1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন

সশস্ত্র হয়েও নিরস্ত্র হিসেবে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করেন আসাদুজ্জামান

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০

সশস্ত্র হয়েও নিরস্ত্র হিসেবে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করেন আসাদুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে ২০১৩ সালের মে মাসে হেফাজতের তাণ্ডবে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে বাকিগুলো নিজের ট্রাংকে রেখে দেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আসাদুজ্জামান। সশস্ত্র ও লাইনের পুলিশ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও নিরস্ত্র হিসেবে নিজ নামে বিভিন্ন থানার উচ্চপদ ব্যবহার করে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করেন তিনি, যাতে তার দোষীমনের বহিঃপ্রকাশ পেয়েছে। এছাড়া তদন্তকালে তার স্বভাব-চরিত্র ভালো নয় মর্মেও জানা গেছে।
এএসআই আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দায়েরকৃত মামলার চার্জশিটে এমন কথাই বলা হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামানের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) আরিফুর রহমান সরদার। পরে আদালত মামলার চার্জশিটটিতে স্বাক্ষর করে বিচারের জন্য মহানগর আদালতে পাঠিয়ে দেন।
ট্রাংকে অবৈধভাবে গুলি রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসাদুজ্জামানকে অভিযুক্ত করে দেয়া চার্জশিটে সাক্ষী করা হয়েছে ২৬ জনকে।
গত ২২ জুলাই আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান। পরের দিন আসাদুজ্জামানকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেফতার হওয়ার সময় আসাদুজ্জামান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিমে এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রিমান্ড আবেদন থেকে জানা যায়, ২১ জুলাই বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় রাষ্ট্রপতির প্রটোকল ডিউটির সময় শাহবাগ থানার পুলিশ নবাব আবদুল গণি রোডের পুলিশ প্রটেকশন বিভাগের এটিএম বুথের পেছনে একটি ট্রাংক দেখতে পায়। ট্রাংকের নিচের অংশ জরাজীর্ণ হওয়ায় কিছু অংশ ভেঙে পড়লে ভেতর থেকে সাতটি শটগানের কার্তুজ পড়ে যায়। এরপর শাহবাগ থানার পুলিশ ট্রাংকটি তল্লাশি করে আরও ১৭টিসহ মোট ২৪টি কার্তুজ জব্দ করে। ঘটনাস্থলে ট্রাংকটির মালিককে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি।
পরে ২২ জুলাই আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, ২০১৩ সালে তিনি মিরপুর পিওএম উত্তরে কর্মরত ছিলেন। সে বছর মে মাসে হেফাজতের তাণ্ডব চলাকালে মতিঝিল এলাকায় ডিউটির সময় সরকার থেকে পাওয়া অস্ত্র থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। নিয়মানুসারে ডিউটি শেষে পিওএম অস্ত্রাগারে অবশিষ্ট গুলি জমা দেয়ার কথা থাকলেও আন্দোলনের সময় গুলিসমূহ শেষ হয়েছে বলে জমা না দিয়ে ব্যক্তিগত ট্রাংকে রেখে দেন আসাদুজ্জামান। ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পদোন্নতি হলে তিনি তার ট্রাংক-বোর্ডিংসহ নবাব আবদুল গণি রোডের পিসিআরের ২ নম্বর ভবনের ষষ্ঠ তলায় স্থানান্তর হন।
চার্জশিটে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে এনে জব্দকৃত কার্তুজের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, ২০১৩ সালে তিনি মিরপুর পিওএম উত্তরে কর্মরত ছিলেন। ২০১৩ সালের মে মাসে হেফাজতের তাণ্ডব চলাকালে ইউবিএল ক্রসিংয়ে ডিউটি করার সময় তার কাছে থাকা অস্ত্র থেকে তিনি কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। নিয়মানুসারে ডিউটি শেষে পিওএম অস্ত্রাগারে অস্ত্র-গুলি জমা দেয়ার কথা থাকলেও যথাসময়ে পিওএম অস্ত্রাগারে জমা না দিয়ে আন্দোলনের সময় গুলিসমূহ খারিজ দেখিয়ে অস্ত্র জমা দিয়ে গুলিগুলো পিওএম উত্তর বিভাগে তার ব্যক্তিগত ট্রাংকে রেখে দেন।
২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর তার বদলি হলে তিনি ট্রাংক-বোডিং নিয়ে প্রটেকশন বিভাগের ২নং বিল্ডিংয়ে চলে আসেন। ২০২০ সালের ২১ জুলাই পর্যন্ত ওই ট্রাংক সেখানেই রক্ষিত ছিল।
চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি আসাদুজ্জামান সশস্ত্র ও লাইনের পুলিশ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও নিরস্ত্র পুলিশ হিসেবে নিজ নামে বিভিন্ন থানার পুলিশের উচ্চপদ ব্যবহার করে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করেন, যাতে আসামির দোষীমনের বহিঃপ্রকাশ পায়। গুলির উৎস সম্পর্কে আসামির উল্লেখিত বক্তব্য ও জব্দকৃত আলামত যাচাই বাছাই করে তা স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, ট্রাংকটির মালিক এএসআই (এবি) ৮৮১৯ আসাদুজ্জামান (৩৮) এবং ট্রাংকের ভেতর রক্ষিত গুলিসহ অন্যান্য মালামালও তার। ওই আসামি অবৈধভাবে গুলিসমূহ সংগ্রহপূর্বক অসৎ উদ্দেশ্যে নিজের হেফাজতে রাখায় ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) অপরাধ করেছেন।
আসামির নাম-ঠিকানা যাচাইকালে এলাকায় তার স্বভাব-চরিত্র ভালো নয় মর্মেও জানা যায় উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়, আসামির বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হলো।

Facebook Comments
৩ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি