শুধু জ্বালানি তেল নয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনায় গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোরও ইঙ্গিত দিয়েছে সরকার। বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষা এবং বাজেট সহায়তা হিসেবে সংস্থাটির কাছে আনুষ্ঠানিক ঋণ প্রস্তাব দেওয়ার আগেই সরকারের এমন চিন্তাভাবনা গত মাসে ঢাকা সফরে আসা মিশনকে জানানো হয়। মিশনটির সঙ্গে সরকারের রাজস্ব ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় আরও কিছু সংস্কার নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। আগামী মাসে ঋণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হবে। এ জন্য আইএমএফের আরেকটি মিশনের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমার প্রবণতা যখন মানুষের মাঝে কিছুটা আশার সঞ্চার করছিল, তখন গত শুক্রবার সরকার ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম উচ্চহারে বাড়িয়েছে, যা গড়ে প্রায় ৪৭ শতাংশ। এর বিরূপ প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবনে পড়েছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম এবং পরিবহন ভাড়া এক লাফে অনেক বেড়েছে। জীবনযাত্রার পাশাপাশি শিল্প, কৃষি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ অবস্থায় গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। আইএমএফ অবশ্য মনে করে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের দাম নিয়ে এখনও বড় ধরনের অনিশ্চয়তা আছে।