1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন

মীরেরডাঙ্গা খেয়াঘাটে যাত্রীদের জিম্মি করে টোল আদায়ের অভিযোগঃ

শেখ তোফাজ্জেল হোসেন খুলনা সিটি প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট : শুক্রবার, ২১ মে, ২০২১

শেখ তোফাজ্জেল হোসেন খুলনা সিটি প্রতিনিধিঃ নগরীর ফুলবাড়ীগেট মীরেরড্ঙ্গাা খেয়াঘটে যাত্রীদের জিম্মি করে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত টোলের(ভাড়া) ৫ থেকে ১০গুন পর্যন্ত টোল(ভাড়া) আদায়ের একাধিক অভিযোগ বর্তমান ইজারাদারের বিরুদ্ধে। এছাড়াও শিশুদের পারাপার ফ্রি করা হলেও নেওয়া হচ্ছে ভাড়া। অতিরিক্ত টোল আদায়সহ নানা অনিয়মের কারণে প্রতিনিয়ত ঘাটের মাঝিদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ছে যাত্রীরা। যে কোন মুহুর্তে সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয়রা। সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত সিটিজেন চার্ট বা টোল আদায়ের তালিকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি অবহিত করে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে ভুক্তভোগীরা লিখিত দিলেও প্রতিকার না হওয়ায় অতাশায় ভুক্তভোগীরা।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নিয়ন্ত্রীত কেসিসি ২নং ওয়ার্ডের ফুলবাড়ীগেট মীরেরডাঙ্গা খেয়াঘাটে করোনা এবং উচ্চ মুল্যে ঘাট ইজারার দোহায় দিয়ে আদায় করা হচ্ছে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক বেধে দেওয়া নির্ধারিত টোলের(ভাড়ার) ৫ থেকে ১০ গুনের বেশি টাকা। সিটিজেন চার্ট বা সিটি কর্পোরেশনের ইজারাধীন খেয়াঘাটের অনুমোদিত টোলরেটের তালিকা অনুযায়ী প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতিজন মানুষের জন্য ১টাকা ধার্য্য করা কিন্তু নেওয়া হচ্ছে ৫টাকা, বাই সাইকেল(নতৃন) ৫টাকা নেওয়া হচ্ছে যে কোন ধরণের সাইকেল সহ যাত্রী ১০টাকা। মটরসাইকেল(নতুন) ১০টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও নেওয়া হচ্ছে নতুন পুরাতন যে কোন ধরণের মটরসাইকেল সহ যাত্রী ২০টাকা করে। ভ্যান-রিক্রাার জন্য নির্ধারিত ৫টকা কিন্তু নেওয়া হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টকা পর্যন্ত। ছাগল এবং গরুর জন্য ৫টাকা এবং ১০ টাকা কিন্তু নেওয়া হচ্ছে ৫০টাকা থেকে ১শ টাকা করে। এছাড়া অনুর্ধ ৫বছরের শিশুদের জন্য বিনা মাশুলে পারাপারের নির্দেশনা থাকলেও তাদেরকের টোলের আওতায় এনে ৫টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এ সবে শেষ না এর পর রাত যত বেশি হয় টোল আদায়ের রেট তত বৃদ্ধি পায়।কথা হয় লাখোয়াটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির ফরাজী সাথে তিনি জানায় কর্মস্থলের জন্য প্রতিদিন ২/৩বার ঘাট পার হতে হয়। মটরসাইকেল সহ প্রতিবারই ঘাটে দিতে হয় ২০টাকা করে এভাবে ঘাটেই শুধু দিতে হয় ৪০ থেকে ৬০ টাকা। টাকা একটু কম দিতে চাইলে বলে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে ঘাটের ইজারা নিয়েছি টাকাতো তুলতে হবে। নৌকার ভাড়া নিয়ে প্রতিনিয়ত মাঝির সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ছে যাত্রীরা। সামান্য কিছু টাকার জন্য মান সম্মানের ভয়ে অন্যায়ের কোন প্রতিবাদ করতে পারিনা। তিনি জানায় এ ব্যাপারে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আমরা শিক্ষকরা মৌখিক ভাবে জানিয়েছি কোন প্রতিকার হয়নি। কথা হয় বাইসাইকেল আরোহী বেসরকারি একটি কোম্পানিতে কর্মরত রবি মোল্যার সাথে তিনি জানায় ঘাট মালিক পরিবর্তনের সাথে সাথে ঘাটের টোল(ভাড়া) আদায়ও বেড়ে গেছে। চাকুরীর সুবাদে প্রতিদিন ৩/৪বার এই ঘাট পার হতে হয় প্রতিবারই ঘাটে ১০টাকা করে দিতে হয়। কিছু বলা যায়না বল্লে বলা হয় পছন্দ হলে এ ঘাট পার হও না হলে অন্য ঘাট দিয়ে পার হও। গত রবিবার এ ঘাটের নৌকার মাঝি রমজানের সাথে ভাড়া নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। ফার্নিচার পালিশ মিন্ত্রী ওবায়দুল হক বলেন, ৫ বছরের নিচের শিশু বাচ্চাদের জন্যও ৫টাকা করে ভাড়া দিতে হচ্ছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায় ঘাটের বর্তমান ইজারাদার অত্যান্ত প্রভাশালী হওয়ায় যাত্রীরা কেহ সাহস করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারছে না। ইচ্ছামত খামখেয়ালী ভাবে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যার কাছ থেকে যা পারছে অতিরিক্ত টোল(ভাড়া) আদায় করা হচ্ছে। রাত ৮টার পর থেকে ভাড়া আরো বেড়ে যায় ১টাকার ভাড়া অনেক সময় ২০টাকা নেওয়া হয়।এ ব্যাপারে ঘাটের ইজারাদার মো শহিদুল ইসলাম বলেন লকডাউনের কারণে উপজেলা প্রশাসন থেকে নৌকার সংখ্যা ৪টি করে দিয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত ঘাটে যে সকল মাঝি(২৪জন) কাজ করেছে তাদেরকে দেখতে হচেছ। ঘাট থেকে যে টাকা উঠছে তার সিংহ ভাগ মাঝিরা ভাগ করে নিয়ে যাচ্ছে। ঘাটে নেীকা কম হওয়ায় এবং করোনার জন্য লোকসানে ঘাট নিয়ে লোকসানে আছি। তিনি বলেন সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত সিটিজেন চার্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেয়নি তা সরিয়ে ফেলবো কোথায়।
জানাগেছে প্রায় ২৪ লক্ষ টাকায় এক বছরের জন্য গত ১৪ এপ্রিল থেকে মীরেরডাঙ্গা এই খেয়াঘাটের ইজারা পায় মোঃ শহিদুল ইসলাম। তিনি স্থানীয় মোঃ শিমুল হালদার, মোঃ শফি বাওয়ালী, মোঃ সাকিব খান ও সেলিম মোড়লকে সাথে নিয়ে যৌথ ভাবে ঘাটটি পরিচালনা করে আসছে।

Facebook Comments
৪ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি