খাদেমুল ইসলাম,পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় কলেজ ছাত্র আরিফুল ইসলামকে নির্মমভাবে হত্যা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের আয়োজনে পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের একপাশে দাঁড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধনে নিহত আরিফুলের বাবা জসিম উদ্দীন, তার বড় ভাই আমিনুর রহমান সহ নিহত আরিফুলের সহপাঠীরা বক্তব্য রাখেন। এসময় নিহতের স্বজন ও পঞ্চগড় টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে নিহত আরিফুলের বড় ভাই আমিনুর রহমান বলেন, গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যার পরে আমার ভাই আরিফুল বাড়ি থেকে বের হয়ে গ্রামের মসজিদে তারাবীর নামাজ পড়তে যায়। পরে দূর্বৃত্তরা তাকে তুলে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে হাতে খুঁটি (পাথর, বালি ও সিমেন্টে তৈরী) বেধেঁ বাড়ির পাশের একটি পুকুরে তাকে ফেলে দেয়। পরে তার মরদেহ পানিতে ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহযোগিতায় উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আরিফুলের বাবা জসিম উদ্দীন বলেন, আমার ছেলের হত্যাকারীরা এলাকায় প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ পুলিশ তাদের ধরছেনা। আমি কিছু নাম দিয়ে নাম দিয়ে এজহার দায়ের করি। পরে পুলিশ মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দিয়ে দেয়। পুলিশ কেন এটা করল আমি জানিনা। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
তবে হত্যাকান্ডের ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় নিহতের স্বজন ও বন্ধুবান্ধবেরা মানববন্ধনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। হত্যাকারীরা প্রকাশ্য এলাকায় ঘোরাফেরা করছেন বলে দাবী করেন নিহতের স্বজন ও সহপাঠীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা, অবিলম্বে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।
তেতুঁলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, আসলে নিহতের বাবা অজ্ঞাতদের নাম দিয়ে মামলা করেছেন। তিনি কোন নামই দেননি। আমরা কেন নাম বাদ দিতে যাব। তাছাড়া আমি নিজেই র্যাব, সিআইডির কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারাও হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খুব বিশ^স্ততার সাথে কাজ করছেন। আমরা অচিরেই মামলার রহস্য উৎঘাটন করবো। এছাড়া দোষীদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।