জুলফিকার আলি, চরফ্যাশন উপজেলা প্রতিনিধি: চরফ্যাশনের রাজনীতিতে দুই যুগ ধরে এক অনন্য বন্ধনের প্রতীক হিসেবে পরিচিত সিরাজুল ইসলাম সবুজ খান। ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী, জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের রাজনীতিতে আস্থাশীল সহযাত্রী হিসেবেই তাকে চেনে এলাকার মানুষ। সততা, নিঃস্বার্থ সহযোগিতা ও অটল বিশ্বাসের কারণে নয়নের রাজনৈতিক পথচলায় আজও তিনি ছায়াসঙ্গীর মতো।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা বাজারে স্থানীয় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হামলার শিকার হন সবুজ খান। খবর পেয়ে নয়ন তাকে —কলিজা— সম্বোধন করে খোঁজ নেন। দুই নেতার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের এই ছোট্ট মুহূর্তটি রাজনৈতিক বন্ধনের বাইরে ব্যক্তিগত সম্মান ও আবেগেরও প্রতিফলন।
সবুজ খাঁনের জন্ম হয় দক্ষিণ আইচা থানার করিমপাড়া গ্রামে। বাবা আলী মিয়া, মা ফিরোজা বেগম। ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রতি তার প্রবল আগ্রহ ছিল। ২০০৩ সালে বরিশাল বিভাগীয় টিম লিডার হিসেবে নয়নের নেতৃত্বে সক্রিয়ভাবে রাজনীতির মাঠে নামেন। তখন থেকেই নয়নের সঙ্গে পথচলা শুরু হয়, যা আজ দুই দশক পার করে অটুট বন্ধনে রূপ নিয়েছে।
শুধু মাঠের রাজনীতি নয়, ঢাকায় তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এমজিএস নেতাকর্মীদের মিলনকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ের কর্মীদের ঢাকায় এনে আশ্রয় দেওয়া, নয়নের প্যানেলে ফুলেল বরণ—সবই করতেন সবুজ খান। বিএনপির দুঃসময়ে নীরবে তার প্রচেষ্টা নয়নের নেতৃত্বকে শক্ত ভিত্তি দিয়েছে।
স্থানীয় ছাত্রদল নেতা সাইফুল বলেন, যে সময় বিএনপির নাম উচ্চারণ করলেই জেলে যেতে হতো, তখনও সবুজ ভাই চুপচাপ দলের জন্য কাজ করেছেন। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা।
প্রবাসী মো. আলী যোগ করেন, ২০০৪ সালে নয়ন ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন সবুজ ভাই। তখনই বুঝেছিলাম, নয়ন ভাইয়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তার অটল বিশ্বাস আছে। দুই দশক পরও সেই বিশ্বাস অটল রয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপি সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নয়নের নাম উঠে আসার সময় সবুজ খান ছিলেন তার পাশে। উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি নির্বাচনী খরচ নিয়ে হতাশার কথাও শোনা যেত তার কণ্ঠে। তবুও নয়নের সৎ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ও নেতৃত্বের প্রতি তার আস্থা কখনো টলেনি।
আজও চরফ্যাশন-মনপুরার রাজনীতিতে সবুজ খান মানে নয়নের আস্থার প্রতীক। নিবেদিত, সাহসী ও নিরলস সহযোগী হিসেবে তার অবস্থান অটুট। স্থানীয় নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা আশা করছেন—আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নয়নের নেতৃত্বে তার ভূমিকা আরও প্রসারিত হবে এবং বিএনপির সাংগঠনিক ভিত আরও দৃঢ় হবে।
সবুজ খান জানান, নুরুল ইসলাম নয়ন ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দুই যুগের আস্থা ও বন্ধুত্বের প্রতীক। সততা, ধৈর্য ও সাহস নিয়ে দলের জন্য কাজ করাই আমার লক্ষ্য। নয়ন ভাইয়ের নেতৃত্বে আমি সবসময় দলের পাশে থাকব। আমাদের লক্ষ্য একটাই—চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানা এলাকার মানুষের উন্নয়ন ও তাদের অধিকার রক্ষা করা।