1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন

ঝিনাইদহে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ

সম্রাট শাহ্ খুলনা ব্যুরো চীফ দৈনিক শিরোমণিঃ
  • আপডেট : সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১
সম্রাট শাহ্ খুলনা ব্যুরো চীফ দৈনিক শিরোমণিঃ
ঝিনাইদহে তালাক বা বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয়টি এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে ১৫/২০ বছরের সংসার নিমিষেই ভেঙ্গে যাচ্ছে তুচ্ছ ঘটনায়। সরকারী পরিসংখ্যান থেকে ঝিনাইদহ জেলায় তালাক ও বিচ্ছেদের এমন ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে। তবে নিকাহ রেজিষ্টারদের ভাষ্যমতে তালাক বা বিয়ে বিচ্ছেদের এই হার অনেক বেশি। শহর বা গ্রামের অনেক তালাকে রেকর্ড সরকারী দপ্তরে যায় না। ফলে জেলায় দিনে ১৫ থেকে ২০ জনের তালাক বা বিয়ে বিচ্ছেদের মতো ঘটনা ঘটছে।ঝিনাইদহ জেলা রেজিষ্ট্রারের দপ্তর থেকে ২০২০ সালের ১৪ জুন ১৪৪ নং স্মারকে নিবন্ধন মহাপরিদর্শকের কাছে নিকাহ রেজিষ্ট্রারদের বাৎসরিক বিয়ে ও তালাকের প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। ওই প্রতিবেদনে ঝিনাইদহে তালাক বা বিয়ে বিচ্ছেদের আশংকাজনক তথ্যটি উঠে এসেছে। তথ্যমতে ২০১৯ সালে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় মোট বিয়ে হয়েছে ৭ হাজার ৮’শ ৪২ জনের। এরমধ্যে তালাক হয়েছে ৩ হাজার ৬৪ জনের। তালাকের দিক থেকে ছেলেরাই এগিয়ে রয়েছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ওই বছরে উভয় পক্ষের সম্মতিতে তালাক হয়েছে ২৭৮ জনের। ছেলে একক ভাবে তালাক দিয়েছে ১৪৫৬ জনকে। আর মেয়ে তালাক দিয়েছে ১৩৩০ জন পুরুষকে। হিসাব মতে তালাকের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলা।এই জেলায় ২০১৯ সালে বিয়ে হয় ৭২৪টি। আর তালাকের ঘটনা ঘটে ৪২২টি। বিয়ের অর্ধেকের বেশি তালাকের ঘটনা ঘটেছে কালীগঞ্জে। জেলা কাজী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওবাইদুর রহমান জানান, করোনাকালে জেলায় তালাকের ঘটনা নেহাতই কম নয়। বিয়ের ঘটনা বৃদ্ধি না পেলেও তালাকের ঘটনা অহরহ ঘটছে। ঝিনাইদহ পৌর কাজী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর ২০২১ সালের ৬ মাসের তথ্য দিয়ে জানান, এই সময়ে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে বিয়ে হয়েছে ৩৯১টি। আর তালাকের ঘটনা ঘটেছে ১৬৯টি। প্রতি মাসে ২৮ জনের তালাক হচ্ছে। তথ্যমেত পৌরসভার ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে ৬ মাসে একশটি বিয়ে হলেও তার অর্ধেক হয়েছে তালাক। এছাড়া জেলার ৬টি পৌরসভা, মানবাধিকার সংগঠন, মহিলা বিষয়ক অফিস, মহিলা সংস্থা ও জেলা জজ আদালতের লিগ্যাল এইড অফিসে প্রতিদিন তালাকের আবেদন জমা পড়ছে। এদিকে বিবাহিত নারী-পুরুষের বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সন্তানেরা। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, তালাকের সবচেয়ে বড় কারণ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ‘বনিবনা না হওয়া’। স্ত্রীর করা আবেদনে কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বামীর সন্দেহবাতিক মনোভাব, পরনারীর সঙ্গে সম্পর্ক, যৌতুক, দেশের বাইরে গিয়ে আর ফিরে না আসা, মাদকাসক্তি, ফেসবুকে আসক্তি, পুরুষত্বহীনতা, ব্যক্তিত্বের সংঘাত, নৈতিকতাসহ বিভিন্ন কারণ। আর স্বামীর অবাধ্য হওয়া, শ্বশুড়ির সঙ্গে মনোমালিন্য, পরকিয়া, ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী না চলা, বদমেজাজ, সংসারের প্রতি উদাসীনতা, সন্তান না হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে স্ত্রীকে তালাক দিচ্ছেন স্বামী। তালাকের প্রবণতা সারা জেলার গড় হিসাবেও ক্রমশঃ বাড়ছে। ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ায় বসবাসকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী জানান, তার ১৫ বছরের সংসার। ঘরে একটি মেয়ে। ফেসবুকে স্বামীর পরকীয়া ধরে ফেলায় স্বামী তাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। পাঠিয়েছে তালাকের নোটিশ। কোন প্রতিবাদ করতে পারিনি। আমি এখন অসহায়। কি করবো ভাবতে পারছি না। তিনি বলেন, তালাকের নোটিশ দিয়েও তিনি স্বামীর কাছ থেকে নানা ধরনের হুমকি-ধুমকি পাচ্ছেন। উপশহর পাড়ার এক যুবক জানান, তার স্ত্রী সরকারী কর্মকর্তা। অফিসের বসের সঙ্গে পরকীয়া। ধরে ফেলায় স্ত্রী আমাকে তালাক দিয়ে সেই বসকেই বিয়ে করেছে। ঘরে ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে আমি এখন অহসায়।
Facebook Comments
৩১ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি