
কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী): উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ মনিরুজ্জামান.নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আগাম আলুর কেজি ৫ থেকে ৭ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। কারণ এই দামে উৎপাদন খরচ তো দুরের কথা কামলার খরচও উঠছে না। বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহ, হিমাগারে পুরোনো আলু মজুত থাকা এবং চাহিদা কম থাকায় দাম কমেছে, ফলে কৃষকের স্বপ্ন এখন ‘বোঝা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে লাভের বদলে লোকসান গুনতে হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে আলুর দাম না থাকায় আলুর বয়স পেরিয়ে গেলেও তোলার খরচ না হওয়ায় ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে আলু।
উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের দক্ষিণ দুরাকুটি গ্রামের কৃষক একরামুল হক জানান,এবছর তিনি তিন বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। বর্তমানে বাজারে তার উৎপাদিত আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি বিঘায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায়। এতে প্রতি বিঘায় ২৫ থকে ৩০ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে।
একই এলাকার কৃষক জয়নাল আবেদিন জানান, এবারে গত বছরের তুলনায় কিছু টা খরচ কম হলেও প্রতি বিঘায় ৩০-৩৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। কিন্তু বর্তমান বাজার দরে প্রতি বিঘায় আলু বিক্রি করলে উৎপাদন খরচ তো পরের কথা আলু তোলার যে কামলার টাকা টাই উঠছে না। আলু আবাদ করে মনে হচ্ছে এখন যেন গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে।কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান আলম বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর উৎপাদন ভালো হয়েছে, সরবরাহ বেড়েছে, তাই দাম কমেছে।