1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন

প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে থাবা বসিয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীরা

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে থাবা বসিয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। দেশি-বিদেশি কিছু এক্সচেঞ্জ হাউস প্রবাসী কর্মীদের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে অন্যত্র বিনিয়োগ করে মুনাফা নিচ্ছে।ফলে সময়মতো দেশে টাকা আসছে না। অর্থ দেরিতে আসায় অনেক প্রবাসী হুন্ডির দ্বারস্থ হচ্ছেন। এতে দেশ বঞ্চিত হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা থেকে। এ ছাড়া ভিসা ব্যবসার আড়ালেও রেমিট্যান্সের অর্থ আটকে যাচ্ছে হুন্ডিবাজদের হাতে।সব মিলে রেমিট্যান্সের একটি বড় অংশই চলে যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের কব্জায়। এসব প্রতিষ্ঠানই একটি চক্রের মাধ্যমে অর্থ অন্য খাতে স্থানান্তর করছে। সূত্র জানায়, বিদেশে কিছু বৈধ ও অবৈধ এক্সচেঞ্জ হাউস প্রবাসীদের কাছ থেকে রেমিট্যান্স সংগ্রহের পর ব্যাংকে জমা দিচ্ছে না। তারা প্রবাসীদের এ অর্থ বিদেশে বিনিয়োগ করে মুনাফা নিচ্ছে।এজন্য বিদেশের মানি মার্কেটে ওভার নাইট বা এক দিন, এক সপ্তাহ, এক মাস বা তিন মাসের জন্য বহুমুখী বিনিয়োগের সুবিধা আছে। এক্সচেঞ্জ হাউজ ও হুন্ডিবাজরা প্রবাসীদের কাছ থেকে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করে ওইসব খাতে বিনিয়োগ করছে।এ খাতে প্রায় ১৫০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বিদেশে আটকে রয়েছে। এগুলো দেশে আনার জন্য ব্যাংকগুলোকে তাগাদা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, রেমিট্যান্স এক্সচেঞ্জ হাউসে জমার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই দেশের ব্যাংকে নষ্ট্রো অ্যাকাউন্টে (বাংলাদেশি ব্যাংকের হিসাবে) জমা করে। এতে অর্থ জমা হলেই তা বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পেয়ে যাবে।এরপর বাংলাদেশের ব্যাংক প্রবাসীর হিসাবে তা টাকায় স্থানান্তর করে। কিন্তু এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো তা না করে রেমিট্যান্সের অর্থ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে। বিদেশের সব জায়গায় বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর মতো ব্যাংকিং সুবিধা নেই।এ কারণে অনেক প্রবাসী বাধ্য হয়ে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠায়। এটা করতে গিয়ে অনেকেই ফেঁসে যাচ্ছেন। এ প্রবণতা রোধে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো বিদেশে এক্সচেঞ্জ হাউস খুলতে থাকে।এছাড়া বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসের সঙ্গেও দেশের ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স পাঠানোর চুক্তি করে। এ সুযোগে বৈধ এক্সচেঞ্জ হাউজের পাশাপাশি গড়ে উঠে অনেক বেআইনি হাউস।গত বুধবার অর্থমন্ত্রী তার নিজের একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, দেশে মোট রেমিট্যান্সের ৪১ শতাংশই আসছে হুন্ডিতে। গত অর্থবছরে দেশে রেমিটেন্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার।এ হিসাবে হুন্ডিতে এসেছে ৮৬২ কোটি ডলার। মোট রেমিট্যান্স দাঁড়াচ্ছে ২ হাজার ৯৬৫ কোটি ডলার। কিন্তু হুন্ডির ওই রেমিট্যান্স থেকে দেশ বঞ্চিত হয়েছে। ওইসব বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসেনি। ২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো বিদেশে বাংলাদেশের ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো পরিদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের কয়েকটি পরিদর্শক দল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আবর আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে সরেজমিনে যান।সেখানে দেখেন, প্রবাসীরা রেমিট্যান্সের অর্থ জমা দিলেও তা বাংলাদেশে আসছে ২ থেকে তিন মাস বা আরও পড়ে। ওইসব অর্থ ট্রানজিট হিসাবে অন্য খাতে বিনিয়োগের তথ্য পান।মাঝে সেই প্রবণতা কমলেও এখন আবার বেড়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপরও কয়েকটি বিদেশি ব্যাংকের শাখা পরিদর্শন করা হয়েছে। সেখানেও এ ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, হুন্ডি বন্ধ করতে হলে সরকারের সদিচ্ছা লাগবে। এখন বিশ্বব্যাপী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন যেভাবে প্রয়োগ হচ্ছে তাতে হুন্ডি বন্ধ করা খুব বেশি কঠিন নয়।এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংককে বেশি সক্রিয় হতে হবে। এছাড়া ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হারের ক্ষেত্রে ব্যাংক ও খোলাবাজারের মধ্যে সমন্বয় আনতে হবে।এজন্য যা জরুরি তা হলো অর্থপাচার ও কর ফাঁকি বন্ধ করা। এ দুটি করলে খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা অনেকটাই কমে যাবে। তখন দামও কমবে। খোলাবাজার থেকে ডলারের বড় অংশই বিদেশে পাচার হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, বিদেশে যেখানে বাংলাদেশিরা রয়েছে সেখানের আনাচে-কানাচে বেআইনিভাবে অনেক এক্সচেঞ্জ হাউস গড়ে উঠেছে। সেগুলোর মাধ্যমে হুন্ডিতে অনেকেই রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন।এদের অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন। বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসে সৌদি আরব থেকে অর্থাৎ ২১ শতাংশ। সৌদি আরবে এ ধরনের এক্সচেঞ্জ হাউসের ব্যবসা অবৈধ।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সে দেশের পুলিশ এমন বেশ কিছু এক্সচেঞ্জ হাউস বন্ধ করেছে। তারপরও চোর-পুলিশ খেলায় সেগুলো আবার চালু হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসে মোট রেমিট্যান্সের ৯ শতাংশ।সেখানে সিলেট ইনভেস্টমেন্ট নামে একটি বেআইনি এক্সচেঞ্জ হাউস খুলে প্রবাসীদের মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অনলাইনে এ প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাজ্য থেকেও রেমিট্যান্স সংগ্রহ করছে বলে জানা গেছে। মোট রেমিট্যান্সের ১২ শতাংশ আসছে যুক্তরাজ্য থেকে। পর্তুগালেও এমন অনেক বেআইনি এক্সচেঞ্জ হাউস রয়েছে। তারা প্রবাসীদের কাছ থেকে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করলেও দেশে পাঠাচ্ছে না। এ নিয়ে গত কুরবানির ঈদের আগে প্রবাসীরা সেখানে বিক্ষোভ করলে বাংলাদেশ ব্যাংক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়। ফলে ওই দেশ থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ স্বাভাবিক হয়েছে। বাংলাদেশের মোট রেমিট্যান্সের ৫২ শতাংশ আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। ব্যাগেজ রুলের আওতায় স্বর্ণ আমদানির সুযোগ দেওয়ায় ওইসব দেশে থেকে ব্যাপকভাবে স্বর্ণ আসছে।এ খাতে রেমিট্যান্সের অর্থ ব্যয় হচ্ছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যত কর্মী কাজ করে সে তুলনায় রেমিট্যান্স আসছে কম। গত অর্থবছরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে রেমিট্যান্স কমেছে ১৬ শতাংশ। মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়া ভিসা ব্যবসা বেশ জমজমাট। ভুয়া নাম-ঠিকানা দিয়ে ভিসা সংগ্রহের পর সেগুলো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে দালালদের কাছে। বাড়তি লাভের বিনিময়ে প্রবাসীদের কাছ থেকে রেমিট্যান্স নিয়ে দালালরা সেগুলো কিনছে।একটি ভিসা আড়াই থেকে তিন লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পরে ওইসব ভিসা দেশে আরও বেশি দামে বিক্রি হয়। এভাবেও মোটা অঙ্কের রেমিট্যান্স পাচার হচ্ছে। মোট রেমিট্যান্সের যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৬ শতাংশ, কুয়েত থেকে ৮ শতাংশ, ওমান থেকে ৪ শতাংশ, মালয়েশিয়া থেকে ৫ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৯ শতাংশ, অন্যান্য দেশ থেকে ২৭ শতাংশ আসে।ওইসব দেশেও হুন্ডি চক্র সক্রিয়। বিশেষ করে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি হুন্ডিবাজরা বেশি তৎপর। যে কারণে মালয়েশিয়া থেকে এখন রেমিট্যান্স বেশি কমেছে।গত অর্থবছরে মালয়েশিয়া থেকে রেমিট্যান্স কমেছে প্রায় ৪২ শতাংশ। সিঙ্গাপুর থেকে কমেছে ৩২ শতাংশ। করোনার সময় হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসত। এখন হুন্ডি সক্রিয় হওয়ায় রেমিট্যান্স কমেছে।

Facebook Comments
০ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি