1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:০৫ অপরাহ্ন

জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল

রেদোয়ান হাসান সাভার,ঢাকা প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১
রেদোয়ান হাসান সাভার,ঢাকা প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে জৈষ্ঠ্যমাসেই আষাঢ়-শ্রাবণের রুপ ধারণ করেছে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের পরিস্থতি। দুই দিনের বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা।
টানা বৃষ্টির জেরে সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, অফিসপাড়া, সিএনজি স্টেশন, কারখানা ও বাসাবাড়িতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে সৃষ্ট দুর্ভোগে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কর্মজীবী, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ। মঙ্গলবার সরেজমিনে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা ও আশপাশের সব নদী খাল পানিতে পরিপূর্ণ হওয়ায় বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি নেমে যেতে পারছে না।আবার কিছু এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও ময়লা আবর্জনায় ড্রেন ভরাট হওয়ায় সড়কের আবর্জনা উঠে আসছে বাসাবাড়িতেও। নোংরা পানিতে চলাচল করায় অনেকেই পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতায় তলিয়ে যাওয়া সড়কে অহরহ দুর্ঘটনায় পড়ছেন অনেক পথচারী ও রিকশা চালকরা। তুলনামূলক নিচু এলাকায় কোমড় সমান পানিও জমেছে। আশুলিয়ার পল্লি বিদ্যুৎ, পলাশবাড়ী, বাইপাইল, জামগড়া, ডেন্ডাবরসহ, ইউনিক, জামগড়া, শিমুলতলা, বুড়ির বাজার নবীনগর-বাইপাইল ও বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কে বিভিন্ন এলাকায় ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় তীব্র জলাবদ্ধতায় সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।জলাবদ্ধতার কারণে সকাল থেকেই টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কের ইউনিক থেকে নরসিংহপুর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় গাড়ি গুলোকে থেমে থেমে চলতে দেখা গেছে। এতে সড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বাইপাইল ত্রিমোড় এলাকা যেন কোমড় পানিতে নদীতে পরিণত হয়েছে। পথচারী ছাড়াও বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ভারি মালামাল বহনকারী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানগুলো গর্তে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলেও জানা গেছে।এছাড়া সিএনজি চালিত গাড়ির ইঞ্জিনে পানি ঢোকায় তা সড়কের মাঝখানে বিকল হতেও দেখা যায়।পানিতে তলিয়ে প্রায় ১৮ লাখ টাকার আকটেন ও ডিজেল নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি শিমুলতলা এলাকার আনোয়ার সিএনজি এন্ড ফিলিং স্টেশনের।মালিক আনোয়ার মৃধা জানান, বৃষ্টিতে আমার পাম্প ডুবে গেছে। ৭৫০০ লিটার অকটেন ও ১৭ হাজার ডিজেল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ১৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া কোটি টাকার কম্প্রেসার ও েজনারেটর মেশিন পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নিজেরাই পানি নামানোর জন্য েসচ পাম্প দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছি। এই শিল্প এলাকায় ড্রেন না থাকায় আমরা অনেক দিন ধরেই এভাবে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির শিকার হন। কোথাও জানিয়েও এর কোন প্রতিকার আমরা পাইনি।এদিকে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিলেও এখনো প্রশাসন কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। এনিয়ে এলাকার জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।হামিদা বেগম ভোর বেলা ভাড়া বাসার ছোট্ট কক্ষে ভোর বেলা ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় ঘরে পানি ঢুকে বিপাকে পড়েন। তিনি বলেন, হঠাৎ কইরা ভোরে ঘরে কোমড় সমান পানি ঢুকছে। আমার খাট,  ফ্রিজ, আরমারি পানিতে নষ্ট হইয়া গেছে। সকাল থাইকাই পানি সেইচা কমাইতে পারতেছিনা। অ্যার কারণে অফিসেও যাইতে পারি নাই। পোলাপান লইয়া না খাইয়া বাইরে আছি। আমাগো কষ্টের শ্যাষ নাই।বৃষ্টির পানি জমে সড়ক রুপ ধারণ করেছে নদীর মতো। এমনকি কিছু এলাকার সড়ক নৌকা চলাচলের উপযোগী। পানি দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই এটি রাস্তা, না খাল!বাইপাইলে সড়কের উপর কোমড় পানিতে সয়লাব। টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের শিমুলতলা, ইউনিক, জামগড়া সহ বেশ কিছু স্থানে তিন দিন ধরে জলাবদ্ধতার কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয়রা।বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর খসরু পারভেজ বলেন, বৃষ্টির কারণে গত দুই দিন ধরেই এই সড়কে পানি জমে আছে। আজকে অবস্থা বেশি খারাপ। বাইপাইল থেকে জামগড়া পর্যন্ত সড়কে পানিতে ভরপুর। নৌকা চলার মত অবস্থা। এতে গাড়ি গুলোকে খুব আস্তে চলতে হচ্ছে। ফলে সকাল থেকেই এই সড়কে াঅনেক যানজট দেখা দিয়েছে। আমাদের ডেপ্লয়েড যানজট নিরসনে কাজ করছে। কিন্তু পানি না কমা পর্যন্ত এই সংকট নিরসন সম্ভব নয়। জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে এই সড়কে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণকেই দায়ী করেন। এ জন্য বারবার সওজ কতৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল মেলেিন বলে জানান তিনি।এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগের টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কের দায়িত্বে থাকা সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বদিউর রহমানকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়িন।তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে সড়কটি সংস্কার কাজে নিয়োজিত মেইনেটইন্যন্স ঠিকাদার ইমাম হোসেন বলেন, আমরা রাত-দিন পানি নিষ্কাশনে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু আশপাশের বিভিন্ন শিল্প কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত পানি সড়কে ছেড়ে দেয়াসহ খাল দখল করে আবসান গড়ে তোলায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। বর্জ্যের কারণে ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে না। তারপরও আমরা ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা তুলে পানি নিষ্কাশনের পথ সচল করার চেষ্টা করছি।
Facebook Comments
০ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি