ইমরান শেখ (জেলা প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ)ঃ
গত ৪’জুন (শনিবার) আনুমানিক ৯:৩০মি. চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সীতলপুর এলাকার একটি বেসরকারি এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ারসার্ভিস সূত্র জানায়, বিদেশ থেকে আমদানি করা কনটেইনার ডিপোটিতে হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড নামের বিপুল পরিমান রাসায়নিক ছিলো। ধারনা করা হচ্ছে এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণে কারন এই হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড যা, অ্যাভিয়েশন শিল্পখাতে ব্যবহার করা হয়।
হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড একটি রাসায়নিক যৌগ। এটি যদি উত্তপ্ত করা হয় তাহলে তাপীয় বিয়োজনে হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড বিস্ফোরক হিসাবে আচরণ করে।
হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিপদজনক রাসায়নিক যৌগ। ততোটুকু গুরুত্ব দিয়ে দেশের বাইরে থেকে এই রাসায়নিক যৌগ আমদানি করা হয়েছে কী দেশে? কেনই বা ঘটলো এমন ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা? এমনই প্রশ্ন উঠেছে সর্বসাধারণের মনে।
এটি কী তাহলে কোন অসতর্কতার দূর্ঘটনা?
চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও সর্বশেষ হেডলাইন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সর্বশেষ খবরের মতে চট্রগ্রাম সিভিলসার্জন ডঃ মোঃ ইলিয়াস চৌধুরী জানায়- ফায়ারসার্ভিসের ১০ জন কর্মীসহ নিহত হয়েছে অন্তত ৪৯ জন এবং আহত হয়েছে প্রায় ২’শতাধিক যারা চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এ পর্যন্ত পরিচয় শনাক্ত হয়েছে ২৩ জনের এবং ৯ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আলোচিত চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ডের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা রাষ্ট্রপতি- প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্য নেতাকর্মী বর্গ গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন এবং এ ঘটনা তদন্তের জন্য ৩টি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।