ইউনুছ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক আলী আকবর শোকের মাস উপলক্ষে কালো ব্যাজ ধারণ করবেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলার শৌলমারী মতিয়ার রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারি প্রধান শিক্ষক। শিক্ষক আলী আকবর শোকের মাসে কালো ব্যাজ ধারণ করবেন না ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের আলোচনা সভায় উপস্থিত না হওয়ার অভিযোগ প্রতিষ্ঠান গভর্নিং বডি সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আহমেদ হোসেন।বিদ্যালয় সূত্রে জানাগেছে, আগামী ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। এ মাসে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাসব্য্যাপি কালো ব্যাজ ধারণ করার জন্যে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।কিন্তু উপজেলার শৌলমারী মতিয়ার রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারি প্রধান শিক্ষক আলী আকবর শোকের মাস উপলক্ষে কালো ব্যাজ ধারণ করেননি ও করবে না বলে জানিয়েছে। এদিকে সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় শিক্ষক মিলনায়তনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী আলোচনা সভায় উপস্থিত হননি।বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী’রা অভিযোগ করে বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মজিবের জন্মবার্ষিকীতে ইচ্ছাকৃত ভাবে সহকারি প্রধান শিক্ষক আলী আকবর স্যার উপস্থিত ছিলেন না। এটা দু:খজনক।স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শামসুল আলম বলেন, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মজিবের জন্মবার্ষিকীতে সকল শিক্ষক ও কর্মচারী উপস্থিত থাকলেও বিদ্যালয়ের সহ প্রধান উপস্থিত ছিলেন না। এ আলোচনা সভায় উপস্থিত না হওয়ায় তার প্রতিবিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্ঠি হয়েছে।
এ বিষয়ে শৌলমারী মতিয়ার রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আহমেদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, শোকের মাসে কালো ব্যাজ ধারণ করার জন্য একটি নির্দেশনা থাকলেও সহকারি প্রধান শিক্ষক আলী আকবর কালো ব্যাজ পড়েননি ও পড়বেন না বলে জানিয়েছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মজিবের জন্মবার্ষিকী আলোচনা সভাও উপস্থিত থাকেননি তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এসব প্রসঙ্গে গভর্নিং বডি’র সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তার বিরুদ্ধে শহিদ মিনার নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য’র অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের ক্লাসে উপস্থিতির না করাসহ কোচিং সেন্টারগুলোর সঙ্গে কমিশন হিসেবে টাকা আদায়েরও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুঠোফোনে শৌলমারী মতিয়ার রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. আলী আকবর বলেন, নিয়মবর্হিভূত করে অন্যায়ভাবে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আহমেদকে দায়িত্ব দেয়ায় মনক্ষুন্ন হয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, দিবস ও আলোচনা সম্পর্ক বিষয়ে আমাকে কোন নোটিশ প্রদান করেননি। তাই বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলাম না। কিন্তু আলোচনা সভায় যোগদান করেনি। কালো ব্যাজ ধারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কালো ব্যাজ আগামীকাল থেকে পড়া হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শৌলমালী মতিয়ার রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডি’র সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম জানান, জাতীয় দিবসগুলোতে তিনি (সহ প্রধান আলী আকবর) উপস্থিত থাকেন না এবং প্রতিষ্ঠানশৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে মাঝে মধ্যে করে থাকেন তাই তাকে শোকজ হয়েছে।