রেজাউল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি: গণসাংস্কৃতিক সংগঠন সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সাংগঠনিক সভা ২৭ জুন ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ময়মনসিংহ নগরীর নাসিরাবাদ কলেজিয়েট স্কুলে উক্ত সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাংগঠনিক সভায় বক্তারা বলেন, সংস্কৃতি হলো একটি জাতির সামগ্রিক জীবনাচার, রীতিনীতি, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, চিন্তাচেতনা, নিজস্ব ইতিহাসের বহি:প্রকাশ। এই সংস্কৃতিই জাতিগঠনের অন্যতম মাধ্যম। সংস্কৃতির মাধ্যমেই ফুটে উঠে একটি জাতির মানসিক প্রকাশ। যে জাতি সংস্কৃতিগতভাবে যত উন্নত সে জাতির মানসিক বিকাশও তত উন্নত। এই সংস্কৃতিই আবার গড়ে তোলে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। সচেতন সাংস্কৃতিককর্মীরা জাগিয়ে তুলে জাতিকে। অতীতে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বিভিন্ন লড়াই সংগ্রামে সাংস্কৃতিক কর্মীদের সরব উপস্থিতি এর চাক্ষুষ প্রমাণ। বর্তমানেও সচেতন গণমূখী সাংস্কৃতিক কর্মীরা রাজপথে সরব হয়। অন্যায় অপরাধ, সমাজ, জাতি ধ্বংসকারী অপচক্রের অপকর্মের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদমূখর হয়। জাগিয়ে তোলার প্রয়াস চালায় গণমানুষকে। গণমানুষকে অপচক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানায়। ডাক দেয় প্রতিরোধের। দাবী তোলে সরকারের নিকট। মানবিকতার উত্তম প্রকাশ ঘটিয়ে সচেতন সাংস্কৃতিক কর্মীরা অসহায়, নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দুর্বিপাকে ছুটে চলে প্রান্তর থেকে প্রান্তরে। তোলে ধরে মানবতার মানবিক পতাকা। বক্তারা আরো বলেন, বাঙালী জাতির রয়েছে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। যে সংস্কৃতি বিশ্বের দরবারে বাঙালী জাতিকে তোলে ধরেছে। এই সংস্কৃতির পতাকা সমুন্নত রাখতে হবে। স্বকীয়তা বজায় রেখে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহকে ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক বৃত্তের লেজুড়বৃত্তি না করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বাঙালী জাতির মুক্তিসংগ্রাম তথা অভ্যূদ্বয়ের ইতিহাসের সাথে সংস্কৃতির রয়েছে অবিচ্ছেদ্য সংযোগ। এই অবিচ্ছেদ্য সংযোগের কারণে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম করতে হবে।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘ প্রতিষ্ঠাকাল হতে গণসাংস্কৃতিক ভাবধারায় কার্যক্রম পরিচালনা করে। কখনো মঞ্চে, কখনো রাজপথে, কখনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে, কখনো অধিকার আদায়ে, কখনো মহান অভ্যূদ্বয়ের ইতিহাস জাগ্রত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় সাংগঠনিক সভায় ব্যক্ত করা হয়।
বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: শাহজাহান এর সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সভায় বক্তব্য রাখেন ইমতিয়াজ আহমেদ, আব্দুল হান্নান আল আজাদ, মো: নুর আলী চিশতি, মোহাম্মদ মাসুদ চিশতি, পিকলু সাহা, মো: মাসুদ রানা, মো: রেজাউল ইসলাম, শাহরিয়ার আহমেদ আশিক, সৈয়দ আরমান হোসেন ইমন, আবু সাইফ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, চিত্রণ ভট্টাচার্য প্রমূখ।