এ বিষয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যে মতামত দিয়েছিল, তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিছু দল লিখিত যে প্রস্তাব দিয়েছে, আলোচনার পর মতামত বদলেছে।
কিন্তু তিনটি দল বলেছে, তারা লিখিত এবং মৌখিকভাবে বলেছিল, তারা ইভিএমের বিপক্ষে। কিন্তু ইসি তাদের পক্ষে দেখিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘হয়তো তারা (ওই তিনটি দল) লিখিত দিয়েছিল বিপক্ষে। কিন্তু আলোচনার পর তারা যেভাবে কথা বলেছে, সেটা পক্ষে এসেছে। হয়তো এখন তারা আবার বিপক্ষে বলতে পারে, সেটা তো তাদের অধিকার আছে।’
এর আগে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরেক নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, তাঁরা মনে করছেন তাঁরা যেটা করেছেন তা ঠিক আছে। রাজনৈতিক দল অনেক কথা বলছে। ইসি যাচাই–বাছাই করে দেখবে। যদি ভুল ধরা পড়ে, ভুল তো ভুলই।
ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রসঙ্গে রাশেদা সুলতানা বলেন, ইভিএমে সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব এটা বোঝার পর ইসি কেন সে যন্ত্র নেবে না? অন্য অনেক দেশের ইভিএমের সঙ্গে এই ইভিএমের মিল নেই। এখানে বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের ব্যবস্থা আছে। ইসিকেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘কে ইভিএম চাইল, কে চাইল না, সেটা কি বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার? ইসির কি এতটুকু স্বাধীনতা নেই?’