1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন

ডা মহসিন যোগদানে পাল্টে গেছে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র  

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২

ফরিদপুর প্রতিনিধি, মোঃ শাখাওয়াত হোসেন :দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার উপজেলা হিসেবে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। মূলত পৌরসভাসহ ১৩ টি ইউনিয়নের প্রায় তিন লক্ষাধীক জনগণের জন্য ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসকরা প্রতিনিয়ত সেবা প্রদান করে আসছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ভাঙ্গা-ফরিদপুর-বরিশাল  মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ার সুবাধে যশোর-খুলনা, ভাঙ্গা-মাওয়া, মহাসড়কে বিভিন্ন সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোন ঘটনায় রোগীদের চিকিৎসা প্রদানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর চিকিৎসকেরা।

জানা গেছে, সরকারী নীতিমালার আওতায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের অনেকেই নিজেদের এলাকায় দায়িত্বপালন করছেন। তাদের মধ্যে স্বামী ও স্ত্রী (গাইনী বিশেষজ্ঞ) দুজন চিকিৎসক অন্য সকল চিকিৎসকদের সাথে রোগীদের সেবাদানের ফলে গাইনী বিভাগের প্রসূতি মায়েদের জন্য আধুনিক চিকিৎসার নিরাপদ একটি ইউনিট গড়ে উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

বিশেষ করে ভাঙ্গা উপজেলা সরকারী হাসপাতালে একটি সময় চিকিৎসক সংকট ছিল চরমে। জনগণ তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে ছিল বঞ্চিত। হাসপাতালে রোগী আসলে যেমন সুচিকিৎসা পেত না তেমনি ছিল ওষুধ সংকট। কিন্ত ডা. মহসিন উদ্দিন ফকির ভাঙ্গায়  আসার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বরত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় চিকিৎসক সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হওয়ায় জনগণ হাসপাতালে এসে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন বলে অভিমত ইনডোর ও আউটডরের রোগীদের।

এছাড়া প্রসূতি মায়ের নিরাপদ অপারেশন করার পাশাপাশি প্রতিদিন আউট ডরে ৫ শতাধিক রোগী চিকিৎসা পাওয়ার পাশাপাশি ৬০ থেকে ৭০ জন ইনডোর ভর্তি রোগীরা চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।

করোনাকালীন আপদে হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিজেদের জীবন ঝুঁকি রেখে শত শত করোনা রোগী ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে মাইলফলক দৃষ্টান্ত গড়েছেন বর্তমান ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সরকারি কর্মকর্তা ডা. মহসিন উদ্দিন ফকির, ডা. এমএম মঈনুউদ্দিন সেতু সহ কর্মরত সকল চিকিৎসকগণ।

ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টার সূত্রতায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রায় ১০ কোটি ব্যয়ে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট একটি আধুনিক ভবন (১০০শয্যা আবেদনকৃত) নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। নতুন ভবনের কার্যক্রম শুরু হলে অচিরেই সকল সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদী চিকিৎসক ও সেবা নিতে আসা রোগীরা।

সাধারণ রোগীদের ভাষ্যমতে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা গুরুত্বের সাথে রোগীর সেবা প্রদান করছে বিধায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা ব্যবস্থা আগের তুলনায় ভাল বলে সেবা নিতে আসা সেবাকারীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।

কর্মরত চিকিৎসকগণ মনে করেন, মূলত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর প্রধান হিসেবে প্রশাসনিক কাঠামো পরিচালনা পর্ষদ এর দায়িত্ব পালনে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহসীন উদ্দিন ফকির প্রতিনিয়ত অগ্রণি ভূমিকা পালন করে আসছেন। তিনি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে “টিম ওয়ার্ক ভাঙ্গা নাম” করনে হাসপাতালের অভ্যন্তরে সত্যিকার অর্থে রোগীদের প্রকৃত সেবাদান করার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করেছেন। এরফলেই চিকিৎসা ও সেবার মান প্রতিনিয়ত উন্নীত হচ্ছে বলে তারা মনে করেন।

সচেতন নাগরিক সমাজ মনে করেন, সরকারের উন্নয়নের মাইলফলক হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৫ জুন পদ্মাসেতুর উদ্বোধন ও ২০২০ সালে দেশের প্রথম এশিয়ান হাইওয়ে এক্সপ্রেওয়ের উদ্বোধনের পর শতভাগ যেমন বেড়ে গেছে উপজেলার গুরুত্ব তেমনি হাইওয়ে সড়কের পাশে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অবস্থিত হওয়ায় চিকিৎসকদের দায়িত্বও অনেকাংশ বেড়ে গেছে।

চিকিৎসা সেবা নিতে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি (তিনি) নিজের শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলাম। বহির্বিভাগ থেকে ৫ টাকা দিয়ে একটি টিকিট কেটে ১৬ নম্বর কক্ষের দায়িত্বরত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করি। অত্যান্ত বিনয়ী হয়ে চিকিৎসক আমাকে চিকিৎসা সেবা দান করেছেন।

স্থানীয় সূত্রমতে, ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান এর প্রচেষ্টায় একজন স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে অফিস চলাকালীন সময় শৃঙ্খলার কাজে চলছে। বিশেষত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে এসে যেন রোগীদের বাহিরের কোন ক্লিনিক বা ডায়াগ্নস্থিক সেন্টারের দালালদের খপ্পরে না পরতে হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মৌখিক আবেদন প্রেক্ষিতে ভাঙ্গাবাসীর সুচিকিৎসার লক্ষে জনগুরুত্বপূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করার মধ্যে দিয়ে দালাল মুক্ত সুচিকিৎসা ব্যবস্থার অনেকটাই উন্মোচন হয়েছে বলে মনে করেন ভাঙ্গার সচেতন নাগরিক সমাজ।

ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বাস্থ্য বিভাগকে ডিজিটালে রুপান্তরিত করার মধ্যে দিয়ে আধুনিকতার ছোঁয়ায় পৌঁছে দিয়েছেন যাতে করে দেশের জেলা ও উপজেলার প্রতিটি নাগরিক সরকারী হাসপাতাল থেকে সুচিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে। সেই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপির পক্ষ থেকে আমরা উপজেলা পরিষদের সেবাখাত থেকে ভাঙ্গা হাসপাতালে সেবা গ্রহণকারীদে কথা ভেবে একজন স্বেচ্ছাসেবক কর্মীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে সমন্বয় করে পাশে দাঁড়িয়েছি। তিনি আরও বলেন, মানবসেবার জন্য ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ন্যায় সকল জনপ্রতিনিধিকে এগিয়ে আসার দরকার। কারন মানবিক সেবার চেয়ে বড় সেবা আর কিছু নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহসিন উদ্দিন-এর সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান,অামি এই হাসপাতালে যোগদান করার পর চিকিৎসকের শত ভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিটি ইনজুরি সাটিফিকেট তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। শুনেছি এখানে অাগে সার্টিফিকেট বাণিজ্য হতো সেটা কঠোর হস্তে দমন করা হয়েছে।

হাসপাতাল থেকে ক্লিনিক দালাল ও টাউট শতভাগ মুক্ত করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টা জরুরী সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই সাথে জরুরী মাতৃসেবা ও জরুরী সিজারিয়ান অপারেশন ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার ব্যবস্থা করেছি। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা দোড়গোড়ায় পৌছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা দান কারিদের উপর কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে।

এতদসত্ত্বে ও আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।হাসপাতালের নতুন ভবন হ্যান্ডওভার পেলে আমরা সে সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে পারবো ইনশা আল্লাহ।

Facebook Comments
১৭ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি