1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. tamimshovon@gmail.com : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. sheikhmihadbabu@gmail.com : cmlbru :
  4. mintuchattagram@gmail.com : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. rakibw305@gmail.com : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. shahidur068@gmail.com : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. kmsiddik07@gmail.com : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. shamratjhenaidah@gmail.com : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. md.alamgir.nuhalalg00@gmail.com : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. mdruhel66@gmail.com : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. fajlurrahaman024@gmail.com : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. rubelusa1@gmail.com : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন

সেনাবাহিনীকে বুলডোজারে হত্যার নির্দেশদাতা পিনাকীর শাস্তির দাবি

কমরেড এম এ সামাদ, সভাপতি সিপিবি(এম)
  • আপডেট : শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫

সেনাবাহিনীকে বুলডোজার দিয়ে হ//ত্যা করতে প্রকাশ্য নির্দেশ দাতা সাংবাদিক ইলিয়াস-পিনাকি গং
শিবির ক্যাডার ফুয়াদ হুমকি দিচ্ছে বুলডোজার দিয়ে ক্যান্টনমেন্ট গুড়িয়ে দিবো।
এই গং প্রতিদিন সেনাপ্রধান সহ সেনাবাহিনীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছে
এরা প্রথম আলো আর ডেইলি স্টার অফিসের সামনে গরু জবাইয়ের কর্মসুচি দিচ্ছে গরু জবাইয়ের উছিলায় সেখানে বড় বড় ছুড়ি চাকু চাপাতি নিয়ে হাজির হচ্ছে আসলে এগুলো দিয়ে এরা মব সৃষ্টি করতে চায় মানুষ কে হত্যা করতে চায়।
এই মব জং বাহিনী এতোই শক্তিশালি যে তাদের বিচার হবে না কেন সেনা বাহিনী এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকারই কেন কিছু বলছে না।
১। সম্পাদক জগতে জীবন্ত কিম্বদন্তী মতিউর রহমান যিনি বাংলাদেশেই নয় বিশ্বের শ্রেষ্ট সম্পাদকদের ও একজন তিনি কেন ইলিয়াস- পিনাকি- জংগী গোষ্ঠীর টার্গেটে পরিনত হলেন।।
কারন এরা বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী জং রাষ্ট্র বানাতে
চায় বাংলাদেশের নারীদের কালো বোরকায় ( বস্তায়) ভরতে চায় তারা চারজন করে নারীকে বিবাহ করতে চায় যে নারী বোরকা হিজাব হাতমোজা পা মোজা না পরে রাস্তায় বেরোবে সেই নারীকে তারা চিৎকার করে বেশ্যা বলতে চায়। এক কথায় দেশটাকে তারা আফগানিস্তানের আদলে শাসন কায়েম করতে চাচ্ছে। কিন্তু প্রথম আলো এদেশের মুক্ত চিন্তা সকল ধর্মের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা,নারী নির্যাতন ধর্ষন নারীদের স্বাধীনতা, নারী জাগরনের পথিকৃৎ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই প্রথম আলো। প্রথম আলো সারা বিশ্বের মানুষের এমন বিশ্বস্হতা অর্জন করেছে যে প্রথম আলোতে
কোন সংবাদ প্রকাশিত হওয়া মানে এটাকে সত্যি সংবাদ হিসাবেই ধরে নেওয়া হয়। সরকারি বেসরকারি সবখানে রেফারেন্স হিসেবে প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদটায় স্হান পায়।। এবং প্রচার সংখ্যার দিক থেকে ও এমন পর্যায়ে গেছে। এই পএিকায় একটি সংবাদ ছাপলে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে মহুর্তের মধ্যে। মৌলবাদী অপশক্তি তাদের স্বপ্নের তালেবানী শাসন কায়েমের একমাত্র বাঁধা প্রথম আলো আর প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। প্রথম আলো আর ডেইলি স্টার বাংলাদেশের স্তম্ভ ভিত্তি ব্যালেন্স। তাই তো মব বাহিনী গিয়ে গরু জবাই করে প্রথম আলো আর ডেইলি স্টার অফিসের সামনে। এই মবদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে এই পএিকা ও জীবন্ত কিম্বদন্তী সম্পাদক মতিউর রহমানকে।

২।ওয়াকারউজ্জামান ৫৪ বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ সেনাপ্রধান যিনি রাষ্ট্র ক্ষমতা পেয়েও গ্রহন করেননি দেশকে গৃহযুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তিনি কেন ইলিয়াস পিনাকি- জংগী গোষ্ঠীর টার্গেটে পরিনত হলেন।

