 
																
								
                                    
									
                                
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লেগে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার পণ্য পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতারা। তারা বলছেন, এ ঘটনা রপ্তানি খাতের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রোববার দুপুরে এ কথা বলেন বিজিএমইএ সহসভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা সার্কুলার জারি করেছি, যাতে আমাদের সদস্য যাদের পণ্য সেই ডিপোতে ছিল তারা যেন তথ্য দেয়। আমরা অনুমান করছি প্রায় ৯০০ কোটি টাকার মূল্যের রপ্তানি পণ্য একেবারেই পুড়ে গেছে। আমরা এ ব্যাপারে আরও খোঁজখবর নিচ্ছি। পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
দেশের রপ্তানিতে এ ঘটনা প্রভাব ফেলবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বড় ধরনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছি। এরপর আমরা ক্রেতা ও রপ্তানিকারক সবার সঙ্গে বসে এ ব্যাপারে করণীয় ঠিক করব।’
অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা) কর্তৃপক্ষের মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, ‘ডিপোতে ক্ষয়ক্ষতি ১১ কোটি ডলার ( প্রতি ডলার ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা হিসাবে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা) ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আমাদের ধারনা।
‘এর মধ্যে রপ্তানি কনটেইনারে ৪৫ মিলিয়ন ডলার (৪০৪ কোটি টকা) ও আমদানি পণ্যের কনটেইনারের ক্ষেত্রেও ৪৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি এবং অন্তত ২০ মিলিয়ন ডলারের (১৮০ কোটি টাকা) খালি কনটেইনারের ক্ষতি হয়েছে। যদিও সঠিক নিরূপণ করা এখনও সম্ভব হয়নি। সেখানে হিমায়িত খাদ্য পণ্যের পাশাপাশি তৈরি পোশাকও ছিল।’
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার একটি কনটেইনার ডিপোতে রোববার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ কর্মীও রয়েছেন।
আগুনে দগ্ধ ও আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের রাসায়নিক পদার্থ থাকার বিষয়টি জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা। তবে ডিপো কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তারা রাসায়নিকের কথা জানিয়ে পানির পরিবর্তে এক্সটিংগুইশার ব্যবহারের কথা বললেও ফায়ার সার্ভিস তা শোনেনি।
আগুনে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ডিপো ম্যানেজার নাজমুল আক্তার খান বলেন, ‘ ডিপোতে ৪ হাজার ৩০০ কনটেইনার ছিল। এর মধ্যে খালি ছিল ৩ হাজার। বাকি ১৩০০ কনটেইনারে বিভিন্ন রপ্তানি পণ্য ছিল। যার মধ্যে অধিকাংশই পোশাক খাতের রপ্তানি পণ্য।’