২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় বাংলাদেশ। গত বছর গ্লাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের পূর্বেই বাংলাদেশ এ প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছিল। এই প্রতিশ্রুতি পূরণে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কয়লা, তেল ও গ্যাসের উপর থেকে নির্ভরতা কমাতে হবে। আর এই লক্ষ্য অর্জনে সবথেকে বড় ভূমিকা রাখতে চলেছে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে চীনা বিনিয়োগ।
দ্য থার্ড পোলে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট গ্রিন হাউস নির্গমনের ৫৫ শতাংশের পেছনেই রয়েছে জ্বালানি খাত। এরপরেই রয়েছে কৃষি ও শিল্প। তবে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ২০৩০ সাল নাগাদ ৭৬ শতাংশ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের জন্য দায়ী হবে জ্বালানি খাত। বাংলাদেশ সরকার এর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এর প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দ্য থার্ড পোলকে জানিয়েছেন, নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমাদের ব্যাপক বিনিয়োগ প্রয়োজন। ২০৩০ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে আমাদের ৮০ থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন পড়বে। এ নিয়ে আমরা চীন, জাপান, এডিবি এবং বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। এডিবি’র বিশেষজ্ঞ সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, বর্তমানে চীন বাংলাদেশের সবথেকে বড় বাণিজ্য অংশীদার।