প্রথিবীর শ্রেষ্ঠ ১০০ সম্পাদকের তালিকার ১ম দিকেই আছেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান মেধা মনন দক্ষতা চিন্তাশীলতা ন্যায়পরায়নতা দেশপ্রেম দিয়ে এই সম্পাদক প্রথম আলোকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যা দেশের সেরাই নয় বিশ্বের সেরা সম্পাদকরাও মতিউর রহমান এর কাছে জানতে চায় শিখতে চায় গবেষণা করতে চায় বাংলাদেশের মতো দেশে শত সমস্যা শত বাঁধা পেরিয়ে কিভাবে প্রথম আলোকে বিশ্বমানের পএিকা করা করলেন।।

সেনাবাহীনির উপর দিয়ে বুলডোজার চালিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ইলিয়াস -পিনাকি প্রতিনিয়ত সেনাপ্রধান সহ তাদের পচ্ছন্দের নয় এমন সেনা অফিসারদের ভারতের দালাল ট্যাগ দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে যাচ্ছে।

সেনাবাহিনীকে সব সময় বিচার বিভাগের মতো সমালোচনার উদ্ধে রাখা হয় পৃথিবীর সব দেশে।

সেনাবাহিনী শত উস্কানীতেও কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে না বা ক্ষমতা দখল করছে না। এরা বিশেষ কোন গোষ্ঠীর নিমক খেয়ে সেনাবাহিনীতে একটা বিদ্রোহ বা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করুক এভাবেই সেনাবাহিনী নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ জড়িয়ে পরুুক ৭৫ পরবর্তী সময়ের মতো এই গোষ্ঠীটি চায় সেনাবাহিনীকে ধংশ করে মিলিশিয়া বাহিনী বা হিজবুতি বাহিনী বা লাদেন বাহিনী গঠন করে দেশে খেলাফতি বা আফগানি শাসন কায়েম করবে। দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীই তাদের জন্য প্রধান বাঁধা। এদের নিয়োগ কর্তাদের আমরা চিনি এরা জংগীবাদ-মববাদ কায়েমের লড়াই করে যাচ্ছে।
পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা একটা ফ্যাসিবাদ সরকার পালিয়ে গেল সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা চলে গেল তারা ৩ দিন ক্ষমতা রেখে ইন্টেরিয়র সরকার গঠন করে দেশকে গনতন্ত্রের পথে নিতে দীর্ঘ ৯ মাস নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী
আমাদের এই সেনাবাহিনী তো জাতির সূর্য সন্তান এদের পুরস্কৃত করা উচিৎ এবং জাতি শ্রদ্ধা ভালোবাসায় এই বীর সেনাদের ধারন করবে।
১৯৭১ এর রাজকাররা ঘৃনিত হয়েছিলো ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে রাজাকার মানেই জঘন্যতম চরিত্রের ধর্ষক খুনি লম্পট ঘৃণার পাত্র।
মুক্তিযোদ্ধারা দেশের মানুষের ভালোবাসা শ্রদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধী পেয়েছে এরা অমরত্ব লাভ করেছে ইতিহাসে ঠাই করে নিয়েছে দেশপ্রেমিক বীর মুক্তি যোদ্ধা হিসাবে।
ঠিক তেমনি ২০২৪ সালের গনঅভ্যুত্থানে ভুমিকার জন্য সেনাবাহিনি হবে দেশের গর্বিত সূর্য সন্তান।
ইলিয়াস পিনাকি ও তাদের নিয়োগকর্তারা সেনাবাহিনীকে ধংশ করে জংগী মব বাহিনী সৃষ্টি করে দেশ কে তালিবানি রাষ্ট্র বানাতে চায় এরা জংগী দালাল নিকৃষ্ট হিসাবে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বের প্রতিক তারা ২৪ ঘন্টা রেডি থাকে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে দেশ রক্ষায়।
২.তাদের সততাও প্রশ্নাতিত কারন তাদের সে সুযোগ থাকে না মুষ্টিমেয় কিছু বড় অফিসার ছাড়া তাদের কঠোরভাবে আইন শৃঙ্খলা মেনে চলতে হয় ট্রেনিং ও অনেক কষ্টের বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশে সেনাদের তেমন কোন সুযোগ সুবিধাও দিতে পারে না।

৩.আমাদের সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তি রক্ষি বাহিনীর অভিযানে অংশ নিয়ে বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশ্বের কোন দেশের সেনাবাহিনীর চেয়ে কম যোগ্য নয়।
আমরা আমাদের এই বাহিনী নিয়ে গর্ব করতেই পারি।

৪. এবার এদেশে হাসিনার ফ্যাসিজমের পতনে সেনাবাহিনীর ভুমিকা প্রশংসনীয় ছিলো তাছাড়া আরও অনেক রক্তপাত জীবন সংহার ধংশ অনিবার্য ছিলো তাছাড়া সেনাবাহিনীর এরশাদের মত বা ১/১১ এর মত ক্ষমতা দখল করতে পারতো। বা আমরা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর দিকে দেখলে দেখতে পায় দেশের গনতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে।
৪. যারা বলছে সেনাবাহিনীর ভীতরে ভাগ আছে এজন্য ক্ষমতা দখল করতে পারছে না তারা বোকার রাজ্য বাস করছে তারা ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান কে হত্যার পর সেনাবাহিনীতে যে বিশৃঙ্খলা ও হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছিল সেটার উদাহরন দিচ্ছে কি ৭৫ আর ২৪ একরকম নয় তখন তৎকালিন প্রেসিডেন্ডকে স্বপরিবারে হত্যার দিয়েই শুরু হয়েছিলো কর্নেল জামিল সহ আরও সেনা সদস্য নিহত হয়েছিলো সেনাবাহিনীর টোটাল চেইন অব কমান্ড ভেংগে পরেছিলো কারো কোন নিয়ন্ত্রণ ছিলো না বিভিন্ন গুপে বিভক্ত হয়ে যে যেমন টি মনে করেছে তেমনই ঘটনা ঘটিয়েছে।অনেক অফিসার জোয়ান হত্যাকান্ডের স্বীকার হয়েছে জীবন দিয়েছে আনেক ঘটনা বিপ্লব প্রতিবিপ্লব নাটকীয়তা শেষে জিয়াউর রহমান জয়ী হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয়।
৫. বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট সম্পুর্ন ভিন্ন সেনাবাহীনীতে দেশ স্বাধীনের পর থেকে সব চাইতে বেশী সুশৃঙ্খল শান্তি শৃংখলা বজায় চেইন অব কমান্ড প্রতিস্ঠিত আছে । সেনা বাহীনীর পূর্ণ একচ্ছএ নিয়ন্ত্রণ আছে।
৬. ৫ই আগষ্ঠ থেকে ৯ আগষ্ট পর্যন্ত ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতেই ছিলো চাইলেই রেখে দিতে পারতেন। কিন্তু কেন সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেয়নি বা নিচ্ছে না।

৭. এপ্রিল মাসে আমার সেনাবাহীনির একজন জেনারেলের সাথে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে ৩/৪ ঘন্টা একসাথে থাকা ও একান্তে বিভিন্ন আলাপ আলোচনার সুযোগ হয়।

৫ই আগষ্ট থেকে ৯ আগষ্ট পর্যন্ত সেনা প্রধান এক থেকে
নবম ডিভিশনের জিওসি ও সকল ক্যান্টনমেন্টের এর দায়ীত্ব প্রাপ্ত কমান্ডের সাথে সরাসরি ও অনলাইনে দরবারি বৈঠক করেন সেখানে সেনাপ্রধান ওয়াকারুজ্জামান বলেন
প্রিয় জেনারেল ও উপস্থিত অফিসার গন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি আপনারা অবগত আছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর কি করনীয় সম্পূর্ন নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে আপনার মতামত জানাতে পারবেন আপনি নেগেটিভ পজেটিভ যাহাই বলেন এটা শৃঙ্খলা ভংগের অভিযোগ থাকবে না এই স্বাধীনতা দেয়া হলো নির্ভয়ে মতামত দিতে পারবেন আবার কেউ যদি কোন মতামত দিতে না চান তার সে স্বাধীনতা অবশ্যই আছে। এই চার দিনের বৈঠকে অনেক
অফিসার মত দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর উচিৎ ক্ষমতা গ্রহন
করে শক্ত হাতে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা এবং যতকম সময়ের মধ্যে সম্ভব একটি স্বচ্ছ ফেয়ার নির্বাচন দিয়ে গনতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। তবে এই মতামত প্রদানকারিদের সংখ্যা নগন্য। বেশীরভাগ অফিসার
একটা অন্তর্বতি সরকার গঠনের মত দেন এবং সেনাবাহিনী সর্বাত্বক সহযোগিতা করবে সেই সরকারকে যাতে তারা একটা সুস্ঠ নির্বাচন করে গনতন্ত্রের মহাসড়কে চলতে শুরু করে দেশ।
৮.সবার বক্তব্য শোনার পর সেনাপ্রধান সকলের উদ্দেশ্য তার বক্তব্য বলেন আমি এখন যাহা বলবো এটা অফিসিয়ালি নয় আপনাদের মতো আমার ও মতামত আর চুড়ান্ত যে সিদ্ধান্ত নিবো সেটা অফিসিয়ালি নির্দেশনা আসবে সেটা সেনাবাহিনীর আইন মোতাবেক অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।
যাইহোক বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্হাপনায় সেনা শাসনকে চরম অপরাধ ও ঘৃনার চোখে দেখে জাতিসংঘ ইউরোপ আমেরিকা সহ গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র গুলি এবং এখন বিশ্বের অর্থনিতী এমনকি সামরিক শক্তির ও তারাই নিয়ন্ত্রক। আমরা জাতি সংঘের অধীনে শান্তি রক্ষা মিশনে কাজ করে সারা বিশ্বের প্রশংসা অর্জন করেছি জাতিসংঘ বাংলাদেশের সোনারছেলে সেনাসদস্যদের বিভিন্ন সময় প্রশংসা ও পুরুস্কৃত করেছেন। তাছাড়া ও যে সমস্যা গুলো হতে পারে
ক। বাংলাদেশে সেনাশাসন জারি হলে দেশের ব্যবসা ব্যনিজ্য বিভিন্ন ধরনের নিষেদ্ধাজ্ঞা আসতে পারে।

খ। জাতিসংঘের শান্তিমিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশ গ্রহন নিষিদ্ধ হতে পারে। জাতি সংঘের শান্তি মিশনে অশগ্রহনকারিদের কারনে বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে আসে এবং সব চাইতে বড় বিষয় যে সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন তারা ও তাদের পরিবার উপকৃত হয় স্বচ্ছলতা আসে পরিবারে সর্বোপরি দেশে যে ডলার আসে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির চাকা চালু রাখতে সহায়তা করে। জাতিসংঘ মিশনে আমাদের অংশ গ্রহন নিষিদ্ধ হলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্হ হবে বাহিনীর সদস্যরা যেটা অপরিসীম। আর বর্তমান বিশ্বায়নের এই যুগে সেনাসাশনের কথা চিন্তা করাও পাপ দেশের যে অপুরনীয় ক্ষতি হবে দেশের অর্থনীতি ধংশ হবে দেশের গার্মেন্টস সেক্টর সহ ইউরোপ আমেরিকার গনতান্ত্রিক দেশগুলোর সাথে যে ব্যবসা আছে সেগুলোর উপরেও আঘাত আসতে পারে। আমাদের সেনা নৈ বিমান বাহিনীকে ট্রেনিং সহ যে সহযোগিতা করে সেটাও বন্ধ হতে
পারে।
এতোক্ষন কি কি ক্ষতি হতে পারে সেগুলো বলার চেষ্টা করেছি কিন্তু সামান্য টুকুই আলোচনায় আনতে পেরেছি ক্ষতির লিষ্টটা অনেক লম্বা হবে আপনাদের সবাইকে এ-বিষয়ক গবেষণা করে লাভ ক্ষতির বিষয় টি হিসাব করার আহবান জানাচ্ছি। আর সব চাইতে উদ্দেগের বিষয় হলো আমাদের বাহীনির সদস্যর যে বন্চিত ও ক্ষতির স্বীকার হবে এটা অপুরনীয়। সর্বোপরী দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়বে দেশর মানুষের কষ্ট বাড়বে।
গ। সেনা শাসনের লাভ কি? লাভ বলতে উচ্চাভিলাষী কিছু জেনারেলের ভাগ্যর পরিবর্তন হবে সাময়িক ক্ষমতা ভোগ
করবে সাধারণ সৈনিকদের কোন প্রাপ্তি থাকবে না যেটা আমরা বিগত ১/১১ তে দেখেছি এবং তাদের সকলের পরিনতি আমরা দেখেছি এখনো দেখছি সুখকর নয়। আবার যে সমস্ত সৈন্যরা শান্তি মিশনে কাজ করার সুয়োগ পেতো সেটাও হারাবেন। লাভ এটুকুই। এবার আমার এই বক্তব্য বিশ্লেষণ করে আমার ভুল ত্রুটি অনলাইনে বা সরাসরি আমার কাছে দিতে পারেন যে কেউ আমিও ভেবে দেখবো।
এতোক্ষন লাভ ক্ষতি সেনা শাসনের সুবিধা অসুবিধা ভালো দিক মন্দ দিক নিয়ে আলোচনা করলাম।

গ। এবার আমার স্পষ্ট বক্তব্য এবং এটাই আমার শেষ কথা
সেনাবাহিনী কোন অবস্থায় ক্ষমতা গ্রহন করবে না। দেশে পুলিশি ব্যবস্হা ভেংগে পরেছে আমাদের সর্বোচ্চ টুকু দিয়ে
দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে জনগণের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এখন
একটি ইন্টেরিয়র সরকার গঠিত হবে তাদের দায়ীত্ব নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে গনতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা ততদিন পর্যন্ত সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে সরকারকে সহযোগিতা করবে।
পরিশেষে আমি মুসলিম আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে সেনা শাসনের কারনে দেশের দরিদ্র মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলবে আর সব কিছু মিলিয়ে মানুষের অভিশাপ ও আল্লাহর গজব কোনটায় আমি চাই না আমার কোন উচ্চাভিলাষ নেই আমার দায়ীত্ব আল্লাহ পাক দিয়েছেন আল্লাহ সন্মান দেন ক্ষমতা দেন আবার ক্ষমতা কেরে নেন বেইজ্জতিও করে ্এই রাষ্ট্র আমার কাছে আমানত আমি আমানতের ক্ষেয়ানত করতে চাই না।
সেনা শাসন জারি করলে আপনাদের সবার চাইতে আমিইতো বেশী লাভবান হবো। ইহজাগতিক এই ক্ষনস্হায়ী
লাভ আমি চাই না।
শেষ কথা শত উস্কানী দেশী বিদেশি মদদ ষড়যন্ত বা যে কোন পরিস্থিতিই হোক সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিবে না ইন্টেরিয়র সরকারের পাশে থেকে সব কিছুই সেনাবাহিনী
মোকাবিলা করবে এবং যাতে স্বল্প সময়ে একটা গনতান্ত্রিক সরকার আসতে পারে সেদিকটাও নজরে রাখতে হবে যত দ্রুত সম্ভব সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরবে।
সেনাবাহিনীর এই বক্তব্য আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে সবাই সমর্থন করছে হাতে গোনা কজন দ্বীমত পোষণ করলেও তারা প্রকাশ করে নি।
আমাদের সেনাবাহিনী প্রধান কি ভীরু না কাপুরুষ এতো সুযোগ সত্বেও কেন সুযোগ হাতছাড়া করছে ক্ষমতা দখল করছে না?
আশ্চর্যের বিষয় সেনাবাহীনীতে বহু পার্টি বহু দল মতের মতের সদস্য আছে কিন্তু একজন সদস্য আপনি খুঁজে পাবেন না যিনি মনে করেন সেনাপ্রধান ক্ষমতা দখল করবে
তার ঘোর শএু অনেক আছে সমালোচনা আছে ফ্যাসিষ্ঠ হাসিনা সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত সুবিধা ভোগী কিন্তু তাদের প্রশ্ন করলে বলে না সেনাপ্রধান ক্ষমতা দখল করবে
না। সেনাবাহিনীর একেবারে টপ টু বটম কেউ বলে না বা বিশ্বাস করে না সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকারুজ্জামান ক্ষমতা দখল করবে।

মুল রহস্য হলো সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ্জামান পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন এমনকি উনার জীবনে কোনদিন তাহাজ্জুদ নামাজও বাদ দেন নি। খোদা ভীরু
ধার্মিক এবং সবাই মনে করেন একজন সেনাপ্রধান যতটুকু কঠোর ও সাহসী হওয়া দরকার ততটুকু তার নেই। এবং অবৈধভাবে উপার্জন বিওবৈভবের মালিক হওয়া বা লোভ লালসা উচ্চাকাঙ্ক্ষা উচ্চাভিলাস ক্ষমতা দখল এগুলো তাকে দিয়ে হবে না যারা সেনা প্রধানের ঘোর শত্রু তারাও একবাক্যে এটাই বলছেন কারন তারা পাশে থেকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত এসব দেখেছেন।
আর একারনেই তিনি সকলের আস্হা ভাজন এবং সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড অত্যন্ত মজবুত এবং সেনাবাহিনীর উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সেনাপ্রধানের।
লেখক
কমরেড ডাঃ এম এ সামাদ
সভাপতি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)

Facebook Comments
no views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি