
শিরোমনি ডেস্ক রিপোর্ট:মহানগরগুলোর বস্তি, বস্তির বাইরের ও অন্যান্য শহরের নারী ও পুরুষের জন্ম কোথায় অথবা তারা কোথা থেকে এসেছে—এই তথ্য জরিপকারীরা সংগ্রহ করেছেন।মহানগরগুলোর বস্তির ৫৮ শতাংশ নারী ও ৪৮ শতাংশ পুরুষ বলেছেন, তাঁরা গ্রাম থেকে শহরে এসেছেন। ছোট শহরের ৩৪ শতাংশ নারী ও প্রায় ১৪ শতাংশ পুরুষ গ্রাম থেকে সেখানে গেছেন। মহানগরের বস্তির বাইরে বসবাস করা নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে এই হার যথাক্রমে প্রায় ৪৬ ও ৩৫ শতাংশ।আট বছর আগে একই ধরনের জরিপ হয়েছিল। তখন মহানগরের বস্তির প্রায় ৬৭ শতাংশ নারী ও প্রায় ৬৬ শতাংশ পুরুষ বলেছিলেন, তাঁরা গ্রাম থেকে বস্তিতে এসে উঠেছেন।মহানগরের বস্তির বাইরে এবং ছোট শহরে নারী ও পুরুষ আসার হার ২০২১ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে বেশি ছিল। এখন তা কম কেন—এই প্রশ্নের উত্তর জরিপ প্রতিবেদনে নেই।তবে জরিপ প্রতিবেদনের ওপর নির্ধারিত দুজন আলোচক বিষয়টি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ শাহদাত হোসেন বলেন, দেশের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। মানুষের শহরে এসে থেকে যাওয়ার প্রয়োজন কমেছে। তবে এ বিষয়ে বিশদ গবেষণা হওয়া দরকার।বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ কে এম নূর-উন নবী বলেন, শহরে-নগরে মানুষ আসা কমছে—এটা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। তবে করোনার কারণে এমন হচ্ছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা দরকার। অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি দেশের গ্রামগুলোর উন্নতি হচ্ছে। প্রায় সব গ্রামে বিদ্যুৎ আছে, কর্মসংস্থান বাড়ছে। এরই প্রতিফলন পড়েছে অভিবাসনে।জরিপে গ্রাম থেকে শহরে আসার কারণ উঠে এসেছে। পুরুষেরা আসেন মূলত কাজের খোঁজে বা আরও বেশি উপার্জনের আশায়। আর নারীরা আসেন মূলত স্বামীর সঙ্গে থাকার জন্য। তবে একটি বড় অংশ কাজের জন্যও আসে