মোঃ আক্তার হোসেন, সিলেট প্রতিনিধি; সিলেটে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসার আগেই হাওরের বোরো ফসল কাটা শেষ হয়েছে সিলেট সদরের। ঘরে ঘরে ধান মাড়াই ও শুকিয়ে গোলায় তোলার কাজে এখন ব্যস্ত কৃষকেরা । তাছাড়া এবছর হাওড়ে বোরোর বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি সিলেট বাসী। মঙ্গলবার ১৩ মে শতভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা কৃষি কার্যালয়।
সরেজমিনে বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা গেছে, সিলেট জেলার সর্ববৃহৎ ঝিলকার হাওর পাকা ধান কাটা শেষ হয়েছে। এসব পাকা ধান গোলায় তুলতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন কৃষক পরিবার।
স্থানীয় কৃষকেরা সর্বপ্রথম সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সিলেট সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,
এবার বৈশাখ মাস শেষ হওয়ার আগেই ধান কাটা শেষ হয়েছে। প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় ভালোয় ভালোয় ধান কাটার কাজ শেষ হয়। এ উপজেলায় সাধারণত চৈত্রের শেষের দিকে বোরো ধান পাকা শুরু হয়। পুরো বৈশাখ মাসজুড়ে ধান কাটার ধুম পড়ে। জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত সময় লাগে ফসল গোলায় তুলতে। অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় এ বছর বৈশাখ মাসেই ধান গোলায় তুলার কাজ শেষ হয়ে গেছে প্রায়৷
তারা আরও জানান, বোরো ধান ঘরে তুলতে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে ফসলের মাঠে মাঠে লড়ছেন হাওরপাড়ের কৃষক পরিবারের সদস্যরা। এ বারের বাম্পারে ফলনে কৃষকেরা আনন্দিত। তবে শ্রমিক সংকটের দুশ্চিন্তায় থাকলেও কম্বাইন হারভেস্টর ধান কাটার যন্ত্রের সুবিধায় এবং প্রকৃতির আশীর্বাদে ফসলের মাঠ থেকে ধান কাটার কাজ শেষ হয়েছে।
হেলাল মিয়া বলেন, ‘এবারই আগেভাগে ধান কাটা শেষ হয়েছে। সব জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। এক দুই দিনের মধ্যে গোলায় তুলার কাজও শেষ হয়ে যাবে। অন্যান্য বছর বোরো ফসল গোলায় তুলতে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত সময় লাগত। এ বছরই বৈশাখেই শেষ৷
এবারের ফলন ভালো এবং সকল প্রকার দুর্ভোগের আগেই ধান কৃষকের ঘরে উটেছে, এবং আগামীতে কৃষকদের উদ্দেশ্য সিলেট জেলা প্রশাসক এর কাছ থেকে কিছু জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি৷ পরবর্তী তে
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ’র মোঠোফোনে কল দিলে তিনি ও রিসিভ করেন নাই তাই প্রতিবেদক বক্তব্য নিতে পারেন নাই৷
এ বিষয়ে সিলেট সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার বলেন, সদরের ছয় হাজার চল্লিশ (৬০৪০) হেক্টর জমিনে এবসর ব্যাপক আবাদ হয়েছে, আমাদের যে লক্ষ মাত্রা ছিল পাঁচ হাজার নয়শত পঁচানব্বই (৫৯৯৫) তার থেকে প্রায় ৪৫ হেক্টর জমি বেশি আবাদ হয়েছে এবং এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফসল ও অনেক ভালো হয়েছে৷ আমাদের ফসল কাটতেও কোনো সমস্যা হয় নি, ধান কাটার হারভেস্টার মেশিন সব হাওরে ছিলো এমনকি আমরাও সব সময় হাওরে ছিলাম কৃষকদের সুপরামর্শ দিয়েছি৷ এবছর ধানের বাজার মূল্য বেশি আছে সরকার ৩৬ টাকা কেজিতে ধান কিনছে এতে বাজার মূল্যেও কৃষক খুশি৷
তিনি আরো বলেন, এবছর আমরা কৃষিতে সব দিকেই সফলতা পেয়েছি, ভুট্টা এবং তরমুজেও শতভাগ সফলতা পেয়েছি, এবছর তরমুজ সদরে কম হয়েছে আগামীতে আরো বেশি করার চেষ্টা করবো আমরা৷
Notifications