1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন

কুড়িগ্রামে-অভিনব বিয়ে, কারাগারে বর

নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১
নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
কুড়িগ্রামে অভিনব কায়দায় বিয়ে করা এক বরকে কারাগারে পাঠালেন নববধূ। এ ঘটনায় জেলাজুড়ে ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। সর্বত্রই চলছে এ নিয়ে গুঞ্জন। পুলিশের গ্রেফতার-হয়রানির ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বরের পরিবার। ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি ভূক্তভোগী পরিবারের। জানা গেছে, গত ২৩ মে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা কেদার ইউনিয়নের সরকারটারী গ্রামের মৃত নুরুল হুদার কন্যা নিলুফা আক্তারের সাথে বিয়ে হয় আপন খালাতো ভাই আব্দুল হাকিমের। বিয়ের দু’দিন পর ২৫ মে বর ও তার দুলাভাই মোঃ বাবু মিয়া প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী পথফিরানী (পাত্রীর বাবার বাড়িতে যায়)। সেখানে কনে মোছাঃ নিলুফা আক্তার তার চাচাতো ভাইয়ের বউ (ভাবীকে) বর দৌহিক সম্পর্কে শারীরিকভাবে সক্ষম নয় বলে জানায়। পরে বরের দুলাভাই মোঃ বাবু বিষয়টি মিমাংসার উদ্দেশ্যে কনের চাচার বাড়িতে বর-কনেকে নিয়ে একই ঘরে আবদ্ধ করে রাখে। কনে নিজের স্বামীর সাথে শারীরিকভাবে সম্পর্ক স্থাপনে অপারগতা প্রকাশ করলে বর আব্দুল হাকিম ঘরের বাইরে থাকা দুলাভাইয়ের সহযোগিতা চাইলে তিনি ঘরের ভেতরে এসে দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে নানা পরামর্শ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে নববধূ নিলুফা আক্তার ঘর থেকে বের হয়ে এসে তাকে জোরপূর্বক দুলাভাই মোঃ বাবু মিয়া ধর্ষণ করেছে এবং স্বামী আব্দুল হাকিম ধর্ষণে সহযোগিতা করেছে মর্মে পরিবারের সদস্যদের কাছে অভিযোগ করে। এর-ই প্রেক্ষিতে কনে পক্ষের লোকজন বর এবং বরের দুলাভাইকে আটকে রেখে তার কাছে ৫ লাখ টাকা জরিমানা দাবি করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুলাভাই বাবু মিয়া কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি অর্থনৈতিকভাবে সমাধান না হওয়ায় কনে পক্ষের লোকজন বর ও বরের দুলাভাইকে আসামী করে কচাকাটা থানায় মামলা দায়ের করেন এবং বরকে পুলিশে সোর্পদ করেন। যার মামলা নং-০৯। তাং-২৬/০৫/২০২১ইং। পরদিন ঘটনাটি জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয় । এ ব্যাপারে কনের বড় ভাই সেকেন্দার আলী অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ঘটনাটি রফাদফা না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বর ও বরের দুলাভাইকে আটকের পর দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনরূপ সাড়া না পাওয়ায় থানায় মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি ন্যায় বিচার চাই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরের পরিবারের কেউ-ই বাসায় নেই। পুলিশের গ্রেফতার-হয়রানির ভয়ে সবাই পলাতক। মুঠোফোনে বরের বড় ভাই শহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে স্বামীর সহযোগিতায় ধর্ষণের ঘটনাটি নজিরবিহীন। কারণ কোন স্বামী কাউকে দিয়ে তার বিবাহিত স্ত্রীর সভ্রমহানিতে সহযোগিতা করতে পারে না। আমার ভাই ষড়যন্ত্রের শিকার। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করলে সত্য বের হয়ে আসবে। এ ব্যাপারে কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার প্রধান আসামী আত্মগোপনে থাকা মোঃ বাবু মিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Facebook Comments
১৪ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি