
শিরোমণি ডেস্ক : বাংলাদেশ আউটবাউন্ড ট্যুর অপারেটরস ফোরাম (বিওটিওএফ) সর্বশেষ তথ্য বলছে, প্রতিবছর গড়ে আট লাখ মানুষ বিদেশে চিকিৎসা নিতে যায়। এর বড় অংশই যায় ভারতে। দ্বিতীয় প্রধান গন্তব্য থাইল্যান্ড। তৃতীয় স্থানে আছে সিঙ্গাপুর। প্রতিবছর বিদেশে চিকিৎসা নিতে খরচ হচ্ছে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার। গত সাত বছরে এই খরচ দ্বিগুণ হয়েছে। যদিও তাঁরা ট্যুরিস্ট ভিসায় বিদেশ গিয়ে চিকিৎসা নেন। তাঁদের খরচের পরিমাণ এখানে যুক্ত হয়নি। ২০২১ সালের জুনে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন বলেছে, ভারতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ বাংলাদেশি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে দেখা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদেশগামী বাংলাদেশির ৬০ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রতিবেশী দেশ ভারতে গেছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব। এই দেশে ৮ দশমিক ১২ শতাংশ গিয়েছে। এদিক থেকে মালয়েশিয়া অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে, মাত্র ৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এটা হলো বিভিন্ন কাজে বিদেশ গমনের হিসাব। তবে এই জরিপ অনুসারে বিদেশে বাংলাদেশি পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি অংশ সাড়ে ২৯ শতাংশ ব্যয় করেন চিকিৎসা বাবদ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের বাইরে এই ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। একই অর্থবছরে বহির্গামী পর্যটনে মোট ব্যয় ছিল ৩৩ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতে খরচ কম। তুলনামূলক ভবন নির্মাণে সরকারের আগ্রহ বেশি। গরিবদের স্বাস্থ্যসেবায় সরকার যতটুকু অর্থ ব্যয় করে, ততটুকুতেও স্বাস্থ্যসেবার মান খারাপ।