 
																
								
                                    
									
                                
দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট:উত্তর চীনের সীমান্ত অঞ্চলে ‘সবুজ বেষ্টনী’ আরও সুসংবদ্ধ হয় এবং মরুকরণ রোধে নতুন বিস্ময় সৃষ্টি করা যায়।মরুকরণ রোধ মানব জাতির অস্তিত্ব ও উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক বিষয়। চীন বিশ্বের মরুকরণ কবলিত বৃহত্ দেশগুলোর একটি। মরুকরণ প্রধানত চীনের উত্তর-পশ্চিম, উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে হয়ে থাকে। এসব অঞ্চলকে সংক্ষেপে ‘তিনটি উত্তর’ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ইনার মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এর একটি। এখানে রয়েছে ৫টি মরুভূমি এবং ৫টি বালি- ভূমি। মরুকরণ রোধ করতে গত শতাব্দীর ৭০-এর দশকের শেষ দিক থেকে চীন সরকার এ ‘তিনটি উত্তরাঞ্চলে’ মনুষ্য তৈরি বন প্রকল্প শুরু করেছে। যার মোট আয়তন ৪৩.৫ লাখ বর্গকিলোমিটার। তা চীন দেশের আয়তনের ৪৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তাই একে ‘সবুজ মহাপ্রাচীর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ প্রকল্প ৭০ বছর ধরে চলবে এবং ৮ পর্বে নির্মিত হবে। বর্তমানে ষষ্ঠ পর্বের কাজ চলছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, গত ৪০ বছরের নিরলস প্রচেষ্টায় মরুকরণ কবলিত অঞ্চলে অর্থনীতি, সমাজ ও প্রকৃতির ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। তিনটি উত্তরাঞ্চলের প্রকল্পে জড়িত অঞ্চলে বনের হার ১৯৭৭ সালের ৫.০৫ শতাংশ থেকে ২০২০ সালের ১৩.৮৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। গত দশ বছরে চীনের অর্ধেক মরুভূমিতে এ সংক্রান্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।শি জিনপিং মনে করেন, চীন প্রকৃতির নিয়ম, সামাজিক ব্যবস্থা এবং ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ একটি মরুকরণ রোধের পথ অনুসন্ধান করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব এন্টোনিও গুতেরেস বলেন, ‘চীন সর্বপ্রথম বিশ্বজুড়ে জমির অবক্ষয়ের নিরপেক্ষতা, মরুকরণ কবলিত জমি এবং বালির আয়তন কমানোসহ নানা অগ্রগতি অর্জন করেছে। তা এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে ব্যাপক অবদান রেখেছে।’ সূত্র: সিনহুয়া