1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন

যশোর শিক্ষাবোর্ডের ৭ কোটি টাকা উদ্ধারের উদ্যোগ নেই

জেমস আব্দুর রহিম রানা যশোর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
  • আপডেট : শনিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২২

জেমস আব্দুর রহিম রানা যশোর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ চেক জালিয়াতির মাধ্যমে যশোর শিক্ষাবোর্ডের লোপাটকৃত ৭ কোটি টাকা উদ্ধারে বোর্ড কর্তৃপক্ষের কোন তৎপরতা নেই। অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে বহুল আলোচিত বিষয়টি। আত্মস্বীকৃত অপরাধী বোর্ড কর্মচারী আব্দুস সালাম গত বছর অক্টোবরে দুই দফায় প্রায় ৩১ লাখ টাকা ফেরত দিলেও আজ পর্যন্ত আর কোন টাকা পরিশোধ করেননি। সে টাকা আদায় বা উদ্ধারে শিক্ষা বোর্ডের কোন উদ্যোগ নেই। দুদকে মামলা হয়েছে এমন অজুহাতে বোর্ড র্কর্তৃপক্ষ হাত গুঁটিয়ে বসে আছে।মাসাধিককাল দুদক যশোর অফিসের উপ-পরিচালক বদলি হলেও নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে মামলা বা টাকা উদ্ধার কার্যক্রমে গতি পরিলক্ষিত না হওয়ায় একটি পক্ষ প্রচার চালাচ্ছে যে, ওই ঘটনায় আর কিছু হবে না। এ অবস্থায় চেক জালিয়াতির ঘটনা যারা ঝুঁকি নিয়ে উদঘাটন করেছিলেন তারা সংশয়ে রয়েছেন। আর চাকরি বিধির ভয় দেখানোয় মুখ খুলতে পারছেন না বোর্ডের কর্মচারীরা।একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আত্মস্বীকৃত অর্থ লোপাটকারী কথিত নিখোঁজ আব্দুস সালাম ঠিকাদারী কাজে খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরায় যাতায়াত করছে। মাঝে মাঝে বাড়ি এসে কিছু হবে না মর্মে হুংকার দিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে মামলার অপর আসামি ভেনাস প্রিন্টিংয়ের মালিক বাবুর শ্যালক হেলাল ও ম্যানেজার ইকবাল প্রায়ই শিক্ষা বোর্ডের নানা তদবির নিয়ে যাচ্ছে।বোর্ড প্রশাসন এসব বিষয়ে নির্বিকার। গত বছর অক্টোবর মাসে কয়েক দফায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৭ কোটির অধিক টাকা ৩৮টি চেকে জালিয়াতির মাধ্যমে লোপাট করা হয়। ১ম দফায় ৯টি চেকে এবং এর একদিন পর আরো একটি চেক জালিয়াতির ধরা পড়ে। সে সময় বোর্ড কর্তৃপক্ষ যশোর দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) বিষয়টি তদন্তের আবেদন জানায়। তদন্তের শুরুতেই দুদক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় একটি মামলা করে। এ সময় তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর, সচিব প্রফেসর এএমএইচ আলী আর রেজা, কর্মচারী আব্দুস সালাম, ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং মেসার্স শাহীলাল স্টোরের মালিককে অভিযুক্ত করে মামলা হয়। তদন্ত শুরু হলে কয়েক দফায় ২৮টি চেক জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ হন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক নাজমুস ছায়াদাত। মামলার কাজ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল তখন (ডিসেম্বর) তদন্তকারী বদলি হন এবং নতুন উপপরিচালক হিসেবে আল আমিন যোগদান করেন। তার যোগদান এক মাস পূর্ণ হতে চললেও এখনো পর্যন্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়নি। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন তথ্য দেওয়ার অধিকার তার নেই। প্রয়োজনে খুলনা দুদক অফিসের পরিচালকের সাথে কথা বলতে পারেন।যশোর দুদকে অক্টোবরে মামলা হওয়ার পর কর্মচারী আব্দুস সালাম প্রথমে অজ্ঞাত স্থান থেকে চেক জালিয়াতির দায় স্বীকার করে পত্র এবং ১৫ লাখ ৪২ হাজার টাকার পে-অর্ডার পাঠান। সেটি গ্রহণ করেন শিক্ষাবোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান। পত্রে সালাম টাকা শোধের জন্যে সময় প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে ১৮ অক্টোবরে আর একটি পে-অর্ডারে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ফেরত দেন। এটি গ্রহণ করেন তৎকালীন সচিব। এরপর চেয়ারম্যান সচিব বদলি হয়েছেন। নতুন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব ও সচিব প্রফেসর মো. আব্দুল খালেক সরকার যোগদান করেছেন ডিসেম্বরে। তাদের যোগদান দু মাস পূর্ণ হতে চললো। সালামের সর্বশেষ টাকা দেয়ার সময়ও প্রায় সাড়ে ৩ মাস হতে গেলো তবুও আর কোন টাকা বোর্ডের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি। এই দীর্ঘ নীরবতায় হতাশ শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি বড় অংশ। বোর্ড কর্তৃপক্ষ চাকরি বিধির কথা বলে আর যারা মিডিয়াতে কথা বলতো, তাদের ভয় দেখিয়েছে। ফলে কর্মকর্তা কর্মচারীদের কেউ আর মুখ খুলতে চাইছে না। এরপর অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন। তাদের মতে হঠাৎ সবকিছু ঝিমিয়ে যাওয়ায় তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতিবাজরা সক্রিয় হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে কয়েকজন বলেন, যে বাবু সকল চেক জালিয়াতির সাথে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত, সেই বাবুর ম্যানেজার ইকবাল একটি চেক ছাড় করাতে তদবির নিয়ে প্রায়ই বোর্ডে যাচ্ছে। সাথে থাকছে বাবুর শ্যালক হেলাল। ঘটনা অনেকে জানলেও তাদের প্রবেশে কেনো বাধা দিচ্ছে না। বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালেও তারা এ ব্যাপারে উদাসীন।টাকা উদ্ধার বা সালামের টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে বর্তমান সচিব প্রফেসর আব্দুল খালেক সরকার বলেন, তিনি কিছুই জানেন না। পত্রপত্রিকার মাধ্যমে তিনি জেনেছেন বোর্ডের টাকা লোপাটের কথা। এ বিষয়ে তিনি বর্তমান চেয়ারম্যানের সাথে মৌখিকভাবে কথা বলেছেন। সেখান থেকে জানানো হয়েছে, দুদকে মামলা রয়েছে তাই এখন আর কিছু করণীয় নেই। টাকা উদ্ধারের তৎপরতা বা কোন নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব বলেন, মামলা রয়েছে তাই এই শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবগত। সেখান থেকেও কোন নির্দেশ আসেনি। তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, প্রকৃত অপরাধীর বিচার হোক, শিক্ষা বোর্ডের টাকা ফেরত আসুক।

Facebook Comments
৭ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি