্ষাদানের রাষ্ট্রীয় কোনো ব্যবস্থা নেই। যখন রাষ্ট্রের অধীনে ইসলামী শরিয়তের প্রয়োগ হবে, তখন নামাজ কায়েমের সঙ্গে জনসাধারণের চরিত্রগত দীক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে। (দেখুন : তাফসিরে রুহুল মাআনি ১০/৩৬৭, ইসলাম আওর সিয়াসি নজরিয়াত,
জামাত এর উপকারিতা
নামাজ আদায়কারীদের অনেকেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মসজিদে আসেন। মসজিদে নামাজ পড়তে এলে তাঁদের পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে ওঠে। মসজিদে নামাজ আদায় করলে বান্দার আত্মিক উন্নতি হয়। সামাজিক ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। জামাতে নামাজ আদায় করায় মুসলমানরা দৈনিক পাঁচবার একত্রে মিলিত হওয়ার সুযোগ পান। ফলে তাদের মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে ওঠে। একতাবদ্ধ হয়ে সৎ কাজ করার শিক্ষা জামাতে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে অর্জন করা যায়।এছাড়া ও জামাতের জন্য আলাদা ভাবে হাটাহাটি করা হয়। এটা শরীর সুস্থ রাখে। অনেক মানুষের সাথে মিলিত হওয়ার ফলে মনের কষ্ট লাঘব হয়। সকলের খবর দিনে পাঁচ বার নেওয়া যায়।
ধনী-গরীব, সাদা – কালো, গোত্রের বিভেদ নামাজের কাতারে সব মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। এক আল্লাহর সৃষ্টি সকল মানুষ সমান হয়ে সারিবদ্ধভাবে মিলেমিশে নামাজ আাদায় করে। কত সুন্দর এই বিধান।
আল্লাহ আমাদের সবাই কে নামাজ প্রতিষ্ঠা করার তৌফিক দান করুন। আমিন

(নুরুন্নাহার জিনিয়া)
রুপসা দারুচ্ছুন্নাত আলিম মাদ্রাসা, রুপসা, খুলনা।

Facebook Comments
no views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি