নীলফামারী প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডিমলায় এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে মাটি কেটে টলি দিয়ে অন্যত্র বিক্রি হচ্ছে ফসলী জমির মাটি, নষ্ট হচ্ছে সড়ক। সরে জমিনে দেখা যায়, উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামে ভাঙ্গাপুল নামক স্থানে দিনে ও রাতে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে ফসলী জমি খনন করে সেই মাটি ও বালু ৭/৮ টি টলিতে বহন করে অন্যত্র বিক্রি করছে প্রভাবশালী মহল । এছাড়াও টলিতে মাটি ও বালু পরিবহন করায় ভেঙ্গে যাচ্ছে চলাচলের রাস্তা। ধুলোবালিতে দুষিত হচ্ছে পরিবেশ। অনুমোদন ছাড়াই এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে মাটি ও বালু কাটা চলছে বেশ কয়েকদিন ধরে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফজলার রহমানের পুত্র রাকিব ইসলাম নামে ঐ ব্যক্তি প্রভাবশালী হওয়ায় ও প্রভাবশালীদের ইন্ধনে প্রশাসনের নাকের ডগায় অনুমোদন ছাড়াই এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব শুরু করছে এবং অন্যত্র বিক্রি করছে। তার ভয়ে বাধা দেওয়ার সাহস নেই এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাকিব ইসলাম জানান, এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে মাটি ও বালু কাটার অনুমোদন নেই । অনুমোদন ছাড়া কিভাবে মাটি ও বালু কাটছেন জানতে চাইলে সংবাদকর্মীকে কোন উত্তর দিতে পারেননি তিনি। এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিনের চালক ফারুক আব্দুল্লার পুত্র আজিনুর রহমান জানান, রংপুর বিভাগের মধ্যে যে কোন স্থানে আমাদের মাটি কাটার অনুমোদন আছে আমাদের প্রশাসন থেকে শুরু করে কারো অনুমতি লাগে না। ট্রলিপ্রতি মাটি বিক্রি করছেন ১০০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। মাটি বহন করার সময় ট্রলির কারনে যেমন চলাচলের রাস্তা নষ্ট হচ্ছে তেমনি ফসলী জমি ক্ষতি হচ্ছে। অত্র ইউনিয়নের সহকারী ভ‚মি কর্মকর্তা আবুল হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে শুনেছি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন সংবাদকর্মীকে বলেন, অনুমোদন ছাড়া ফসলি জমির মাটি খনন ও বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। যারা মাটি খনন ও বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।