উদ্বোধনের পর থেকেই পদ্মা সেতুকে ঘিরে জনগণের আগ্রহের শেষ নেই। যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর থেকেই পদ্মা সেতু ছিল দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর। গাড়ি থামিয়ে হাঁটাহাটি বা ছবি তোলা নিষেধ হলেও অনেকেই এ নির্দেশনা মানেননি।জনসাধারণের উৎসাহের কথা বিবেচনা করে বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ কিছুটা শিথিল মনোভাব দেখিয়েছিল সেতুতে যান চলাচলের প্রথম দিন (২৬ জুন)। তবে উৎসুক মানুষের কেউ কেউ ওপরে সেতুর ওপরে এবং টোল প্লাজার আশপাশে থাকা গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ও যন্ত্রপাতি চুরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে পদ্মা সেতুতে উৎসুক মানুষের চলাফেরার বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সেতু বিভাগ।এক তরুণ তো টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে সেতুর নাটবল্টুই খুলে ফেলেন। তাকে ইতোমধ্যে হেফাজতে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।শুধু তাই না, সেতুতে যেন সাধারণ মানুষ নামতে না পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অনুরোধ জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।পদ্মা সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তায় নির্মাণকাজের শুরু থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং সাপোর্ট অ্যান্ড সেফটি টিমকে (ইএসএসটি) রবিবার চিঠি পাঠিয়ে এ অনুরোধ জানান পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম।চিঠিতে প্রকল্প পরিচালক বলেন, সেতুর ওপরে যানবাহন থেকে নামা নিষিদ্ধ। এরপরও অনেকে সেতুতে নেমে মূল্যবান মালামাল ও যন্ত্রপাতি চুরি করছে। অনেকে দুই দিকের টোল প্লাজার আশপাশে যন্ত্রপাতি ও মালামালের ক্ষতি করছে। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে ইএসএসটিকে টহল জোরদার করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে,সেতু বিভাগ সূত্রের বরাত দিয়ে প্রথম আলো জানায়, সেতুর আশপাশে এখনও নানা নির্মাণসামগ্রী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। টোল প্লাজার কাছে চারপাশে বেড়া দেওয়ার কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। ফলে বাইরে থেকেও অনেকে ঢোকার চেষ্টা করছে। আর গাড়ি-মোটরসাইকেল থামিয়ে সেলফি তোলা, শুয়ে পড়ে ছবি তোলা, ঝুলে রেলিংয়ে ওঠার চেষ্টা করা- এসবও দেখা যাচ্ছে। এতে একদিকে যেমন যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।এছাড়া, মালামাল চুরির ঘটনাও হচ্ছে। এ কারণে সাধারণ মানুষের নামার বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা আছে, তা কঠোরভাবে কার্যকরের বিষয়ে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে।