1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৮ অপরাহ্ন

অনলাইনে অর্থ উপার্জনের নামে ভাওতাবাজি- অর্থ লোপাট

ডেস্ক রিপোর্ট দৈনিক শিরোমণিঃ
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২

ডেস্ক রিপোর্ট দৈনিক শিরোমণিঃ অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে একাধিক চক্র বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপস তৈরি করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। আর এরই ফাঁদে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও সর্বস্বান্ত হচ্ছে আমাদের যুব সমাজ। কখনো গেমের মাধ্যমে, কখনো বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে, কখনো ভিডিও দেখার মাধ্যমে, কখনোবা বিভিন্ন সাইট পরিদর্শনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। এখানে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমটাকে খুবই লাভজনক ও সহজভাবে উপস্থাপন করায় অতি সহজেই আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে যুবকেরা। অতি অল্প সময়ে অধিক টাকা উপার্জনের এই পদ্ধতিতে কোন কিছু না বুঝেই পুঁজি বিনিয়োগের প্রতিযোগিতায় সকলে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। থামছে তখনই যখন দেখছে ওই সাইটটা বা অ্যাপসটা আর কোন কাজ করছে না। এমতাবস্থায় বিনিয়োগ কারীদের হায় হায় করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকছে না। হতাশাগ্রস্ত, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও সর্বস্বান্ত হয়ে তারা পুনরায় খুঁজে চলেছে নতুন কোন উপার্জনের পথ।ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যায় যখন কোন নতুন সাইট বা অ্যাপস চালু হয় প্রথমে বলা হয় সম্পূর্ণ ফ্রি কিন্তু কিছুদিন পরে যখন কিছু টাকা জমা হয় আর সেটা উত্তলোণের প্রক্রিয়ায় যাওয়া হয় তখন কোম্পানি তাকে মেসেজ প্রদর্শন করে যে আপনার এই টাকা উত্তোলন করতে গেলে আমাদের এখানে কিছু টাকা আপনাকে জমা করতে হবে যার মাধ্যমে আপনি আমাদের সদস্য পদ লাভ করবেন অথবা বিভিন্ন রকম প্যাকেজ প্রদর্শন করা হয় এই মর্মে যে, আপনি এর যে কোন একটা প্যাকেজ ক্রয় করলেই আপনার জমাকৃত টাকাটা উত্তোলন করতে পারবেন এবং পাশাপাশি আপনার উপার্জনও বৃদ্ধি পাবে। এরই ধারাবাহিকতায় সেখানে অনেকগুলো প্যাকেজের তালিকা দেওয়া থাকে। যে যত বেশি টাকা ওখানে জমা করবে সে তত বেশি উপার্জন করতে পারবে বা লভ্যাংশ পাবে। আর এরই ফাঁদে পা দিয়ে হাবুডুবু খায় তরুণ ও যুব সমাজ। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় কিছুদিন পরেই দেখা যায় সাইটটি বা অ্যাপসটি বন্ধ হয়ে গেছে বা তারা হারিয়ে গেছে। মোটা অংকের একটা টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা হয়ে গেছে লাপাত্তা।
প্রাপ্ত তথ্য মতে অনুসন্ধান করে জানা যায়, এই সমস্ত প্রক্রিয়াগুলো চীন, রাশিয়া, আমেরিকা থেকে সর্বপ্রথম চালু হয়ে আমাদের দেশে এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এই সমস্ত এজেন্টের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন ও লোভনীয় বিজ্ঞাপন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও ইউটিউবে ছড়িয়ে দিয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ তাদের পাতানো ফাঁদে জড়িয়ে ফেলা হয়। যেখানে শুরুতেই সম্পূর্ণ ফ্রি উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করলেও পরবর্তীতে টাকা উত্তোলন করতে গেলে ও বিভিন্ন রকম লোভনীয় উচ্চমাত্রায় লাভের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীদেরকে বিনিয়োগ করানো হয়। প্রথম পর্যায়ে উপার্জিত টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিলেও যখন পরিমাণটা অনেক হয়ে দাঁড়ায় তখন কোম্পানিগুলো লাপাত্তা হয়ে যায়। বিনিয়োগ ও উত্তোলন অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে হওয়ায় তারা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। খুঁজে পাওয়া যায় না তাদের কোন ঠিকানা। কিন্তু অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা লেনদেনে কর্মরত সকলে অভ্যস্ত ও পারদর্শী না হওয়ায় গ্রাহক বাড়ানোর তাগিদে কোম্পানিগুলো বর্তমানে তাদের এজেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি ব্যবহার শুরু করে। আর এখানেই ঘটে বিপত্তি। কারণ তৈরি হয় তাদেরকে খুঁজে পাওয়ার একটা সম্ভাব্য সূত্র। সম্প্রতি সকলের টাকা হাতিয়ে নিয়ে হারিয়ে যাওয়া এমনই একটি চাইনিজ কোম্পানির নাম BTigerShopping. হাজার হাজার মানুষের টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাতারাতি উধাও হয়ে গিয়েছে এই কোম্পানিটি। ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সময় যে বিকাশ নাম্বার গুলির মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ করেছে সেই নাম্বার গুলো অনুসন্ধান করে জানা যায় 01700582221 (Moni Enterprise), 01964136106 (Ajgor Genarel Store), 01930277608 (Khan Telecom), 01920514689 (ZHONGQUAN SUPPLIER -ONLINE) ও 01877963553 (Robiul Store) নামে নিবন্ধনকৃত। এই মোবাইল নাম্বার গুলো সঠিকভাবে তদন্ত করলেই একে একে বেরিয়ে আসবে সব থলের বিড়াল। কিছুদিন পূর্বে হারিয়ে যাওয়া কোম্পানির মধ্যে রয়েছে TwitterFollow, Tiger Shopping, Bobole সহ আরো অনেক কোম্পানি। বর্তমানে চলমান সাইট/অ্যাপস/কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে Smart Part-Time, F&C, Jade AI, Armis, BFIC Network, Keomdy, Slearning, sbot, seoburn সহ আরো অনেক কোম্পানি। আমাদের দেশের ১০ হাজারের উপরে মানুষ এই সমস্ত অনলাইন আর্নিং এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের সাইবার ক্রাইম পর্যালোচনা, নিয়ন্ত্রণ ও দমনের জন্য সাইবার ক্রাইম ইউনিট রয়েছে, CID রয়েছে, রয়েছে BTRC, রয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। ভুক্তভোগীরা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে তারা যাহাতে বর্তমান অবস্থা থেকে উদ্ধার পেতে পারে এবং ভবিষ্যতে যাতে আর কোন কুচক্রী মহল তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সাধারণ মানুষের সাথে ধোঁকাবাজি, ভাওতাবাজি ও অর্থলোপাটের মত কর্মকাণ্ড করতে না পারে তার জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আসু হস্তক্ষেপ কামনা করছে। এই বিদেশী কোম্পানিগুলো একদিকে আমাদের দেশের সরকারকে কোন ভ্যাট, ট্যাক্স বা রাজস্বতো দিচ্ছেইনা অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে আমাদের দেশের জনগণকে। কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে জনগণ ও দেশ। প্রকাশিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীদের উদ্ধারপূর্বক পরিত্রাণ ও যে সমস্ত কোম্পানিগুলো বর্তমানে অনলাইনে সক্রিয় আছে তাদেরকে রাষ্ট্রীয় নীতির আওতায় এনে নিয়মিত তদারকির আহ্বান জানায় ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা। এতে করে সরকারও পাবে মোটা অংকের একটা রাজস্ব আর অনলাইন কর্মীরাও স্বাচ্ছন্দে, নিশ্চিতে ও নিরাপদে তাদের কর্মকাণ্ডগুলো চালিয়ে যেতে পারবে।

Facebook Comments
১৮৫ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি