নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের আক্কেলপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ইমাম হোসেন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার সোনাই চন্ডী গ্রামের হোসেন আলী মাস্টারের মেয়ে মোছা: মারুফা খাতুন গত ৬ জুন ২০২৫ ইং তারিখে পারস্পরিক সম্মতি ও পছন্দ অনুযায়ী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
তবে বিয়ের পর থেকেই মারুফার পরিবার এই বিয়ে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। একপর্যায়ে মারুফার বাবা-মা তাকে জোরপূর্বক স্বামীর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিজ বাড়িতে আটকে রাখে এবং মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ করেন মারুফা।
এ বিষয়ে শুক্রবার (৮ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে মারুফা খাতুন জানান, “আমি ইমাম হোসেনকে নিজের পছন্দে বিয়ে করেছি। আমরা একসাথে সুখে সংসার করছিলাম। কিন্তু আমার বাবা-মা এটা মেনে নিতে না পেরে আমাকে স্বামীর বাড়ি থেকে জোর করে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, এক মাস আগে তারা আমাকে জোর করে তালাকের একটি কাগজে সই করায়। অথচ সেটি কোনোভাবেই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বৈধ তালাক নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমি এখন স্বেচ্ছায় আবার আমার স্বামীর কাছে ফিরে এসেছি। ৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে আমি স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসি এবং এখানেই শান্তিতে সংসার করতে চাই। আমার বাবা-মা যেন আর আমাদের সংসারে হস্তক্ষেপ না করেন এবং আমার স্বামী বা তার পরিবারের কাউকে কোনো মিথ্যা মামলায় না জড়ান—সেজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করছি।”
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মারুফা খাতুন তার নিরাপত্তা এবং সাংসারিক শান্তির স্বার্থে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। একইসঙ্গে তার পিতা হোসেন আলী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দ্বারা কোনো ধরনের হয়রানি যেন না করা হয়, সে বিষয়েও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান।