1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন

কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণের অনিয়ম ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীকে ছাত্রনেতার স্মারকলিপি প্রদান

মোঃ এরফান হোছাইন, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট : শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০
কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণের অনিয়ম ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীকে ছাত্রনেতার স্মারকলিপি প্রদান
ভূমি অধিগ্রহণের টাকা প্রাপ্তিতে ভোগান্তির অবসান চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ছাত্রনেতা ছিবগতুল্লাহ'র স্মারকলিপি প্রদান

কক্সবাজার জেলা জুড়ে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভোগান্তির প্রতিকার চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন জাগ্রত ছাত্রসমাজের আহ্বায়ক ছাত্রনেতা ফজলে আজিম মোঃ ছিবগতুল্লাহ।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতি থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই জেলার মহেশখালীতে সরকারের বাস্তবায়নাধীন হাজার হাজার কোটি টাকা বাজেটের বিভিন্ন প্রকল্পে শুরু থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানা হয়নি। উন্নয়নের নামে লুটপাটের মহোৎসব চলেছে কিছু দুর্নীতিবাজ আমলা, স্থানীয় সুবিধাভোগী নেতা, জনপ্রতিনিধি ও দালালের নেতৃত্বে। ভূমি হারানো মানুষকে ক্ষতিপূরণের টাকা পেতে পদে পদে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। কেটে রাখা হচ্ছে প্রাপ্য ন্যায্য মূল্যের ২০-৩০ শতাংশ অর্থ। পুনর্বাসন প্রকল্পেও হচ্ছে ব্যাপক নয়ছয়। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে মহেশখালী জাগ্রত ছাত্রসমাজের ব্যানারে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মহেশখালীর সর্বস্তরের মানুষ ও ছাত্ররা।  সেই সংগঠনের আহবায়ক হিসেবে সকল অন্যায়-অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন ছাত্রনেতা মহেশখালীর সন্তান ফজলে আজিম মোঃ ছিবগতুল্লাহ।

স্মারকলিপিতে ছিবগতুল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, মহেশখালীর বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের জন্য যে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে সে সকল অঞ্চলের সব শ্রেণীর মানুষ সম্পূর্ণ নিঃস্ব বলা যায়। কারণ এই জমির উপরে ভিত্তি করেই এই অঞ্চলের মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। এখন উক্ত জমি অধিগ্রহণ করায় মৎস্য ও লবণ চাষ ঐ অঞ্চলে সম্পূর্ণরূপে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে আর দ্বীপ এলাকা মহেশখালীর মানুষের আয়ের শেষ সম্বল মিষ্ঠি পানের বরজও প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে । তাছাড়া সবচেয়ে আক্ষেপের বিষয় হচ্ছে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা প্রাপ্তিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয় তথা ভূমি অধিগ্রহণ শাখা, কক্সবাজার কর্তৃক বিভিন্ন অজুহাতে দীর্ঘসূত্রিতা।

এল.এ মামলা নং ২/২০১৩-২০১৪ এর মূলে যে ১৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, সেই জমিতে জাইকা কর্তৃক পুরোদমে উন্নয়ন কাজ চলছে। অথচ বিভিন্ন অজুহাতে এখনো ৪০% মানুষ তাদের জমির প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের টাকা এখনও উত্তোলন করতে পারে নাই। ভূমি অধিগ্রহণ শাখার দুর্নীতি ও লুটপাট জেলাজুড়ে অনেকটাই ওপেন সিক্রেট বলা যায়।

২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর মাতারবাড়ীর ব্যবসায়ী একেএম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা করেন।  এল.এ মামলা নং- ২/২০১৩-১৪ এর মূলে যে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়, তাতে ২৩ (তেইশ) কোটি টাকা দুর্নীতির দায়ে তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব রুহুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জনাব জাফর আলমসহ ৩৫ (পয়ঁত্রিশ) জন ব্যক্তি দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন। উক্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা এখনও চলমান। মাঝখানে ২০১৫-২০১৭ এর সময় ২/৩ বছর জনাব আলী হোসেন সাহেব জেলা প্রশাসক থাকাকালীন কিছুটা দুর্নীতি কমলেও তার পরবর্তী সময় থেকে অদ্যাবধি দুর্নীতি লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলছে। এল.এ.ও রেজাউল করিম এসপিএম ও ৫০০০ একর হতে কমিশন বাবদ আদায়কৃত প্রায় ৫০ কোটি টাকা নিয়ে ইতিমধ্যে করোনাকালীন সময়ে দুদকের চিঠি পাওয়ার পরপরই সিন্ডিকেট ম্যানেজ করে ইউরোপে পাড়ি জমান।

দুর্নীতির মাত্রা এমন ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যে, গত ১৮/০২/২০২০ইং তারিখে র‌্যাব কক্সবাজার কমান্ড অফিস, কক্সবাজার এল.এ শাখার ০৩ (তিন) সার্ভেয়ারের বাসায় অভিযান চালিয়ে ঘুষ ও দুর্নীতির ৯৩ (তিরানব্বই) লক্ষ ৬৬ (ছেষট্টি) হাজার টাকা উদ্ধার করলে সারাদেশে হৈচৈ পড়ে যায়। তাতে ওয়াসিম উদ্দিন নামে ০১ (এক) জন সার্ভেয়ার হাতেনাতে গ্রেফতারও হন। গত ২০/১০/২০২০ইং উক্ত উদ্ধারকৃত ঘুষ ও দুর্নীতির টাকা নিয়ে উক্ত ০৩ (তিন) জন সার্ভেয়ারের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে দুদক চট্টগ্রাম অঞ্চল-০২ গত ১০/০৩/২০২০ ইং ০১ (এক)টি মামলা দায়ের করেন। দুদকের মামলা দায়েরের পর উক্ত মামলার তদন্ত কাজ শুরু হলে এল.এ অফিস তথা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কক্সবাজার ইচ্ছা করেই গত ০৮ (আট) মাস ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেন।

এমনকি গত ০৮/০২/২০২০ইং তারিখ র‌্যাব অভিযানের পূর্বে যে সকল চেক প্রদান করা হয়েছিল, সে সকল চেকের এডভাইস ও স্ক্রল পর্যন্ত বন্ধ করে রেখেছেন। এসপিএম ৮/১৭-১৮ তে কোন কৃষক তাদের একাউন্টের টাকা পায়নি। সাম্প্রতিক দুদকের অভিযানে বর্ণিত এল.এ অফিসের ঘুষ বাণিজ্য, দালালদের দৌরাত্যে জড়িত অনেক থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের সঠিকভাবে বাস্তবায়ন ও সম্পদের সুষ্ঠু বন্টনের স্বার্থে দুদকের এই অভিযান অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। কিন্তু একটি শক্তিশালী অশুভ চক্র তা ভন্ডুল করতে সদা তৎপর।

এমতাবস্থায় বর্ণিত প্রেক্ষাপটে অত্র অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের ক্ষতিপূরণের টাকা/চেক নির্বিঘ্নে প্রদান করতে এবং ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আপনার আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Facebook Comments
৩৫৫ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি