1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:১৩ পূর্বাহ্ন

প্রাচীন পানিরকল সংরক্ষণের দাবী পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটির

মো: রেজাউল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মোঃ রেজাউল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:ময়মনসিংহ নগরীতে শতাব্দী প্রাচীন পানির কলের নিদর্শন সংরক্ষণের দাবী জানিয়েছে পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি, ময়মনসিংহ অঞ্চল। এ দাবীতে আজ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় যে, ১৮৯২ সালে ইংল্যান্ডে তৈরি পানির কলের দ্বারা সর্বপ্রথম ময়মনসিংহ নগরীতে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়। তৎসময়ে ভারতের হুগলীতে পানির কল স্থাপিত হলে মহারাজ সূর্যকান্ত আচার্য্য এই প্রযুক্তি ময়মনসিংহে নিয়ে আসেন। বিশুদ্ধ পানির জন্য নগরীর বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়। রাজ রাজেশ্বরী ওয়াটার ওয়ার্কস হতে কলসমূহে পানি সরবরাহ করা হতো। কালের আবর্তে সংরক্ষণের অভাবে প্রাচীন পানির কলগুলো বেহাত/বিলীন হয়ে গিয়েছে। কলগুলোর উপরের অংশে ধাতবের (পিতল) তৈরি দৃষ্টিনন্দন সিংহের মাথা ছিল। বর্তমানে একটিমাত্র পানির কল বিদ্যমান রয়েছে ময়মনসিংহ নগরীর ট্রাংকপট্টিতে, যার উপরের অংশ চুরি হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নগরীতে বিশুদ্ধ পানির যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তার শুরুটা হয়েছিল সেই ঊনিশ শতকের শেষের দিকে। নগরীর ট্রাংকপট্টিতে বিদ্যমান কলটি সংরক্ষণ করা না হলে এটাও একসময় বেহাত হয়ে যাবে। ফলে নগরীতে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করণের প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। এ প্রেক্ষিতে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক পুরাকীর্তি নিদর্শন হিসেবে এই প্রাচীন পানির কলটি সংরক্ষণ করা একান্ত জরুরি।

স্মারকলিপি প্রদানকালে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, পুরাকীর্তি জাতির ক্রমবিকাশের চাক্ষুষ ইতিহাস। যার মাধ্যমে প্রজন্ম জাতির ক্রমবিকাশের ইতিহাস সমন্ধে জ্ঞান লাভ করে। বাংলাদেশের রয়েছে পুরাকীর্তির ভান্ডার। যার একটি উল্লেখ্য ভান্ডার রয়েছে ময়মনসিংহ অঞ্চলে। কিন্তুু দু:খজনক সত্য হলো, যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে আজ অতি মূল্যবান পুরাকীর্তি সমূহের অবস্থা জীর্ণশীর্ণ। যথাযথ দেখভাল না থাকায় পুরাকীর্তিসমূহ বেহাত/বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় চলতে থাকলে দিনদিন পুরাকীর্তির ভান্ডার কমে যাবে। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ময়মনসিংহ নগরীর ট্রাংকপট্টিতে বিদ্যমান শতাব্দী প্রাচীন পানির কলটি পুরাকীর্তি নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণ করার জোর দাবী জানান। স্মারক গ্রহণকালে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শতাব্দী প্রাচীন কলটি সংরক্ষণের যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। উল্লেখ্য, গত ১২ আগস্ট ২০২৫ তারিখ পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি শতাব্দী প্রাচীন পানির কলটি পরিদর্শন করে সংরক্ষণের দাবী জানায়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ স্মারকলিপি প্রদান করে।

স্মারকলিপি প্রদানকালে পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি, ময়মনসিংহ অঞ্চল এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রকোশলী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ , সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আহমেদ, কার্যকরী মোহাম্মদ মাসুদ চিশতি, সাংবাদিক শাফিয়েল আলম সুমন, সাংবাদিক মো: বোরহান উদ্দিন আল মাছুম,আসিফ সাইফুল্লাহ সাকি প্রমূখ।

Facebook Comments
no views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি