1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন

ত্রিপুরায় তৈরি হচ্ছে হোয়াইট টি, কেজি ৫০ হাজার রুপি!

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০

ত্রিপুরায় তৈরি হচ্ছে হোয়াইট টি, কেজি ৫০ হাজার রুপি!

রিপোর্টার


  • আপডেট :
    বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০


  • বার দেখা হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট : ত্রিপুরায় এবার পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদিত হলো হোয়াইট টি বা সাদা চা। অত্যন্ত দামি ও ওষুধিগুণ সম্পন্ন এই উৎপাদনে প্রাথমিকভাবে এসেছে সফলতা।সাধারণ চায়ের চেয়ে এর উৎপাদন খরচ বেশি। প্রক্রিয়াও অনেক বেশি জটিল। তাই দামও বেশি।
আগরতলার পার্শ্ববর্তী দুর্গাবাড়ি এলাকার ক্ষুদ্র চা চাষি গোপাল চক্রবর্তী সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে সামান্য পরিমাণ হোয়াইট টি উৎপাদন করেছেন। এই চা পাতা দেখতে পুরোপুরি কালো নয়, ধূসর কালো রঙের। চা পাতার আকার অনেকটা লম্বা ও কাঠির মতো।
গোপাল চক্রবর্তী মূলত অর্গ্যানিক গ্রিন টি উৎপাদন করেন। তার হাতে তৈরি অর্গ্যানিক গ্রিন টির খ্যাতি রয়েছে ত্রিপুরাসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। এমনকী তার উৎপাদিত হাতে তৈরি গ্রিন টি ভারত ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানুষ সংগ্রহ করে নিয়ে যান।
তিনি বলেন, হোয়াইট টির জন্য চা পাতার একেবারে কুঁড়ির অংশ সংগ্রহ করা হয়। পাতার কুঁড়িগুলি মেলে পাতার আকৃতি নেওয়ার আগেই সংগ্রহ করতে হয়। কাঁচা পাতাগুলি সম্পূর্ণ সবুজ হয় না। তাই এগুলো প্রক্রিয়াজাত করা হলে লম্বা আকারের এবং ধূসর রঙের হয়। চায়ের রং হালকা সবুজাভ হয়। তেমন রং হয় না। তাই হোয়াইট টি বলা হয়।
‘যত বেশি পরিমাণ চা পাতায দেওয়া হোক না কেন এবং যতক্ষণ ধরেই ফোটানো হোক রং এর চেয়ে বেশি হবে না। এর কারণ পাতা যখন গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় তখন এগুলি পুরোপুরি সবুজ হয় না, তাই ইচ্ছে করলেই এর রং পরিবর্তন হবে না।’
তিনি বলেন, যে কেউ হোয়াইট টির জন্য পাতা সংগ্রহ করতে পারে না। এই পাতা সংগ্রহ করার জন্য জন্য অভিজ্ঞ আহরণকারী প্রয়োজন হয়। স্বাদে গ্রিন টির চেয়েও হালকা হয়। আর এই চা পান করলে ঘুম খুব ভালো হয়।
এক হেক্টর চা বাগান থেকে সপ্তাহে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি কাঁচা পাতা সংগ্রহ করা সম্ভব যা দিয়ে এক কেজি শুকনো হোয়াইট টি পাতা তৈরি হয়। হাতে তৈরি হয় বলে এটা সম্পূর্ণ অর্গ্যানিক।
সাধারণ চা তৈরির জন্য এক হেক্টর জায়গা থেকে এক সপ্তাহে ৩৭৫ কেজি কাঁচা পাতা সংগ্রহ করা সম্ভব এবং এই কাঁচা পাতা প্রক্রিয়াকরণ করলে ৮০ কেজি শুকনো চা পাতা তৈরি হয়। এই পরিমাণ পাতার পাইকারি বিক্রিমূল্য ১৫ হাজার রুপির কাছাকাছি।
অপরদিকে এক কেজি হোয়াইট টি ৪০ থেকে ৫০ হাজার রুপিতে বিক্রি হয়। এই ধরনের দামি চা মূলত হাতে তৈরি করা হয়। যা অত্যন্ত কঠিন কাজ। পাতা তোলা থেকে শুরু করে চা প্রক্রিয়াকরণ এবং শুকানো পর্যন্ত সামান্য এদিক সেদিক হলে রং এবং স্বাদ কোনোটাই হবে না। এজন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রয়োজন হয়।
গোপাল চক্রবর্তী যখন টি বোর্ড অব ইন্ডিয়া থেকে হাতে তৈরি চা পাতার প্রশিক্ষণ নিয়ে ছিলেন তখন হোয়াইট টি তৈরির প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল তাদের।
এত দামি চায়ের চাহিদা কেমন, আদৌ কি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন সফল হবে? একথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে এই চায়ের চাহিদা না থাকলেও ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং বিদেশে এসব চায়ের চাহিদা রয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে বিশেষ করে বর্হিঃরাজ্যে পাইকারি ক্রেতা পেলে বাণিজ্যিকভাবে হোয়াইট টি উৎপাদন শুরু করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

Facebook Comments
১ view

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি