1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন

করোনা টেস্টের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাত করলেন যশোরের প্রকাশ কুমার দাশ

জেমস আব্দুর রহিম রানা যশোর জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
  • আপডেট : বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
জেমস আব্দুর রহিম রানা যশোর জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ করোনা টেস্টের ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন খুলনার সদর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাশ। তিনি যশোরের বাঘারপাড়া এলাকার সুরেন্দ্রনাথ দাসের ছেলে।সিভিল সার্জনের তদন্ত রিপোর্টে সম্প্রতি এমন তথ্য উঠে এসেছে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ায় খুলনায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।এত বড় অংকের টাকা সরকারের রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে দীর্ঘদিন কালক্ষেপণ করার পর অবশেষে পালিয়ে গেছে প্রকাশ। খুলনা সদর থানায় এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি করছেন সিভিল সার্জন। জানা যায়, গত বছরের ২ জুলাই থেকে সদর হাসপাতালে করোনা টেস্টের কার্যক্রম শুরু হয়।প্রাথমিকভাবে সাধারণ মানুষদের ৩’শ ও ৫’শ টাকা এবং বিদেশগামীদের সাড়ে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা করোনা টেস্টের জন্য নেওয়া হত। এসব টেস্টের টাকা সংগ্রহ করে চালানের মাধ্যমে সিভিল সার্জন অফিসে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল সদর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমারের। সেই মোতাবেক প্রকাশ প্রতিদিনই চালানের মাধ্যমে কোভিড টেস্টের টাকা জমা দিয়ে আসছিল। কিন্তু টাকা জমা দেওয়ার সাথে টেস্টের সামঞ্জস্য না হওয়ায় সন্দেহ সৃষ্টি হয় সিভিল সার্জন অফিসের।
এর আগের সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ লিখিতভাবে প্রকাশের কাছে কোভিড টেস্টের টাকার হিসাব চাইলে প্রকাশ সেটা দেয়নি। এরপর বর্তমান সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ গত বছরে খুলনায় যোগদানের পর থেকে প্রকাশের কাছে হিসাব চেয়ে কয়েক দফা লিখিত আকারে চাইলেও গুরুত্ব দেয়নি প্রকাশ। প্রায় ৫/৬টি চিঠি লিখিত আকারে প্রকাশকে দেওয়ার পর গত ২৬ জুলাই সে হিসাব দেওয়ার জন্য ১মাস সময় চেয়ে উত্তর দেন। কিন্তু এতে রাজি না হয়ে সিভিল সার্জন তাকে ১৫ দিনের মধ্যেই হিসাব দিতে বলেন। কিন্তু তাতে গড়িমসি শুরু করে প্রকাশ। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে সিভিল সার্জন নিজেকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেন। কমিটির যাচাই বাছাই শেষে কোভিড টেস্টের ২ কোটি ৫৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকার গড়মিল মেলে। এরপর প্রকাশকে এই টাকা দ্রুত পরিশোধ করার জন্য বলা হলে সে টাকা দিতেও স্বীকার হয়। তবে টাকা পরিশোধের জন্য তিনি সময় দাবি করেন।
সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, প্রকাশকে কোন সময় না দিয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর শোকজ করা হয়। পরবর্তীতে প্রকাশ গত ২৩ সেপ্টেম্বর তার অফিসের কর্মচারীদের নিয়ে পুণরায় হিসাব যাচাই বাছাই করা শুরু করেন।দুপুরের দিকে প্রকাশ তার সহকর্মীদের জানায়, তার দুঃসম্পর্কের আত্মীয় মারা গেছে। এই বলে সে অফিস ত্যাগ করে। এখনও তার সন্ধান মেলেনি।তিনি আরও বলেন, তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু প্রকাশের সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই।প্রকাশ যশোরের বাঘারপাড়া এলাকার সুরেন্দ্রনাথ দাসের ছেলে। সে নগরীর মুজগুন্নি এলাকায় বসবাস করত। তার স্ত্রী একজন নার্স।সিভিল সার্জন আরও বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের নিকট পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য প্রস্তুতি চলছে।
Facebook Comments
no views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি