1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:১৫ অপরাহ্ন

অভয়নগরে বোরো ধান ব্লাস্টরোগে আক্রান্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দাবি

জসিম উদ্দিন বাচচু স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক শিরোমণিঃ
  • আপডেট : সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২২

জসিম উদ্দিন বাচচু স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক শিরোমণিঃ যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ১৩ হেক্টর জমির বোরো ধান ব্লাস্টরোগে আক্রান্ত হয়েছে। কৃষি বিভাগের উদাসীনতাকে দায়ি করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৩ হাজার ১০০ হেক্টর জমির মধ্যে চলতি বোরো মৌসুমে ১২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপন হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে ৯০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়নি। বাঘুটিয়া ও পায়রা ইউনিয়নে আবাদকৃত জমির মধ্যে আনুমানিক ১৩ হেক্টর জমির ধান ব্লাস্টরোগে আক্রান্ত হয়েছে। বাঘুটিয়া ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের সংখ্যা বেশি। যে কারণে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হতে পারে।ব্লাস্টরোগে আক্রান্ত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের সংখ্যা প্রায় ১০০ জন। এবছর বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৩৪০ মেট্রিক টন।ব্লাস্টরোগের কারণে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।সরেজমিনে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বুড়বুড়ি বিল, ধান গড়ার মাঠ, নাতকোয়ার বিলে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ ধানের শিষ সাদা হয়ে চিটায় পরিণত হয়েছে। ধানগাছগুলো মরে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিরি-২৮ জাতের ধান ব্লাস্টরোগে আক্রান্ত হয়েছে বেশি। ওই বিলের কৃষক রবিউল ইসলামের ৬০ শতাংশ, রফিক মোড়লের ১০ কাঠা, মহিরউদ্দিনের ১৮ কাঠা জমির ধান মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কৃষক আজিজুর রহমান অভিযোগ করেন, ধান রোপনের পর থেকে একদিনও ব্লক সুপারভাইজার বিলে আসেননি। একই অভিযোগ কৃষক রফিক মোড়ল, ইউনুস মোল্যা, প্রদীপ কুমার পাল, কাওছার শেখসহ একাধিক কৃষকের। কৃষক পরিতোষ কুমার পাল জানান, এক মাস পূর্বে ধানগাছে ব্লাস্ট রোগের আক্রমন দেখা দিলে তিনি কৃষি অফিসকে জানান। কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা আক্রান্ত ধানগাছ তুলে কৃষি অফিসে নিয়ে আসতে বলেন। সে মোতাবেক তিনি আক্রান্ত ধানগাছ গোড়াসহ কৃষি অফিসে নিয়ে আসলে শুধু পরামর্শ পান, কিন্তু প্রতিকার পাননি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় কখনও কৃষি অফিসের কাউকে আসতে দেখিনি।উপজেলা উপ-সহাকারী কৃষি কর্মকর্তা (বাঘুটিয়া ইউনিয়ন) অপূর্ব মন্ডল মুঠোফোনে জানান, ব্লাস্টরোগ সংক্রান্ত বিষয়ে সর্তকতামূলক লিফলেট কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে বুড়বুড়ি বিলের ৫-৭ জন কৃষকের জমির বোরো ধান ব্লাস্টরোগে আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে। ওই ইউনিয়নের ধান গড়ার মাঠ ও নাতকোয়ার বিলে অসুস্থতার কারণে তিনি যেতে পারেননি।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ গোলাম ছামদানী কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বোরো মৌসুমের শুরু থেকে কৃষকদের ব্লাস্টরোগ ও প্রতিকার বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছি। ধান রোপনের পর থেকে কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান চলমান রয়েছে। বাঘুটিয়া ও পায়রা ইউনিয়নে ব্লাস্টরোগে আক্রান্ত ১৩ হেক্টর জমির মধ্যে প্রায় ৭ হেক্টর জমির ধান রিকভারী করা হয়েছে।’তিনি আরো বলেন, ‘বিরি-২৮ এর পরিবর্তে ৮৮, ৮৯ ও ৯২ আধুনিক জাতের ধান চাষের পরামর্শ দেওয়া হলেও অধিকাংশ কৃষক বিরি-২৮ জাতের ধান রোপন করেছেন। ফলে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ইতোমেধ্য প্রায় ১০০ জন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা করা হয়েছে। কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।

Facebook Comments
no views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি