1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন

সুন্দরবনের সাতটি পর্যটন কেন্দ্র দুই লাখ পর্যটক ভ্রমণ

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২

সুন্দরবনের ভেতরে থাকা সাতটি পর্যটন কেন্দ্র প্রতি বছর দুই লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন। বনের ভেতর দিয়ে পর্যটকদের যাতায়াতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সার্বিক পরিবেশ। ঝুঁকির কথা জেনেও বনের ভেতর নতুন আরো চারটি পর্যটন কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দসাপেক্ষে আগামী জুলাই থেকে এসব পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হবে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যটনক কেন্দ্র বাড়ানো হলে সুন্দরবনের জন্য ঝুঁকি আরো বাড়বে। এমনিতেই আগের স্পটে পর্যটকদের যাতায়াতের কারণে বনের পশু-পাখির জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় আরো চারটি কেন্দ্র বাড়ানো হলে সুন্দরবনে পর্যটকদের চাপ আরো বাড়বে। এতে ক্ষতির পরিমাণও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন অন্য কথা। তাদের দাবি, বর্তমানে থাকা সাতটি স্পটে পর্যটকদের চাপ কমানোর লক্ষ্যেই আরো চারটি কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এতে সুন্দরবনের সার্বিক পরিবেশের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন তারা।সুন্দরবন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে করমজল, হাড়বাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, দুবলা, কলাগাছিয়া ও হিরণ পয়েন্ট-নীলকমলে রয়েছে পর্যটন স্পট। নতুন করে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক আর পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগে খুলনার শেখেরটেক ও কৈলাসগঞ্জে হবে আরো চারটি পর্যটন স্পট। এজন্য বন বিভাগের ব্যয় হবে ২৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, সুন্দরবনকে ঘিরে বর্তমানে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন কেন্দ্র বন, পরিবেশ ও প্রাণীর জন্য সুখকর নয়। এ প্রক্রিয়া সুন্দরবন সুরক্ষার জন্য সন্তোষজনকও নয়। পুরো সুন্দরবন নিয়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চল তৈরি ও নিয়ন্ত্রিত পর্যটনের বিষয়টি মাথায় নিয়ে কাজ করতে হবে। বন থেকে মত্স্য, কাঁকড়াসহ সব ধরনের সম্পদ আহরণ বন্ধ করা প্রয়োজন। কাঁকড়া আহরণের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।কয়রার মদিনাবাদ এলাকায় পর্যটক আলী কদম বলেন, ট্রলার নিয়ে বনের ভেতর ভ্রমণের সময় ট্রলারের ইঞ্জিনের প্রচণ্ড শব্দে বানরসহ অন্য পশু-পাখি ছোটাছুটি শুরু করে। ট্রলার নিয়ে সুন্দরবনের গহিনে প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখতে ভালোই লেগেছে। কিন্তু ট্রলারের শব্দের কারণে প্রাণিকুলের ছোটাছুটি দেখে মনে হয়েছে, ওদের স্বাভাবিক বিচরণে বিঘ্ন সৃষ্টি করলাম।খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. মঈনুদ্দিন খান বলেন, সুন্দরবনে মানুষের অবাধ যাতায়াতের ফলে শব্দদূষণসহ নানা কারণে বন্যপ্রাণীর স্বাভাবিক পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ কারণে আগের সাতটি পর্যটন স্পটের ওপর চাপ কমাতে নতুন আরো চারটি কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।তিনি বলেন, পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় পর্যটকদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কোন স্পটে কী পরিমাণ পর্যটক যেতে পারবে তা নির্ধারণ করা হচ্ছে। পর্যটকদের ক্রমবর্ধমান চাপ সামাল দিতে ইকো-ট্যুরিজমকে বিকশিত করা হচ্ছে। এজন্য বন বিভাগের ব্যয় হবে ২৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক আর পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগে খুলনার শেখেরটেক ও কৈলাসগঞ্জে হবে নতুন চারটি স্পট।সব মিলিয়ে সুন্দরবন সুরক্ষার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। তাই সুন্দরবন সুরক্ষায় সবার আগে বনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। সুন্দরবন ঘিরে থাকা এলাকায় ৩৫ লাখ জনগোষ্ঠী রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ছয় লাখ জনগোষ্ঠী সরাসরি সুন্দনবন থেকে মাছ, মধু, কাঁকড়া, গোলপাতাসহ সম্পদ আহরণ করে। সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে বিকল্প কর্মসংস্থান করা জরুরি। সে লক্ষ্যে নির্ভরশীলদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৭০ হাজার নির্ভরশীলকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

 

Facebook Comments
৪ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি