ইসরাইল ও তুরস্ক দুই দেশের নেতারা একে অপরের দেশে সফর করে পরিস্থিতি অনেকটাই বন্ধুত্বপূর্ণ করে তুলেছিল। ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আঙ্কারা সফর করেছিলেন এবং তার সম্মানে ইসরাইলের জাতীয় সঙ্গীত বাজিয়েছিল তুরস্ক। সেই ধারায় এবার দুই দেশের মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু হতে যাচ্ছে। তারা একে অপরের দেশে রাষ্ট্রদূতও নিয়োগ করবে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর অফিসের বরাত দিয়ে ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, দুই দেশই নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তুরস্ক ও ইসরাইল চায় নিজেদের মধ্যে আর্থিক, বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরালো হোক। এর ফলে আঞ্চলিক স্থায়িত্ব জোরদার হবে। ইসরাইলের স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন তুরস্কের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল দেশটির। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে যে কটি দেশ ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল তারমধ্যে তুরস্ক অন্যতম। তবে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করার পর তুরস্কের তরফ থেকে এর প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।তখন থেকেই সম্পর্কে একটি টানাপড়েন দেখা যায়। তবে গত বছর থেকেই আবারও ইসরাইলকে কাছে টানতে শুরু করেছে তুরস্ক। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটা ধাপ হলো রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করা। ইসরাইল এ নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। তুরস্কও তেলআভিভে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাহলে ফিলিস্তিনকে বাদ দিয়ে নিজের সুবিধার কথাই কি বেছে নিলো তুরস্ক? এ নিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার জানিয়েছেন, তারা ফিলিস্তিনের বিষয়টি ছেড়ে দিচ্ছেন না। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ হলে তার মাধ্যমে এ নিয়ে বার্তা আরও ভালোভাবে দেয়া যাবে।