1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন

ছয় ঘন্টার বৃষ্টিতে যশোরে পানির নিচে তলিয়ে গেছে কৃষকের সপ্ন

যশোর প্রতিনিধি
  • আপডেট : সোমবার, ৯ মে, ২০২২

যশোর প্রতিনিধি ||যশোরে টানা ছয় ঘন্টার বৃষ্টিতে চৌগাছা উপজেলায় বোরো ধান নিয়ে কৃষকের স্বপ্ন মাঠেই মারা যাওয়ারও উপক্রম হয়েছে। মাঠে কেটে রাখা ধানের ওপর পানি, কোথাও পানিতে ভাসছে মাঠে বেঁধে রাখা ধান। সোমবার (০৯) সকাল ৯টার দিকে গোটা জেলা জুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়। চৌগাছা  উপজেলা জুড়ে ঝুম বৃষ্টিতে মাঠে কেটে রাখা, কোথাও বেঁধে রাখা, কোথাও জালি দিয়ে রাখা (কেটে, বেঁধে মাঠের এক জায়গায় গাদা করে রাখা) ধানের ওপর দিয়ে পানির স্রোত বয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে কৃষকের সর্বশান্ত হওয়ার উপক্রম। উপজেলার সিংহঝুলি গ্রামের আলম দফাদার বলেন, চৌদ্দ বিঘা ধান করেছি। শ্রমিক না পাওয়ায় কাটতে পারিনি। ঠাকুরগাঁও থেকে শ্রমিক এসেছে সোমবার সকালে। ধান কাটতে কাটতেই বৃষ্টিতে ভিজে সারা। তিনি বলেন, এরআগে মাঠে কারেন্ট পোকায় কেটে চাষীর ক্ষতি করেছে। শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে না পেরে এখন বৃষ্টিতে ভিজে শেষ হয়ে গেলো। রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা চৌগাছা শহরের একটি স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয় সাংবাদিক বাবুল আক্তার বলেন, রবিবার রাতে আমি ও আমার এক ভাই দুই জনের দুই বিঘা খেতের ধান বেঁধে জালি দিয়েছি। এখন সেই জালির ওপর দিয়ে পানির স্রোত যাচ্ছে। তিনি বলেন, খেতটি একটু নিচুতে হওয়ায় সেখানকার মাটি নরম ছিলো। সেজন্য কোনো গাড়ি না যাওয়ায় ধান বাড়ি নিতে পারিনি। তাছাড়া আবহাওয়া বার্তা ছিলো দশ তারিখের পর বৃষ্টি হবে। হঠাৎ সোমবার দিনভর যে বৃষ্টি হয়েছে তাতে উপজেলার কমবেশি সকল কৃষকেরই ক্ষতি হয়েছে। এদিকে আবহাওয়া বার্তা রয়েছে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই ঘূর্ণিঝড় আসানির প্রভাবে বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি এভাবে টানা দু’তিনদিন চললে কৃষকের সব স্বপ্ন মাঠেই মারা যাবে। সিংহঝুলি গ্রামের কৃষক টনিরাজ বলেন, ধান কেটে রেখেছিলাম। কারেন্ট পোকার আক্রমণ, শ্রমিক সংকটের পর এই অসময়ের বৃষ্টিতে কেটে রাখা ধানগুলি সব শেষ। কৃষকরা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের টানা বর্ষণে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চৌগাছার বোরো ধান চাষ প্রায় একমাস পিছিয়ে যায়। ব্যপক ক্ষতি হয়, পেয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন সবজির। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা উপজেলায় লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় ১ হাজার ১৫০ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধান চাষ করেন। ধানের ফলনও হয়েছিলো বাম্পার। তবে অসময়ের হঠাৎ এই বৃষ্টিতে কৃষকের সেই স্বপ্ন এখন মাঠেই জলে ডুবে রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা ছিলো ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর। তবে কৃষকরা ১৮ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ করেছিলেন। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, ধানের বাম্পার ফলনও হয়েছিলো। সারাদেশে গড়ে হেক্টরে যেখানে ৫.৮২ মেট্রিকটন ধান উৎপদন হলেই বাম্পার ফলন ধরা হয়। চৌগাছায় সেখানে হেক্টর প্রতি ৬ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হওয়ার আশা করছিলেন কৃষি কর্মকর্তারা। এখন বৃষ্টিতে সেই লক্ষঅর্জনও সম্ভব হবে না বলে জানাচ্ছেন কৃষকরা। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, অসময়ের বৃষ্টিতে কিছুটা ক্ষতি তো হবেই। তিনি বলেন, তবে বৃষ্টি আর না হলে কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ কমবে।

Facebook Comments
২ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি