এস আই ওয়াসিম,বিশেষ প্রতিনিধি; দূষণবিরোধী অভিযানে : ঢাকা, ১৫ জ্যৈষ্ঠ (২৯ মে): ২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ২৯ মে ২০২৫ পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর ৯৮৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে ২ হাজার ৩৪৮টি মামলা করা হয়। মোট ২৫ কোটি ২৬ লাখ ৬ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন, অবৈধ ইটভাটা, বায়ু ও শব্দ দূষণকারী স্টিল মিল, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য, সিসা ও ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানা, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা এবং খোলা অবস্থায় নির্মাণ সামগ্রী রেখে বায়ুদূষণকারী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এই সময়ে ৪৭৯টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২১৬টি ইটভাটাকে বন্ধ করার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। ১৩২টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। ১৫টি পরিবেশ দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ও সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ২ জনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। ৬টি কারখানার সিসা ও ব্যাটারি গলানোর ৮টি ট্রাক যন্ত্রপাতি জব্দ করে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া গত ৩ নভেম্বর ২০২৪ হতে আজ পর্যন্ত নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে সারা দেশে ৪১৫টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। ৭৮৬টি প্রতিষ্ঠানকে ৬২ লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়। প্রায় ২ লাখ ১৭ হাজার ৯০৫ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ করা হয়।
আজ সাভারে একটি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৩টি মামলায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রায় ৭০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। অভিযানের সময় বিভিন্ন সুপারশপ ও দোকান মালিকসহ সাধারণ মানুষকে নিষিদ্ধ পলিথিন বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
একই দিন শ্যামপুর-কদমতলীতে একটি ছাড়পত্রবিহীন প্রতিষ্ঠানের সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ময়মনসিংহ জেলায় ২টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় এবং চিমনি ভেঙে ফেলা হয়। বান্দরবানে পাহাড় কাটার দায়ে ১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত এই দূষণবিরোধী অভিযান চলমান থাকবে।