চাঁদপুর: শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা যেকোনো বয়সে বিদেশে বিশ্ববিদ্যলয়ে পড়তে যেতে পারি। নিজ দেশের বেলায় এত প্রতিবন্ধকতা কেন? বঙ্গবন্ধু স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন মুক্তবুদ্ধি চর্চার কেন্দ্র হয়ে ওঠে। মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও বিকাশের কেন্দ্র হবে, পাশাপাশি একটি বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে ভূমিকা পালন করবে।বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির শর্ত প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের এত প্রতিবন্ধকতা কেন? একবারের বেশি দেওয়া যাবে না (ভর্তি পরীক্ষা)। এই বয়সের পর আসা যাবে না। এটা পড়ে আসলে করা যাবে না, পড়াশোনার মধ্যে গ্যাপ থাকলে ভর্তি হওয়া যাবে না? আমরা তো জীবনব্যাপী শিক্ষার কথা বলছি। তাই যদি হয় তবে যেকোনো শিক্ষায় যেকোনো মানুষ আসতেই পারে। যেকোনো মানুষ জ্ঞান অর্জনের জন্য, শিক্ষা অর্জনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসবেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এত বড় বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের মানুষের টাকায় চলে, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এত প্রতিবন্ধকতা?তিনি বলেন, ভর্তির ক্ষেত্রে নানা রকম প্রতিবন্ধকতার দেয়াল তুলে দিতে হবে। যেকোনো বয়সে যেকোনো মানুষের শিক্ষার অধিকার আছে। পরীক্ষা না দিয়ে তো সে ভর্তি হবে না। যোগ্যতা দেখিয়েই সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসবে। তার বয়স কুড়ি না পঞ্চশ সেটি বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত নয়। তাহলে আমরা যারা বিদেশে পড়ার সুযোগ পেয়েছি আমরা তো সুযোগ পেতাম না। আমরা অনেকেই অনেক বয়সে অনেক রকম পড়াশোনা করে এসেছি। দীপু মনি বলেন, আমরা তো পাশ্চাত্যের দিকে তাকিয়ে থাকি নানা কিছু নিয়ে। দেশ থেকে পাস করে আমাদের দেশের মেধবীরা যারা বিদেশে পড়তে যান, গবেষণা করতে যান, আবার ফিরেও আসেন। সেই সব দেশে ভর্তি হতে গেলে একটি মাত্র পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হওয়া যায়। তাহলে আমাদের দেশে একটি পরীক্ষা দিয়ে কেন সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যাবে না?উচ্চশিক্ষায় ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে দেশের পাঁচ-ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতির মধ্যে এসেছে। এটি শিক্ষার্থী-অভিভাকের অর্থ সাশ্রয়, তাদের হয়রানি কমানোর জন্য প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করে তিনি। খবর কালের কন্ঠ অনলাইন।