1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন

ইউরোপে আশ্রয় প্রার্থনায় শীর্ষ ৫-এ বাংলাদেশ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে আশ্রয় প্রার্থীর সংখ্যা রেকর্ড ছুঁয়েছে! ২০২১ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোটে থাকা ২৭ রাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থীর হার ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কমপক্ষে ৬ লাখ ৪৮ হাজার আশ্রয়প্রার্থী ইউরোপের দেশগুলোতে আবেদন করেছেন। শীর্ষ ছয় আবেদনকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম! মঙ্গলবার প্রকাশিত আশ্রয়প্রার্থী বিষয়ক ইইউ’র বার্ষিক রিপোর্টে বিস্তারিত ওঠে এসেছে। রিপোর্টে ২০২১ সালের পাশাপাশি ২০২২ সালের প্রথম দিকের পরিস্থিতি, বিশেষ করে ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনে শরণার্থী পরিস্থিতি কতোটা জটিল রূপ নিয়েছে, তা  তুলে ধরা হয়েছে। ইউরোপে গত ৩০ বছরের মধ্যে প্রথম স্থলযুদ্ধের প্রভাব স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ঝুঁকিতে পড়া মানুষদের সুরক্ষার বিষয়টি সেখানে জোরদার হয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানের মূল বক্তা এবং ইইউএএর নির্বাহী পরিচালক নিনা গ্রেগোরি বলেন, ২০১৫–২০১৬ সালে সিরিয়া যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট শরণার্থী সংকটের পর গত বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন করেছে। রিপোর্টে তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে; অভিবাসীদের ওপর বেলারুশ সরকারের নিপীড়ন, আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতায় ফেরা এবং ইউক্রেন যুদ্ধ।নিনার মতে, আন্তর্জাতিক কয়েকটি ঘটনার প্রেক্ষাপটে এত বিপুলসংখ্যক মানুষ ২০২১ সালে ইউরোপের দেশগুলোতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। ফলে আবেদনকারীদের সংখ্যা করোনা সংক্রমণের আগের পর্যায়ে ফিরে গেছে।রিপোর্টে বলা হয়, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত আবেদনকারীর হার মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের দিকে সংখ্যাটি বাড়তে থাকে।বিশেষ করে আফগানিস্তান ও সিরিয়া থেকে দলে দলে ইউরোপে প্রবেশের কারণে সংখ্যাটি হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। রিপোর্ট বলছে,  আশ্রয়প্রার্থীর আবদনের তালিকার শীর্ষ রয়েছে সিরিয়া। সে দেশের ১ লাখ ১৭ হাজার নাগরিক ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। সিরিয়ার পরের অবস্থানে আফগানিস্তান। দেশটির ১ লাখ ২ হাজার নাগরিক ইউরোপের দেশে দেশে আশ্রয় প্রার্থনা করছেন। সেই তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক। দেশিটর ৩০ হাজার নাগরিক ইউরোপে আশ্রয় চেয়েছে। পাকিস্তান ও তুরস্ক যুগ্মভাবে চতুর্থ অবস্থান দখল করেছে। গড়ে দেশ দু’টির ২৫ হাজার নাগরিক ইউরোপে ঢুকে আশ্রয় চেয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ইকোনমিক রাইজিং স্টার বাংলাদেশের ২০ হাজার নাগরিক  জীবনের মায়া ত্যাগ করে নানাভাবে (ঝঞ্ঝাট পেরিয়ে) ইউরোপে ঢুকেছে, যাদের উল্লেখযোগ্য অংশের আশ্রয়ের আবেদন ঝুলে গেছে!ইইউর রিপোর্ট বলা হয়, ২০২১ সালে ৬ লাখ ৪৮ হাজার আশ্রয়প্রার্থীর আবেদনের মধ্যে ৫ লাখ ৩৫ হাজার আবেদন প্রাথমিকভাবে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ১৮ হাজারকে শরণার্থীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে। সম্পূরক সুরক্ষা দেয়া হয়েছে ৬৪ হাজারকে। রিপোর্টের দাবি, সর্বোচ্চ ১ লাখ ৯১ হাজার আশ্রয় প্রার্থী ফ্রান্সে থিতু হতে চেয়েছেন। ৬৫ হাজার আশ্রয় চেয়েছেন স্পেনে আর ইতালিতে পড়েছে ৫৩ হাজার আবেদন।রিপোর্ট বলছে, আবেদনকারী ৭০ শতাংশই পুরুষ। ৬ লাখ ৪৮ হাজার আবেদনকারীর অর্ধেকের বয়স ১৮-৩৪ । মোট আবেদনকারীদের ২৯ শতাংশের বয়স ১৯ বছরের কম। সঙ্গীহীন কিশোরের মধ্যে দুই–তৃতীয়াংশের বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছর।রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল—এই পাঁচ বছরে ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন প্রতিবছর (গড়ে) ১১ হাজারের বেশি। করোনা সংক্রমণের শুরুর বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে সংখ্যাটি ছিল ১১ হাজার ৫৭০ জন। এ ছাড়া ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত চার বছরে আবেদনের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৫ হাজার, ১৮ হাজার ৮৬৫, ১৩ হাজার ৭৪০, ১৫ হাজার ৮৪৫ এবং ১১ হাজার ৫৭০ জন।সঙ্গীহীন কিশোর–কিশোরীর আবেদনে শীর্ষ তিন দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম রয়েছে। তবে তা তালিকার ৩ নম্বরে আছে। ইউরোপে আশ্রয়ে আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায়ও রয়েছে বাংলাদেশ। ওই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম!বাংলাদেশের আগে আছে আরও ৪ টি দেশ। সিরিয়া, পাকিস্তান, কলম্বিয়া ও নাইজেরিয়া। বাংলাদেশের ১৫ হাজার ৯৩৫ নাগরিকের আবেদন ইইউতে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশ্রয়প্রার্থীবিষয়ক বার্ষিক রিপোর্টকে তাৎক্ষণিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশ্রয়প্রার্থীবিষয়ক নীতিমালা সংস্কারের প্রশংসা করে আশা প্রকাশ করে বলেন, চেক প্রজাতন্ত্র ইইউর সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। ১ জুলাই থেকে চেক রিপাবলিক ইইউ’র সভাপতির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে। গ্র্যান্ডি চেক রিপাবলিক সফর  করে সবে জেনেভা ফিরেছেন।

Facebook Comments
৩ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি