রাজারহাটে ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হকের বিরুদ্ধে গ্রামপুলিশ নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ
ইব্রাহিম আলম সবুজ রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশ নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে রাজারহাট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হকের বিরুদ্ধে।২০২০সালে রাজারহাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ প্রফুল্ল কুমার রায়ের মৃত্যুতে গ্রাম পুলিশের পদটি শুন্য হলে উক্ত পদে একজন অপ্রাপ্ত বয়সের ছেলে কে নিয়োগ দেন চেয়ারম্যান এনামুল হক।রাজারহাট ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার শহিদুল ইসলাম বাবু বলেন এনামুল হক চেয়ারম্যান মোটা অংকের উৎকোচন গ্রহণ করে নিয়োগ বিধির তোয়াক্কা না করে জালিয়াতি করে গোপনে নিয়োগ দেন গৌতম রায় নামের এক অপ্রাপ্ত বয়সের ছেলেকে।যা গ্রাম পুলিশ নিয়োগ বিধি পরিপন্থি।নিয়োগ প্রাপ্ত গৌতম রায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে নিপ্পন কুমার রায় পিতা নির্মল কুমার রায় উল্লেখ্য থাকলেও তিনি গৌতম রায় নামেই চাকুরী করছেন।তার জন্মনিবন্ধন নম্বরের জন্ম তারিখ ১০/০৯/২০০৩ ইং ও এসএসসির মুল সনদের জন্মতারিখ মিল থাকলেও ভোটার আইডি নম্বরের জন্মতারিখ ও নাম ভিন্ন।ভোটার আইডির জন্মতারিখ ১২/১২/১৯৯৬ইং।নিয়োগপ্রাপ্ত গৌতম রায় ২০১৯ সালে সিন্দুরমেতি বিএল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে এসএসসি পাশ করেন,যার রোল নং ৬১৯১২৫ রেজি নং ১৬১৭৭২২৭৮৪ ও সেশন ২০১৭-২০১৮।জন্মনিবন্ধন ও স্কুল সার্টিফিকেটে নিপ্পন কুমার রায় পিতা নির্মল কুমার রায় থাকলেও তিনি ঠাটমারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৯ ইং সনে অষ্টম শ্রেনী পাশের সনদ নেন।যেখানে ভোটার আইডির জন্মতারিখ উল্লেখ্য করেন ১২/১২/ ১৯৯৬ইং।যা একই ব্যক্তির দুইটি জন্মতারিখ ও দুটি নাম হলেও পিতা ও ঠিকানা একই দেখানো হয়েছে।সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হকের এই জালিয়াতি বিষয়ে ২ং ওয়ার্ডের মেম্বার শহিদুল ইসলাম বাবু বরাবর উপপরিচালক দুদক রংপুর ও বিভাগীয় কমিশনার রংপুর,জেলা প্রশাসক কুড়িগ্রাম এবং রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে লিখিত অভিযোগ করেন।
এবিষয় রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে তাসনিমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন যে বিষয়টি তদান্তধীন রয়েছে।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এনামুক হকের কাছে মোটোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই প্রসঙ্গে আমার মতামত নেই যেহেতু নিয়োগ বোডের সভাপতি ইউএনও স্যার জন্মনিবন্ধন ও অষ্টম শ্রেনীর সার্টিফিকেটে গৌতম রায়, ডাক নাম নিপ্পন কুমার রায়ের নামে আছে।
Notifications