 
																
								
                                    
									
                                
দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, আগামী জুনের শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৯৯৬ কোটি ডলারে নেমে আসবে, যা দিয়ে সাড়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।
আর নিট রিজার্ভ নেমে দাঁড়াবে ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলারে, যা দিয়ে মেটানো যাবে ২ দশমিক ৯ মাসের আমদানি ব্যয়। উলেখ্য, আন্তর্জাতিক নিরাপদ মানদণ্ড অনুযায়ী সাধারণ সময়ে কমপক্ষে তিন মাসের এবং সংকটকালে চার মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ থাকা দরকার। কাজেই রিজার্ভের বর্তমান পরিস্থিতি যে উদ্বেগজনক, তা বলাই বাহুল্য।
এ পরিস্থিতিতে রিজার্ভের হিসাব সম্পর্কিত আইএমএফের ঋণের শর্ত পূরণ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে সরকার। কাজেই এ ব্যাপারে এখনই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করি আমরা। এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় আমদানি ব্যয় বন্ধ করার পাশাপাশি রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বাড়ানোর দিকে দৃষ্টি দেওয়া জরুরি।
ঈদ উপলক্ষ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বাড়লেও রিজার্ভ বাড়েনি। ঈদের পর রেমিট্যান্স প্রবাহ আবার কমে যেতে পারে। রপ্তানি আয়েও দেখা দিয়েছে নিæমুখী প্রবণতা। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় বেড়ে যাচ্ছে ঘাটতি। বাংলাদেশ ব্যাংক এপ্রিল ও মে মাসে আমদানি আরও কমার পূর্বাভাস দিয়েছে। বস্তুত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার বড় অংশই আসে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় থেকে। এ দুই খাতেই বিরাজ করছে মন্দাভাব। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ খাতে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ওপরও দিতে হবে বিশেষ গুরুত্ব। এক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন শ্রমবাজার খোঁজার পাশাপাশি চলমান শ্রমবাজারগুলোয় নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার উদ্যোগ নিতে হবে।