রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৭ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || শুক্রবার | ১১ জুলাই ২০২৫ | ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ | ১৫ মহর্রম ১৪৪৭
সিংড়ায় ধান সিদ্ধ,ও চাউল তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক
সিংড়া(নাটোর) সংবাদদাতা,দৈনিক শিরোমণিঃ
নাটোরের সিংড়ায় গ্রামে গ্রামে এখন চলছে ধান সিদ্ধ,শুকান ও চাউল তৈরীর উৎসব। শস্য ভান্ডার নামে খ্যাত চলনবিল অধ্যুষিত এই অঞ্চলে কিছু দিন আগে রোরো ধান কাটা মাড়াই শেষ করে কৃষকরা এখন সারা বছরের খাবারের জন্য তৈরী করছেন চাউল। বাড়ির আঙিনায় কেউ ধান ভিজিয়ে রাখছেন। কেউ চুলার আগুনে করছেন সিদ্ধ। আবার কেউ কেউ সিদ্ধ ধান শুকাচ্ছেন। সম্প্রতি সরেজমিনে উপজেলার ডাহিয়া,সাতপুকুর,আয়েশ বিয়াশ সহ চলনবিলের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে কৃষকদের এই ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে। কৃষকরা জানান,সারা বছর পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্ক প্রতিজন সদস্যের ৮ মণ করে ধান লাগে। সেই হিসেব করে আমরা সারা বছরের খোরাক নেই। তবে এবছরে ধানে পোকার আক্রমণ ও ঝড়ে পড়ে যাওয়ায় ধানের ফলন অনেকের কম হয়েছে। এ কারনে কেউ কেউ খোরাকও নিচ্ছেন কম।ধান থেকে চাউল তৈরীর এই মৌসুমে ভ্রাম্যমাণ মেশিনে ধান ভাঙানোর চাহিদা বাড়ছে। ভ্রাম্যমাণ এই মেশিন কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান ভাঙিয়ে দিচ্ছেন। এতে খুশি হচ্ছেন কৃষকরা। আয়েশ গ্রামের কৃষক সোলেমান আলী বলেন,আগে আমরা ৩ থেকে ৪ কিঃ দুরে চাউল মিলে গিয়ে ধান ভাঙিয়ে আনতাম। কিন্তু এই ভ্রাম্যমাণ মেশিন আমাদের বাড়ি বাড়ি আসায় আমরা ছেলে মেয়ে ছোট বড় সবাইকে নিয়ে এক সাথে দ্রুত ধান ভাঙিয়ে নতুন চাউল ঘরে তুলতে পারছি।এই মৌসুমে বাড়তি আয় করতে পেয়ে খুশি এই ভ্রাম্যমাণ চাউল মেশিন মালিকরাও। মেশিন মালিক বাদশা আলম বলেন,আমিও একজন কৃষক। কৃষি কাজের পাশা পাশি এই মৌসুমে জমি থেকে উঠে আসা শ্যালো মেশিন দিয়ে তৈরী করা এই ভ্রাম্যমাণ মেশিনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান ভাঙাই। এতে আমার ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা এই মৌসুমে আয় হয়।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.