1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৪ অপরাহ্ন

খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শিমুল গাছ

মিহির রঞ্জন বিশ্বাস ফুলতলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২

মিহির রঞ্জন বিশ্বাস ফুলতলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ পলাশ ফুটেছে শিমুল ফুটেছে এসেছে ফাগুন মাস ,শীতের শেষে ফাগুন এলেই গ্রাম বাংলার প্রকৃতির যে রঙ্গিন সাজ বিশেষ ভাবে আমাদের চোখে পড়ে তাহল লাল ফুলে ফুলে সেজে ওঠা শিমুল গাছ। বহু দুর থেকে চোখপড়ে শিমুল গাছে লাল ফুলের চাদরে মোড়ানো মনোরম দৃশ্য।আর খুব সকালে গাছের তলায় ফুলে ফুলে বিছিয়ে থাকার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য,এক ফুল থেকে অন্য ফুলে মধুর আশায় পাখিদের ছোটা ছুটি।এই শিমুল গাছ যে সুধু সৌন্দর্যে সেরা তা নয়,গ্রাম বাংলার গরিব কৃষক ও মজুরের শীত নিবারনে স্বাস্থ্যসম্মত্য ও আরামদায়ক লেপ,তসোক ও বালিশ তৈরী হয় এই শিমুল তুলা থেকে ।কালের পরিক্রমায় হারাতে বসেছে সেই বসন্তের ঐতিহ্য আর প্রকৃতিক তুলা উৎপাদনের কারখানা বাংলার শিমুল গাছ।প্রাকৃতিক ভাবে তুলা উৎপাদনের এই গাছটিকে এলাকা ভেদে শিমুল বা মান্দার গাছ বলে পরিচিতি রয়েছে । ১০-১৫ বছর পূর্বেও গ্রামের মেঠোপথে পাশে,বিলের কিনারায়,বাড়ির আঙিনায়,পুকুরপাড়ে ,বাগানে প্রচুর গাছ দেখা যেত। তখন খুলনা মহানগর ও তার আশেপাশে এলাকায় রাস্তার পাশে ,বাড়ির আনাচে কানাচে চোখে পড়ত অসংখ্য শিমুল গাছ। আর এসব গাছে ফুটন্ত শিমুল ফুলের সমারোহই জানান দিত প্রকৃতিতে বসন্ত এসেছে। প্রস্ফুটিত ফুলে পুরো এলাকা এক অপরূপ রূপে সজ্জিত হয়ে উঠতো।কিন্তু, দিন দিন শিমুল গাছ কমে যাওয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে সেই সৌন্দর্য সুধুতাইনয় এই ফুলের ফল পেকে তা থেকে পাওয়া যেতো তুলা । প্রাকৃতিক তুলার অন্যতম উৎস যা শিমুল তুলা নামে পরিচিত। শিমুল গাছ সাধারণত পাঁচ ছয় বছর বয়সে ফুল হয়ে থাকে গাছ ৯০ থেকে ১০০ ফুট লম্বা হয়। শীতের শেষে বসন্তের শুরুতে গাছে ফুল আসে চৈত্র-বৈশাখ মাসে ফল পেকে ঝরে পড়ে।এগুলো সংগ্রহ করে রোদে শুকিয়ে নিলে এর ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে সাদা ধবধবে তুলা। একটি বড় আকারের শিমুল গাছ থেকে বছরে কমপক্ষে ৩/৪ মন তুলা পাওয়া যায়। গ্রামের মানুষ শিমুল তুলা দিয়ে বালিশ লেপ-তোসক তৈরি করে নিজেদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি শহরের ফড়িয়াদের নিকট তুলা বিক্রয় করত। বাংলার গ্রামগঞ্জ থেকে মিলিয়ে যাচ্ছে শিমুল তুলা আর তার সাথে সাথে পুরাতন তুলো ধোনার শব্দ । আর এর জায়গা দখল করেছে অপেক্ষাকৃত কম দামের সিন্থেটিক, হোসিয়ারি কাপড়ের টুকরোয় তৈরি বালাপোষ (গার্মেন্টস তুলা)।আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রে কবিরাজরা শিমুলের কাটা ও আঠা চিকিৎসা কাজে ব্যবহার করত।প্রাচীনকাল থেকেই কবিরাজি চিকিৎসার ক্ষেত্রে গাছের কাটা,আঠা, শিকড়-ছাল ও কচিপাতা ব্যবহার করে আসছে। আধুনিক বিজ্ঞানীরাও ওষুধের উপকরণ উদ্ভিদ থেকে উদ্ভাবন করেছেন। এসব এলাকার বিলুপ্তি প্রায় শিমুল গাছের ফলের থেকে পাওয়া তুলা এক সময়ে প্রতি কেজি বিক্রি হতো ৪০-৫০ টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে তিন শত থেকে সাড়ে তিন শত টাকা।প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বেড়েওঠা গাছের প্রতি মানুষ ঝুকে পড়েছে তাই বিভিন্ন ধরনের ফল,ফুল ও ঔষধি গাছ রোপন করা হলেও শিমুল গাছ রোপণের কোন ঊদ্যোগ লক্ষ করা যায়না।বানিজ্যিক ভাবে তো দুরের কথা সাধারন ভবে এই শিমুল গাছের পরিচর্যা বা গাছ রোপণ করতে দেখা যায়না। তাই শিমুল গাছ পর্যায়ক্রমে এলাকা থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।এব্যপারে মিরোমনি ষাটউর্দ্ধ শাহাজান বলেন এই এলাকা বাগানে, রাস্থার পাশে এক সময়ে অনেক শিমুল গাছ ছিলো কিন্তু তা কেটে ফেলা হয়েছে ,নতুন করে শিমুল গাছ রোপনের করা হচ্ছে না বলে এই শিমুল গাছ হারিয়ে যাচ্ছে। ফুলতলা উপজেলা উপসহকারি কৃিষ কর্মকর্তা আল মামুল হাওলাদার বলেন শিমুল তুলায় সুতা তৈরী হয়না শিমুল তুলার বিকল্প তুলা যা অল্প জায়গায় ও স্বল্প সময়ে আধিক ফলন জাত তুলা নিয়ে কৃষি গবেষনা হয় । শিমুল গাছ রোপণ ও পরিচর্যা না থাকায় দিন দিন শিমুল গাছ হারিয়ে যাচ্ছে।

Facebook Comments
১৮ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি