1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১১ অপরাহ্ন

করোনার রেশ থাকবে আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসিতেও

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

করোনার রেশ থাকবে আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসিতেও

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মাস পার হতে চললেও এখনো চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যেতে পারে। করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় সকল পাবলিক পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার কারণে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সাধারণত বছরের জুলাই মাসে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী আর অক্টোবরে নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়া হয়। আর দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী বা অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে এবং ডিসেম্বরে নির্বাচনী পরীক্ষা হয়। এরপর নভেম্বরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করা হয়। ইতোমধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেছে। আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও হয়নি। একাদশ শ্রেণিতে কলেজ পর্যায়ে নেয়া বিভিন্ন ক্লাস টেস্ট আর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে এসব শিক্ষার্থীকে ‘অটো পাস’ দেয়া হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা হয়। করোনাকালে প্রাতিষ্ঠানিক পাঠদান বন্ধ। এ কারণে পরীক্ষা যথাসময়ে শেষ করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তবে প্রতিষ্ঠান খোলার পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
তবে দেরি হলেও এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন অভিভাবকরা। এ বিষয়ে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের চেয়ারম্যান জিয়াউল কবীর দুলু বলেন, ‘এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম শেষ করে পরীক্ষা নেয়া উচিত। অন্যথায় শেখা ও জ্ঞান অর্জনে ঘাটতি থেকে গেলে তা পরবর্তী জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।’
এদিকে করোনাকালে লেখাপড়ার ঘাটতি নিরূপণ করে ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষাবর্ষ শেষ করার লক্ষ্যে কৌশল নির্ধারণ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করার প্রস্তুতি নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা গ্রহণে ইতোমধ্যে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। রাজধানীর ইন্দিরা রোডের নজরুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক ৮ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে ৬ দফা প্রস্তাব সংবলিত স্মারকলিপিও দেন। তাতে ৫০ করে ১০০ নম্বরে বাংলা দুই পত্র এবং একইভাবে ইংরেজি দুই পত্র পরীক্ষা নেয়ার কথা বলা হয়। এছাড়া বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে তত্ত্বীয় ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা নিয়ে ব্যবহারিকের ২৫ নম্বর এমনি দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। আইসিটি বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল; বিজ্ঞান, বিজনেস স্টাডিজ ও মানবিক বিষয়ে একটি করে বিষয়ের পরীক্ষা নিয়ে বাকিগুলো ঐচ্ছিক ঘোষণার প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিশেষ ব্যবস্থায় এই পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ও চিন্তা করছে। সেই কারণে সারাদেশ থেকে সিটপ্ল্যান সংগ্রহ করেছে বোর্ডগুলো। সে অনুযায়ী, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩ ফুট দূরত্ব রেখে ‘জেড’ সিস্টেমে শিক্ষার্থীদের বসানো হবে। শিক্ষা বোর্ড থেকে নভেম্বরে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে অবশ্য আরও তিনটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে রাখা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-শিক্ষার্থীদের অতীত পরীক্ষার (জেএসসি-এসএসসি) ফলের ওপর ভিত্তি করে গ্রেড দেয়া; স্বল্পপরিসরে পরীক্ষা নেয়া; (এই দুটি গ্রহণ না করলে) আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করা।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে না পারলে বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে পরবর্তী শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের উন্নীত করার চিন্তাভাবনাও চলছে। আর এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা গত এপ্রিলে নির্ধারিত থাকলেও তা নেয়া যায়নি। এই পরীক্ষা নেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় তা বাতিলও করা হয়নি।
ইতোমধ্যে এই পরীক্ষার প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর জীবন থেকে চলে গেছে সাড়ে পাঁচ মাস। যথাসময়ে পরীক্ষা হলে তারা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক এ ব্যাপারে বলেন, ‘এবারের এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি। সরকারি সিদ্ধান্ত পেলে রুটিন ঘোষণা করা হবে।’
জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সাধারণ ছুটি আছে। পরিস্থিতি অনুকূলে না এলে এ ছুটি আরও বাড়তে পারে।

Facebook Comments
১ view

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি