দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার রশিদার বম্বু গ্রামের মৃত সিরাজ প্রধানের ছেলে মদন (৩৫), বাচ্চা মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩২) ও আব্দুল মোতালেবের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৮)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের রশিদ্র বম্বু গ্রামে ২০০৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মৃত দুদু মিয়ার ছেলে ইউনুস আলী সরকার (৫৩) নিজ বাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে গভীর নলকুপে যায়। পরদিন সকালে গভীর নলকুপের দক্ষিণ পাশে ২০০ গজ দুরে পুকুর পাড়ের বাঁশ ঝাড়ের ভেতরে স্থানীয়রা পানি সেচের ড্রেনে, মাথা গুজে রাখা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আলম সরকার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম মামলার তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে ৬ জনের নামে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
তাদের মধ্যে মদন (৩৫), সাদ্দাম হোসেন (৩২) ও দেলোয়ার হোসেন (৩৮) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং হাসান আলী (৪৬), বাবু (৪৫) এবং নাসির উদ্দিন মামলা চলাকালীন মারা যায়। দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে ১৫ জনের সাক্ষ্যদান শেষে এ রায় ঘোষণা দেন। মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আবু কায়ছার।
মামলার বাদী পক্ষের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, দীর্ঘ শুনানি ও ১৫ জনের সাক্ষ্য শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১ এর বিচারক নুরুল ইসলাম ৬ জন আসামির মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হওয়ায় তাদের খালাস দিয়ে এই দণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।