নাজমুল হোসেন রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার মানব জমিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও এশিয়ান টিভির রাজবাড়ী সদর প্রতিনিধি সুজন খন্দকারের উপর হামলা ও তার বিরুদ্ধে সেই মাদক কারবারী পরিবারের মানববন্ধনের প্রতিবাদে ও দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৪ঠা সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে বারোটায় উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্যাতিত সাংবাদিক সুজন খন্দকার। এসময় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবী করেন।তিনি বলেন সরকার মাদকের উপর জিরো টলারেন্স নীতি দেখাচ্ছে। মাদকের আতর ঘর খ্যাত দৌলতদিয়া সেখানে অবাধে চলে মাদক সেবন ও বেচাকেনা। পুলিশি অভিযানে সেবনকারী ও মাদক কারবারি আটক হলেও জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবার তারা মাদক ব্যাবসায় লিপ্ত হয়।উল্লেখ্য,গত ২রা সেপ্টেম্বর এশিয়ান টেলিভিশন ও মানবজমিন পত্রিকায় “দৌলতদিয়া প্রকাশ্যে চলছে মাদক বেচাকেনা শিরোনামে ” সংবাদ প্রকাশ পায়। সেখানে অনেক মাদক কারবারির নাম এসেছে যাদের প্রত্যেকের প্রমান রয়েছে এরা মাদক কারবারি সাথে জড়িত।এর মধ্যে অন্যতম দৌলতদিয়া শহিদ ডাক্তার (পল্লী চিকিৎসক)এর ছেলে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে এর নেতৃত্ব দিচ্ছে এমন অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক সুজন খন্দকার।তার মা একজন পতিতা ছিল এবং শহীদ ডাক্তারের তিন বউয়ের ঘরে চার ছেলে যারা মাদক কারবারি হিসাবে দুই একজন জেল খেটেছে এবং জেলে আছে। সম্প্রতি ৭০২৫ পিচ ইয়াবাসহ তার বড় ভাই মনির রাজবাড়ী জেলা ডিবির হাতে ধরা পরে। এছাড়া তার ভাই ফারুক ও তার বাবা শহিদ ডাক্তারের নামেও মামলা রয়েছে। সে বর্তমানে জামিনে রয়েছে।কিন্তু গতকাল তারা গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন করে সেখানে তারা সাংবাদিকদের কে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য প্রদান করে। এই মানববন্ধনে অনেক মাদক কারবারি অংশ গ্রহণ করে বলে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে নিশ্চিত করেন। এছাড়া তিনি আরও বলেন তার নামে দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে কোন বাড়ি নেই। গত দুই বছর ধরে তিনি পুরোপুরি সাংবাদিকতা করেন এবং এর আগে ও মাদকের বিরুদ্ধে অনেক সংবাদ প্রকাশ করেছেন বলে জানান। তিনি ভবিষ্যতে ও মাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করবেন বলে জানান। তিনি সঠিক তদন্ত করে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন এশিয়ান টিভির রাজবাড়ী প্রতিনিধি ও মানবজমিনের গোয়ালন্দ প্রতিনিধি সুজন খন্দকার জানান , সোহেলের নেতৃত্বে আমার গোয়ালন্দে যে মানববন্ধন হয়েছে। সেই মানববন্ধনে ব্যানারে আমাকে কথিক সাংবাদিক বলা হয়েছে।এই ভাষাটা আমার সম্মানে আঘাত এনেছে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই । যারা আমাকে কথিত উল্লেখ করে নিউজ করেছে তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই কোন পত্রিকায় কাজ করলে কথিত সাংবাদিক হয় আর কোন পত্রিকায় কাজ করলে কথিত সাংবাদিক হয় না।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, কলেজ ছাত্র সোহেলের বিরুদ্ধে থানায় কোন ধরনের মামলা নেই। তবে সোহেলের পরিবার মাদকের সাথে জড়িত। আমরা এখন পর্যন্ত সোহেলকে মাদকসহ পাইনি। তবে তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে এমন কিছু পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।তবে সুজন খন্দকার এশিয়ান টেলিভিশন ও মানবজমিনের প্রতিনিধি সেখানে তার নিউজ প্রচারিত হয়। এখানে সুজন খন্দকারকে কথিত বলার সুযোগ নেই।