1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন

বশেমুরবিপ্রবির দুই সাংবাদিককে হেনস্থা ও হুমকি; জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০২০

শিরোমণি নিউজ ডেক্সঃ

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তারিক লিটু কে হুমকি দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক ও এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।

দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি তারিক লিটুর থানায় দায়েরকৃত সাধারন ডায়েরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক গোলাম হায়দারসহ ৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

জিডিতে অভিযোগ করা হয়েছে, বিলম্ব তালিকা থেকে ফাঁকা আসনে ভর্তির দাবিতে ৮ শিক্ষার্থী ২৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের গেটের সামনে আমরণ অনশন শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে গত ২৯ অক্টোবর রাতে অনশনরত শিক্ষার্থীরা অনশন প্রত্যাহার করে নেয়। বিলম্ব তালিকা থেকে ফাঁকা আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১লা নভেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে জানতে চেয়ে ২রা নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও দৈনিক শিরোমণি পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ফয়সাল জামানকে তদন্ত কমিটিতে তলব করা হয়।

এদিকে ফয়সাল জামান ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে আসার পথে পথিমধ্যে দাদার মুত্যুর সংবাদ জানতে পারেন। পরে তিনি বিষয়টি তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে ফোনে জানায়। তারপরও তদন্ত কমিটি তাকে তদন্ত বোর্ডে হাজির হতে বলে। তিনি তদন্ত বোর্ডের মুখোমুখি হওয়ায় দাদার জানাজায় অংশ নিতে পারেননি। এতে ফয়সাল জামান মানসিক ভাবে ভেঙে পরেন।

এ ঘটনায় মর্মাহত হয়ে ফয়সাল জামান ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। পোস্টে ফয়সাল লিখেছিলেন, এমন মানসিক নির্যাতনে মরে যেতে ইচ্ছে হয়। আর এ ঘটনায় যদি আমার কিছু হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি দায়ী থাকবে।

এ বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনের জন্য জানতে চেয়ে ঘটনার দিন রাত ৯টা ২২ মিনিটে দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা লিটু প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানকে ফোন দেন। এর পরপরই রাত ১০টা ১০ মিনিটে অনশনরত শিক্ষার্থী বিষয়ক তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আইন অনুষদের ডিন আব্দুল কুদ্দুস মিয়া তাকে সাংবাদিক হিসেবে সহযোগিতার জন্য একাডেমিক ভবনে সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. শাজাহানের রুমে যেতে বলেন।

দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি তারিক লিটু যথাযথ সময়ে উপস্থিত হলে সাবেক উপাচার্য ড. শাজাহান বলেন, তোমার মত সাংবাদিক আমরা কেয়ার করি না। সাবেক উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ড. শাহজাহান এবং প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান তারেক লিটুর বিগত দিনের কিছু সংবাদের ব্যাখ্যা চান।প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিলেও তাকে হলুদ সাংবাদিক বলে আখ্যায়িত করেন তারা।

অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে প্রক্টর ডক্টর রাজিউর রহমানের সাক্ষাতের ছবিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব ফেসবুক পেইজে প্রচার করায় তিনি তারেক লিটু এবং বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের নামে লিগ্যাল অ্যাকশনে যাবেন বলেও হুমকি দেন।

এ ছাড়া কমিটির অন্যতম সদস্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গোলাম হায়দার তারেক লিটুকে বলেন তোমার এলাকায় (খুলনা ৬) এমপির স্ত্রী আমার অধীনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি করতেন। তিনি চাইলে উক্ত জনপ্রতিনিধিকে বিষয়টি অভিযোগ করলে তারেক লিটুর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে বলে হুমকি দেন।

বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গোলাম হায়দার বলেন, আমি তদন্ত কমিটির সদস্য। তদন্ত বোর্ডে আমি সব সময় ছিলাম না, মাঝে মাঝে গিয়েছি। তবে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করার সময় খুলনা ৬ আসনের এমপির স্ত্রী তার অধীনে চাকরি করতেন বলে স্বীকার করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, সাংবাদিকের জিডির বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তাই সঠিক তথ্য জানার জন্য ২জন সাংবাদিককে তদন্ত কমিটিতে ডাকা হয়েছিল। সেখানে কি ঘটেছিল, তা আমি জানি না।

এ ঘটনা পর থেকে দেশের সকল বড় বড় মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া এবং সাংবাদিক সমাজ তীব্র নিন্দা জানিয়ে।

ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য শিরোমণি নিউজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ডক্টর রাজিউর রহমান স্যারের সাথে ফোন ও ম্যাসেজে একাধিক বার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ ও ম্যাসেজেরও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।

Facebook Comments
৪৪ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি