মো জহুরুল ইসলাম নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি “মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে,
একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না, ও বন্ধু ।
বল কি তোমার ক্ষতি? জীবনের অথই নদী, পার হয় তোমাকে ধরি – দুর্বল মানুষ যদি।”
ভুপেন হাজারিকার এই অমর গানকে সত্যিকারে অমরত্ব দিলেন নীলফামারী জেলাধীন ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ
ও কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল ।
ভোরের কাগজের ডিমলা প্রতিনিধি সরোয়ার জাহান সোহাগের শুধুমাত্র ফেসবুকে আপলোড করা একটি অসহায় দরিদ্রের জীবন জীবিকার করুণ ভিডিও দেখে গত বুধবার (৩০ জুন) নিজের এক মাসের রেশন (যা কিছু পান) ৩০কেজি চাল, ৫কেজি ডাল, ৩টি মুরগী, ১০কেজি আলু, ৩লিটার তেল ও নগদ কিছু টাকা সহায়তা করলেন। তৎসঙ্গে উপস্থিত এলাকাবাসীর সামনে ঘোষনা দিয়েছেন ডিমলায় তিনি (ওসি) যতদিন কর্মরত থাকবেন ততদিন তার নিজের রেশন এই অসহায় পরিবারকে দিবেন।
ওসির এমন উদারতায় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন, ডিমলা সদর ইউনিয়নের উত্তর তিতপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ তমছের ও নাছিরন দম্পতি। তাঁর মহানুভবতা ও পরোপকারীতা এক বিনি সুঁতোয় গেঁথে রেখেছে ডিমলা উপজেলা বাসীকে।
অপরদিকে ওসি আউয়াল কিশোরগঞ্জ থানায় যোগদান করে থানার ভিতরে মরদেহ রাখার হিমঘর তৈরি করে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। সত্যিকারে রুচিবোধ ও সহজ আন্তরিকতা, জনবান্ধব কর্মকান্ড, মানবিকতা ইত্যাদি মানবিক গুণাবলীর পরিপূর্ণতা দেখা গেছে তাঁদের মধ্যে। বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশ বাদী সংগঠন গুলোকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততায় থেকে যে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন তা ডিমলার যুবসমাজের মাঝে আইকন হিসেবে স্বরনীয় হয়ে থাকবেন।
ঠিক একই কার্যকলাপে চির স্বরনীয় হয়ে থাকবেন কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল।
পুলিশ জনগণের সেবক ও বন্ধু এই কথাটি গত ৮ আগস্ট/২০ ইং এ ডিমলা থানায় ও ককিশোরগঞ্জ থানায় যোগদান করেই উভয় ওসি প্রমাণ করেছেন।
এছাড়াও তাঁহাদের সততা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে মাদক নিয়ন্ত্রণ ও আইন শৃংঙ্খলার ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকসহ সর্বমহলে ব্যাপক প্রসংশা কুঁড়িয়েছেন তাঁহারা।
তাঁহাদের যোগদানের পর থেকে জরাজীর্ণ ডিমলা থানা ও কিশোরগঞ্জ থানা সুন্দর, পরিপাটি ও উজ্জ্বলময় করে তুলেছেন। একথায় মডেল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। দালাল মুক্ত করেছেন। অনেক ভুক্তভোগী জানান, এখন থানায় জিডি বা মামলা করতে কোন দালাল বা টাকাও লাগেনা। হয়রানি হতে হয় না। অভিযোগ দিলে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে দেয় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এছাড়াও লকডাউনের সময় স্বাস্থবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণের মাঝে সচেতনতামুলক কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।
এবিষয়ে উভয় ওসি বলেন, আমরা আসলেই কারো প্রশংসা বা ঘৃণার জন্য কাজ করি না। সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মচারী হিসেবে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সর্বদা পালনে সচেষ্ট থাকি। তাঁদের মেধা, সততা, বিচক্ষণতা ও কর্মদক্ষতা শান্তিকামী মানুষের মন জয় করেছে এবং পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। তাঁহাদের এমন উদারতা ও মহানুভবতায় মুগ্ধ ডিমলা ও কিশোরগঞ্জবাসী।