অনিক হাসান মুরাদনগর(কুমিল্লা)প্রতিনিধি ,দৈনিক শিরোমণিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরে সরকারি যায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত দোকান উচ্ছেদের পর ফের দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দখলদার অনেকেই উচ্ছেদ করা অংশে টিনের চাল ও কার্পাল দিয়ে ছাউনি বানিয়ে দোকান পরিচালনা করে আসছেন। যার ফলে উচ্ছেদ হওয়া দোকানের জায়গাগুলো ফের দখলের শঙ্কা রয়েছে।জানা যায়, উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে চলতি বছরের ৯মার্চ যানজট নিরসন ও মহাসড়ক ফুটপাতমুক্ত করতে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)।এসময় সড়কের পাশে গড়ে উঠা প্রায় ৩০০টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদের পর যানজট কিছুটা নিরসন হলেও বর্তমানে এ জায়গা আবার দখল করার ফলে যানজট আগের রূপে ফিরে আসবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জ বাজারে উচ্ছেদ করা দোকানগুলোর বাশ, কাঠ, টিনসহ বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে। কোন কোন জায়গায় এসব উচ্ছেদকৃত স্থাপনার উপর কার্পাল দিয়ে ছাউনি বানিয়ে আবার কেউ টিনের চালা তৈরি করে তার নিচে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।ইতিমধ্যে এ বাজারেরর সততা প্লাস্টিক পট্টিতে দুটি দোকান নির্মান কাজ সম্পূর্ন করে আরো দুটি দোকান নির্মানের কাজ অব্যাহত রেখেছেন উপজেলার কুলুবাড়ি গ্রামের তাজুল ইসলাম, গুঞ্জুর গ্রামের খালেক মিয়া, ধামঘর গ্রামের তাজুল ইসলাম ও ব্যবসায়ি রুহুল আমিন। যার ফলে বাকি দখলদাররাও দোকান নির্মান করতে সক্রিয় হচ্ছে বলে জানা গেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, যারা এ দোকানগুলো নির্মান করছেন তারা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ছত্রছায়ায় এ দোকান নির্মানের কাজগুলো করছেন। দখলদারদের কেউ কেউ মৌখিকভাবে এসব প্রবাবশালীদের কাছ থেকে এ দোকানের জায়গাগুলো কিনেছেন। দখলদার ধামঘর গ্রামের তাজুল ইসলামের সাথে দোকান দখলের ব্যাপারে কথা হলে তিনি বলেন, নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বলেছেন আমরা আমাদের দোকনগুলো একটু একটু করে নির্মান কাজ শেষ করে ফেলতে তাই আমরা দোকানগুলো নির্মান করছি। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বলেন, এটা সড়ক ও জনপথের জায়গা আমি অনুমতি দিব কিভাবে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। যারা এভাবে সরকারি জায়গা দখল করছেন এটা অন্যায় করছেন। দখলদারদের ব্যাপার